দুটি কবিতা

শঙ্খ ঘোষ

শোক

একবার থম্কে দাঁড়াই। তারপর ফিরে আসি সনাতন ঘরে।
এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
মাঝখানে কত একাঙ্কিকা কিংবা পূর্ণতার ভারে
কলরোল চলে।
জন্ম থেকে বিলয় অবধি গোটা প্রবাহের চলচ্ছবি
চারপাশে ভাসে এলোমেলো।
প্রত্যেকে সেখানে
নিজেকেই খোঁজে – নিজেরই সংযোগে খোঁজে তাকে।
এভাবে সে হয়ে ওঠে প্রায়শ নূতন ইতিহাস।
ঘরের ভিতরে বসে দেখি তাকে, পড়ি তাকে
আরো বেশি গড়ি তাকে
তোমার মৃত্যুর পর অগোচরে কখন-বা কিছু কিছু হয়ে উঠি তুমি।

ঋণ

তীরের ঢালুর বুকে হাত রেখে স্থির বসে আছি
প্রতিটি মুহূর্ত তাই আরো বেশি নক্ষত্রের টানে
ভরে ভরে ওঠে

ওই প্রজাপতি ক্ষীণ উড়ে গিয়ে লাগায় যে রং
আদুল সফেন স্পর্শে, সেও রেখে যায় ঋণভার
এই মহাস্রোতে

আমি যে ছিলাম তার চিহ্ন কিছু থাকে না কোথাও
এক মুহূর্তের থেকে আরেক মুহূর্তবিন্দুজল
আচম্বিতে উঠে

ভেজায় শারীরস্মৃতি, ভোলায় থাকার স্বাধীনতা –
তবুও হাজার হাত মেলে দিয়ে তোমাকেই শুধু
চাই আজও ছুঁতে।