নখের আঁচড়ে হিংস্রতা

নাসরীন নঈম

আমি তো নিজের ভেতরে নিজেই একটি
ঋতু পরিবর্তনের মানচিত্র এঁকেছিলাম
শুধু তোমাদের বাধাই আমাকে এগোতে দিলো না
আমি আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত
হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকি তাই
আমার বোধ-বুদ্ধি সব বটের ছায়ায় লুকিয়ে থাকে।

মন্দার মনি থেকে চিল্কা হ্রদ পর্যন্ত
হেঁটে যাই তোমার সন্ধানে
তুমি যে আমার বুকের পাঁজর টুকরো টুকরো
করে দিয়ে বললে, বেরিয়ে যাও Ñ

আমি ঘরের দেয়ালে চোখ রাখি
দেখি একজোড়া টিকটিকি
লেজে লেজ পেঁচিয়ে আটকে আছে
ওরা কি পড়ে যাবে নাকি ওপরে উঠবে।

চৈত্রের খরতাপ দুচোখের পাতায়
জ্বালা ধরাচ্ছে গ্লুকোমার রোগীর মতো
চোখের পানি শুকিয়ে গেছে Ñ শুধু
আগুন আগুন। দশটা অগ্নিনির্বাপক এসেও
এ-আগুন নেভাতে পারছে না
আমি কি গোরস্তানে পৌঁছে গেছি?

গাবগাছের ঘন ঝোপের ফাঁকে
একটি সাদা কাপড় ঝুলছে
কে খুলে নিল আমার সমস্ত আব্রু
আলাপে-বিলাপে বেশ তো ছিলাম
মনে পড়ে এক সওদাগর বলেছিল
মাটি কিনতে এসে হিংস্রতা কিনে নিলাম।