নিসর্গ, নারী ও জীবনধারা

রবিউল হোসেন
পবিত্র নারীরা (২০১০) রিজিয়া রহমান (১৯৩৯-২০১৯)-রচিত একটি স্বল্পায়তন উপন্যাস। আধুনিকতার পথে অস্ত্রের আবিষ্কার এবং এর প্রভাবে শিকারনির্ভর সমাজ তথা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী কীভাবে তাদের ভূমি তথা অধিকার হারিয়ে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে তার এক অনুপম বর্ণনা উপন্যাসটির বিষয়বস্ত্ত। দখলদার তথা লাল চেহারা ও চুলের অধিকারী দীর্ঘদেহী মানুষগুলোর মানবতাহীন সম্পদ ও নারীলুণ্ঠন – যা আজো চলমান তার নিপুণ বর্ণনা উপন্যাসটিকে মাধুর্যপূর্ণ ও মূল্যবান করে তুলেছে। একই সঙ্গে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী – অপেক্ষাকৃত খাটো, মুখ-নাক চ্যাপ্টা বাদামি রঙের মানুষগুলোর টিকে থাকার লড়াই ও নেতা নির্বাচন পদ্ধতি আমাদের মুগ্ধ করে।
উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয়েছে প্রধান নারীচরিত্র রুমিতাকে ঘিরে। রুমিতা অত্যাচারিতের প্রতিনিধি। সম্ভাব্য গোত্রপ্রধান। সিঞ্জিনা তাদের গোত্রপ্রধান তথা বর্তমান নেত্রী। নেত্রী সর্বদা পবিত্র। গোত্রের সকল পুরুষের ওপর তার যেমন অধিকার, তেমনি তার ওপরও সকল পুরুষের অধিকার সমাজে স্বীকৃত। নেত্রী সকলের ভালো-মন্দের দায়ভার গ্রহণ করে। বরফাচ্ছন্ন পাহাড়ের গুহায় তাদের বসবাস। কৃষি ও পশুশিকার তাদের জীবিকা। পোশাক বলতে বাকল কিংবা পশুর চামড়া, তাও আবার কোমর থেকে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত। একরকম প্রতিকূল পরিবেশে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে লড়াই করে তারা টিকে ছিল। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখন, যখন লাল চুল ও লম্বাটে চেহারার এবং অপেক্ষাকৃত উন্নত – লোহার অস্ত্রধারীদের আগমন হয় তাদের অঞ্চলে।
সিঞ্জিনা বুঝতে পারে তাদের সম্মুখে বিপদ, যা তার পক্ষে মোকাবেলা করা কঠিন। যেহেতু গোত্র রক্ষা করার দায়িত্ব তার, তাই সে যোগ্য নেত্রীর সন্ধান করে এবং যোগ্যতার নিরিখে রুমিতা নতুন নেত্রী নির্বাচিত হয়। রুমিতা গোত্রের দায়িত্ব নিয়ে দক্ষিণে বিসত্মীর্ণ বরফাচ্ছন্ন পাহাড় পেরিয়ে – দীর্ঘ মরুভূমি অতিক্রম করে – সমতলের দিকে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু একদিন হেঁটে যেতে না যেতেই তারা পরধনলোভী ঘোড়সওয়ার দীর্ঘদেহী মানুষগুলোর আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের সঞ্চিত খাবার লুণ্ঠন করে; উপযুক্ত নারীরা নির্যাতিত হয়, রুমিতাকে গণধর্ষণ করে মেরে ফেলে। অবশিষ্ট থাকে গোত্রের অপেক্ষাকৃত বয়স্ক ব্যক্তিরা। তারপরও রুমিতার গোত্রের মানুষগুলোর মঙ্গলময় পথে যাত্রা শেষ হয় না।
সিঞ্জিনা বা রুমিতা নারীপ্রধান সমাজের প্রতিনিধি। এ-সমাজে নারী ও পুরুষের ধর্ম ও দায়িত্ব আলাদা। নারী মাত্রই প্রকৃতি তথা সকল কিছু ধারণ করে গোত্রকে দ্বন্দ্বমুক্ত ও নিরাপদ রাখবে। আর পুরুষরা নেত্রীর অনুসরণ করবে, শিকার করবে, যুদ্ধ করবে ইত্যাদি। ঔপন্যাসিকের বর্ণনায় রুমিতার পিতা হানের উক্তি :
পুরুষের শক্তি বেশি। তাই সে যোদ্ধা হয়, শিকারি হয়, কর্মী হয়। সে হত্যা করতে জানে, রক্ষা করতে জানে না। …
নিজেদের গোত্রকে বাঁচাবার দায়িত্ব নারীর। … নারীরাই আমাদের কল্যাণ আনে। আমাদের গোত্র রক্ষা করে যত্নের সঙ্গে। শিশুদের বাঁচিয়ে রাখে। শস্য ফলানো নারীরাই শিখিয়েছে আমাদের … আমরা তাদের বিপদ থেকে, শত্রম্নর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার শপথ নিয়ে গোত্রের অধীনতা মেনে চলছি।
উপন্যাসে নারীর সতীত্ব বা পবিত্রতা সম্পর্কে ঔপন্যাসিকের স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষণীয়। নারীরা এখানে বহুগামী। তাই গোত্রের সকল পুরুষের সন্তানধারণ রুমিতার দায়িত্ব। নগরজীবনের কথিত
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বা সতীত্বের ধারণা এখানে অচল। গোত্রের আসন্ন বিপদে সিঞ্জিনার স্থানত্যাগের সিদ্ধান্তে হান আপত্তি করলে সে বলে :
আমি পবিত্র নারী। পবিত্র নারীরা অনেক কিছুই আগে বুঝতে পারে। … আমরা যদি এখান থেকে সরে না যাই, সর্বনাশ হয়ে যাবে আমাদের। … ওই দূরের অশ্ব-মানবরা? শীতের প্রচ- তুষারঝড় নাকি মরু প্রান্তর থেকে উড়ে আসা আগুনের হলকা-ঝরানো খরা – যে-খরায় তৃণভূমি, বন দাউ দাউ করে জ্বলবে। … তখন কী হবে?
রুমিতারা প্রকৃতি-পূজারি। প্রকৃতির ধ্বংস থেকে রক্ষা পেতে ধরিত্রীর শক্তিময়তার উপাদানসমূহকে তারা পূজা করে। রুমিতাকে নেত্রী নির্বাচন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে যে আচার-অনুষ্ঠান হয়, তার ভেতর দিয়ে যেমন গোত্রটিকে জানতে পারি, তেমনি নারীর প্রতি গোত্রের মানুষগুলোর অভিব্যক্তি ও তাদের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে বিশ্বাস আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়। গোত্রের পূজা-অনুষ্ঠানের গীত থেকে এখানে উদাহরণ দেওয়া হলো :
আকাশের দেবতার ইচ্ছায় …
সেই পবিত্র নারী। …
আমাদের আদি মাতা …
ধারণ করল পৃথিবীকে …
… নারী; আমাদের ধাত্রী মা
সেই নারী।
হে নারী তুমিই আমাদের প্রাণ।
রুমিতা নেত্রী নির্বাচিত হলে তার ওপর গোত্রের পুরুষদের অধিকার সম্পর্কে বর্ণনা : ‘আজ থেকে সব পুরুষ রুমিতার দেহের অধিকারী। সবার সন্তানের জন্ম দিয়ে রুমিতা গোত্রকে শক্তিশালী করে তুলবে।’
পবিত্র নারীরা উপন্যাসের চারিত্র্যবৈশিষ্ট্য। এখানে দুধরনের চরিত্র দেখা যায় – ভালো ও মন্দ। অর্থাৎ বিজয়ী ও বিজিত। বিজিতরা আদিবাসী বা মূল অধিবাসী। তারা সুশৃঙ্খল ও গোত্রবদ্ধ। তবে এদের মধ্যে কোনো কোনো পুরুষ বেশি শক্তিশালী, যোদ্ধা ও বিচক্ষণ। অবশ্য সকলেই শরীরী ব্যাপারে অনিয়ন্ত্রিত। তবে কেউই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অচেতন নয়। এমনি একটি চরিত্র রুমিতা, যে সিঞ্জিনার স্থলাভিষিক্ত। অল্পবয়স্ক ও নবযৌবনা, চপলা ও অস্থির। রুমিতার অভিষেকের দিন রীতি অনুযায়ী দলের শক্তিশালী পুরুষ চুনলাই তার সঙ্গে থাকবে। কিন্তু আসন্ন বিপদ দ্রম্নত পরিস্থিতি পালটে দেয়। রুমিতা চুনলাইয়ের অন্যায় হুংকার ক্ষমা করে। কেননা সে তো এখন দলনেত্রী। গোত্রের মানুষদের রক্ষা করার জন্য মঙ্গলচিন্তা ছাড়া আর কিছু সে এখন ভাবতে পারে না। সে বলে – ‘তৈরী হও সবাই। এবার আমাদের দক্ষিণের দেশে যাত্রা। এ আমার আদেশ। সবাই শুনল। সবাই নির্বাক। … পুরোন আশ্রয় ছেড়ে গুহাবাসীরা যাত্রা করল অনিশ্চিত নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।’
মূলত সাম্রাজ্যের পত্তন হয় বহু জাতি-রাষ্ট্রের সূত্রগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে। যারা ধ্বংস হয় তারা দেশপ্রেমিক হলেও ধ্বংসপ্রিয় বা হিংস্র না হওয়ায় পতিত হয়। ভীষণ বিপদেও তারা অন্যের ক্ষতি থেকে বিরত থাকে। কাহিনিতে আমরা দেখি, অত্যাচারীদের সমূহ আগমন বুঝেও রুমিতারা তাদের যোদ্ধাদের শান্ত হতে আহবান জানিয়ে বলেছে : ‘আমরা এ অস্ত্রে অন্যায় রক্তপাত করব না। এ অস্ত্র কেবল শিকারের জন্য। গোত্রের নারী শিশুদের রক্ষা করার জন্য। গোত্রের শত্রম্নদের ধ্বংস করার জন্য।’ হানের এ-উক্তির প্রাসঙ্গিকতা যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি উপন্যাসের শেষে রুমিতার মৃত্যু ও অভিযাত্রীদের নিরলস যাত্রা পৃথিবীকে আমাদের বাসযোগ্য রাখতে অনুপ্রাণিত করে। অভিযাত্রীরা দলনেত্রী রুমিতার মর্মান্তিক মৃত্যুতে অস্ত্রের পরিবর্তে ভালোবেসে সাম্রাজ্যবাদীদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। বলে :
ভালোবাসাই তোমার অস্ত্র …
হে নারী, পবিত্র নারী।
আমাদের ধাত্রী …
তুমি জেগে ওঠো।
আঙ্গিক বিচারে উপন্যাস আধুনিককালের সৃষ্টি। সাহিত্যের অন্যান্য শ্রেণির মতো উপন্যাসকেও নানা ভাগে ভাগ করা হয়। বিষয় অনুযায়ী যেমন উপন্যাসের শ্রেণিভিন্নতা থাকে, তেমনি রস
বিচারেও এ-আঙ্গিকের নতুন নতুন নামকরণ দেখা যায়। তবে এ-আঙ্গিকের শিল্পমূল্য বিচারে সমালোচকদের অন্যদিকে আলোকপাত করতে হয়। এক্ষেত্রে আলোচকের লক্ষণীয় থাকে উপন্যাসের কাহিনি, পরিবেশ বা পটভূমি, চরিত্র, ভাষা প্রভৃতি বিচার-প্রবণতা।
আমরা জানি, উপন্যাসের কাহিনি বৃত্তাকারে আবর্তিত হয়। অর্থাৎ কাহিনির আরম্ভটা যে-পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, সমাপ্তিও সেই একই রকম হয়। পবিত্র নারীরা উপন্যাসে আমরা দেখি, রুমিতা ও তার গোত্রের মানুষগুলো প্রথম থেকেই প্রকৃতির সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম করে কোনোমতে টিকে আছে। আবার তারা ভবিষ্যতের পথে দীর্ঘকালের বাসভূমি ছেড়ে যখন যাত্রা করে, তখনো তারা বহিঃশত্রম্নর আক্রমণের শিকার হয়। এদিক বিচারে উপন্যাসটি বৃত্তের শর্ত পূরণ করে। এছাড়া প্রেম বিষয়ে রিজিয়া রহমান উপন্যাসে যে মৌলিক অবস্থান নিয়েছেন, তার পূর্ণ একমুখীনতা কাহিনিতে রক্ষিত হয়েছে। এ পর্যায়ে দুটি উদ্ধৃতির সাহায্যে কাহিনির পূর্বাপর আবর্তন দেখানোর চেষ্টা করা হবে :
যুদ্ধে পুরুষরা ক্ষমতা পায়। ক্ষমতা যখন তার হাতে, তখন সে নারীকেই আক্রমণ করে। নারীর ওপর নির্মম হয়। একটি নারীকে নিয়ে দশটি পুরুষ ভোগের উল্লাসে মত্ত হয়। নির্যাতন করে আনন্দ পায়।
অথবা,
আচমকা প্রচ- কোলাহলের আঘাতে তন্দ্রার আচ্ছন্নতা কেটে গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘোড়ার খুরে ঝড় তুলে ঝাঁপিয়ে পড়ল এসে সেই অশ্বারোহী লাল মানুষেরা। লুট হলো শীতের রসদ। লুণ্ঠিত হয়ে নির্যাতিত হলো নারীরা। হত্যাযজ্ঞ শেষে রক্তমাখা বর্শাফলক আর সঞ্চিত রসদ লুটে নিয়ে উল্লাসে ফিরে গেল অশ্বারোহী লাল দস্যুরা।
উদ্ধৃত প্রথম প্যারাটি উপন্যাসটির দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ থেকে নেওয়া আর দ্বিতীয় উদ্ধৃতিটি পঞ্চম পরিচ্ছেদের অংশ। এরপর কাহিনি মাত্র পৃষ্ঠা দেড়েক এগিয়ে শেষ হয়েছে। অর্থাৎ উপন্যাসটির কাহিনি যেমন অনিশ্চিত, অনিরাপদ ও অত্যাচারিত জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে যাত্রারম্ভ করেছে, তেমনিভাবে ভয়সংকুল পরিবেশের মধ্যেও পূর্বাপর প্রেমের বাণী প্রচারিত হয়েছে।
পবিত্র নারীরা উপন্যাসটির পটভূমি পাহাড়-বরফ-আচ্ছাদিত একদল মানুষের জীবনসংগ্রামের ইতিবৃত্ত। এখানকার মানুষগুলো গোত্রবদ্ধ। গোত্রের প্রধান একজন নারী। এরা প্রধানত শিকারজীবী। অস্ত্র বলতে পাথর ও কাঠ-নির্মিত সাধারণ কিছু লোকজ বস্ত্ত যা তাদের জীবনেরও হাতিয়ার। অবশ্য জনগোষ্ঠীর একটি অংশ বিশেষত মেয়েরা ফসল চাষাবাদের চেষ্টা করে। গোত্রের অধিবাসীরা নেত্রীর কথামতো আগত শীতের জন্য পশুর মাংস ও ফসল শুকিয়ে গুহায় মজুদ করে। খাবার পচিয়ে পচিয়ে পানীয় তৈরি করে। নাচ-গান করতেও তারা পটু। অবশ্য জীবনের আনন্দ বলতে তাদের কেবল এটুকুই। প্রতিকূল জল-হাওয়ায় এরা কোনোমতে টিকে আছে; কিন্তু আগামীতে পারবে কিনা সন্দেহ সকলের। তাই রুমিতার পূর্ববর্তী গোত্রপ্রধান সিঞ্জিনা এলাকা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু পারে না। এদিকে রুমিতাদের ওপর কুদৃষ্টি পড়ে বহিরাগতদের – যারা গোত্রটিকে প্রায় ধ্বংস করে দেয়। এরূপ গোত্রদ্বন্দ্ব আর টিকে থাকার লড়াইয়ের ওপর ভর করে গড়ে উঠেছে আলোচ্য উপন্যাসের পটভূমি।
উপন্যাসের চরিত্রসমূহের প্রধান অংশ প্রেমধর্মের প্রচারক আর অন্য অংশ হিংস্র পশুবৃত্তিসম্পন্ন। আবার যারা প্রেমধর্মের অনুসারী তাদের কেউ কেউ আদিম প্রবৃত্তির দাস – যেমন চুনলাই। আবার হান চরিত্রটি পিতৃসুলভ, বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান। সিঞ্জিনা ও রুমিতা একই সঙ্গে মাতা ও নেত্রীর প্রতিভূ। গোত্রের প্রয়োজনে এরা সবটুকু দান করেছে। আবার যারা আক্রমণকারী তারা কখনো জনসমক্ষক্ষ আসেনি। উপন্যাসে এদের আনাগোনা কেবল বর্ণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। এ পর্যায়ে একটি উদ্ধৃতির সাহায্যে চুনলাই ও রুমিতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হবে :
চুনলাইর পরিণতি যেন জীবন্ত হয়ে উঠল রুমিতার সামনে। তুষার ওড়া ঘোলাটে সন্ধ্যায় মশালের আগুন আর পাথরের বল্লম নিয়ে একা হিংস্র নেকড়ের পালের সঙ্গে যুদ্ধে রক্তাক্ত হচ্ছে গোত্রের সাহসী শিকারি চুনলাই। তার প্রিয় প্রেমিক চুনলাই। দুচোখ ভিজে উঠল রুমিতার।
ভাষা-প্রয়োগে আলোচ্য উপন্যাসে রিজিয়া রহমানের বিশেষ মৌলিকত্ব চোখে পড়ে না। এখানে ভাষা কেবল চরিত্রগুলোর ভাবপ্রকাশের মাধ্যম হয়েছে – চরিত্রানুযায়ী হয়নি। তারপরও বলতে হয়, বিষয় নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা, ভাব-ভাষা, কাহিনি ও চরিত্রনির্মাণে পবিত্র নারীরা উপন্যাসে রিজিয়া রহমানের লেখকসুলভ মৌলিকতা অনস্বীকার্য।