নিয়ম নাস্তি

খালেদ হোসাইন

 

যখন চারপাশে কেবল আন্ধার

নয়ন মুদলেই আলোর বন্যা

আমাকে ইশারায় কোথায় নিয়ে যায়

যদিও জানি না তা, সোনালি ক্ষণ না?

 

কৃষক ঘরে ফেরে চিলতে হাসি ঠোঁটে

যদিও দেহে তার অশেষ কান্তি –

ক্লান্তি মুছে যায় কিষানি যদি চায়

একটু বাঁকা চোখে – শান্তি, শান্তি!

 

শ্রমিক ঘাম মোছে আকাশে ওঠে চাঁদ

হেঁসেলে ঠুকঠাক, চুলোতে অগ্নি

ভাতের ঘ্রাণ ছোটে পাতেও মাছ ওঠে

স্বামী ও বউ খায়, মাতা ও ভগ্নি।

 

শিশুরা খেলা করে ফিরতে বেলা করে

তবু ঘরে নাই একটু শান্তি

কে কত বড় হবে সে প্রতিযোগ নাই

নিয়মে ধসে যাবে? নাস্তি, নাস্তি!

 

সেখানে নদী আছে, মৃদু ও খরতোয়া

ফুলও ফুটে থাকে নানান বর্ণে

পাহাড় থেকে নামে আলতো জলধারা

ছোট্ট ঘরদোর লতা ও পর্ণে।

 

পাখিরা গান গায় বাকিরা শুনে যায়

শান্তি জমা হয় শোণিতে মর্মে

আমাকে পলাতক ভাবা কি ঠিক হবে,

বীর কি সজ্জিত হয় না বর্মে?