খোরশেদ বাহার
তিনি হাঁটতেন অন্ধকারে
জ্যোতিষ্মান এক স্বাপ্নিক পুরুষ
তার হাওয়াই শার্টের আস্তিনে
ভাঁজ করা নিঃসীম অন্ধকার
স্নিগ্ধ পরশমাখা, নির্বাক চেয়ে থাকা এক অপার বিস্ময়।
সময়ের সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে
এখন তা লুটিয়েছে ধুলায়।
পড়শির দরজায় কড়া নেড়ে জেনেছি
এ বাড়িতে ও নামের আজ আর কেউ থাকে না
জানালায় উঁকি মেরে দেখেছি
সবকিছু ঝকঝক করছে
হাজার ওয়াটের বাতিতে ঝলমল চারপাশ
বইয়ের তাকগুলো গোছানো সযতনে
মিহি সুতায় বুনা হাওয়াই শার্ট উড়ছে হাওয়ায়।
কলকাকলিতে মুখরিত এই নৈঃশব্দ্যের জনপদে
নির্বাসিত অন্ধকার
এতটুকু আড়াল নেই
নেই অব্যক্ত কথনের সুনসান শূন্যতা।
নির্মোহ প্রেমাবেগে আপন অস্তিত্বের খুব কাছে এসে
অনেক খুঁজেছি তাকে
অনুভবের উজ্জ¦লতায় আলোকিত চতুর্পাশে
সন্ধ্যার টেবিলে, সরু গলির মাথায় আর বর্ণাঢ্য আঁধারে।
অনেক খুঁজেছি তাকে
দখিনা বাতাসের ঝিরিঝিরি ছন্দে
বেলি ফুলের ম ম গন্ধে
টুপ টাপ বৃষ্টির ছটায় অবাধ্য নোনাজলে।
তবুও যায় না পাওয়া তাকে
ফ্রেমে বন্দি সাদা-কালো মুখখানি
নীরব অন্ধকারে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.