এই যে আমাকে খুব দেখছেন গাছের ভিতরে
জলে ডোবা কুমিরের মতো
দেখছেন শুয়ে আছি, দেখছেন
আমাকে আপনি, আপনারা সকলেই দেখছেন
আমি শুয়ে আছি এই গাঁয়ে –
কোত্থেকে এসেছি? হুতুম পেঁচার দেশে
কীভাবে এসেছি?
কোন রক্তে পলি আর জ্যোৎস্না খেয়ে
রমণী-বিড়ম্বনায় ভালোবেসে আমি
এখানে বিরাটকায় বপু ব্যতিক্রমী
চশমা-চুরুট-চুলপাঞ্জা বিকালো পেঙ্গুইন, পাজামার বহর,
কণ্ঠভেজা-ভাটিয়ালি দেখুন তর্জনী …
ভেবেছেন একবারও, কোত্থেকে এসেছি?
পক্ষীদের দেশে আমি কীভাবে এসেছি?
যেখানে রবীন্দ্রবাবু নেই, যেখানে মাস্টারদা ভিজে গেছেন
যেখানে ঝাঁসির রানী, বহু ক্ষুদিরাম আরো
ক্ষুদে হতে থাকেন পক্ষীর গোত্রে, যেহেতু রয়েছে নদী …
যেহেতু ফাগুন বেলা … যেহেতু নৃবংশ
জোর দাবি করে বসে অ আ ক খ …
আমাকে আসতেই হলো, ভাসতেই হলো পক্ষিগোত্রে
একটি উদাম জাতির আব্রু খুঁজতে খুঁজতে
আমাকে সাঁতরাতেই হলো যমদস্যুর সমুদ্দুর।

তথাপি যে-জাতি খেয়ে ফেলেছে নিজের ডিম,
যে নিজের ডালে বসে আরামসে কেটে ফেলে
নিজেরই ডাল, অকারণে পুচ্ছ তুলে হঠাৎ দেখিয়ে ফেলে
নোংরা পায়ুদেশে
অতঃপর সে হনহনে দিশেহারা হয়ে ওঠে
অথবা ভীষণ উড়াল পারতে চায়
অথবা ‘দাবায়া’ দিবার চায় বপুর পরিচয় …
ভেবেছেন আমি কীভাবে শুয়েছি? উত্তর-দক্ষিণে?
কোনাকুনি, তেরছা শুয়েছি? শুয়েছি আবোল-তাবোল?
হ্যাঁ, এই তো ছিলাম আমি পাখির সংসারে লাঙলের ধারে-ধরা শীত
আর সারসের থির হয়ে থাকা স্থির বিন্দুটির কাছে …
দেখুন, পড়েছে রক্ত! ভেবে দেখেছেন কার রক্ত?
আপনার, আমার, না বরফের?