পাথর-বিবাহ

মুহম্মদ নূরুল হুদা

আমার চারপাশে চকচক করছে আদিম পাথর। হায়, পাথর খুঁটতে খুঁটতে আমার পাখিরাও ভুলে গেছে পাললিক চর। অন্ধ

আমি, আমিও পাথর তুলে রেখেছি আমার দুচোখে। আমার আগে আগে স্বয়ং পাথর আমাকেই শোঁকে। চোখ থেকে বুক, বুক থেকে সারাশরীর। শরীর ছেড়ে ত্রিভুবন ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার মন অধীর।

ঘুরতে ঘুরতে আমি নিজেই এখন জাফলং থেকে কুড়িয়ে-পাওয়া চাঁদের পাথর। চাঁদ মানে এই পৃথিবীর বুকে লকেটের মতো

ঝুলে-থাকা এক পাথুরিয়া চর। সেই চরে কোন দূরতম দ্বীপ থেকে উড়ে এলে হে আমার পাথরতমা?

তারপর শুরু হলো আমাদের শুভদৃষ্টি।

তারপর শুরু হলো আমাদের পাথরদৃষ্টি।

ডানা মেললো না নজরুলের বুলবুল।

‘দৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি আগের মতো গোলাপ ফুল।’

 

অনন্তর সাঙ্গ হলো জনে জনে পাথর-বিবাহ।

আহা! পাথর বোঝে না পাথরের অন্তর্দাহ!