বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু : তরুণদের স্বপ্ন

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
বাঙালির শত বর্ষপঞ্জিতে অনেকগুলি বছর শাসনের, শোষণের, কিছু মুক্তির, কিছু উদযাপনের। ১৯৭১ সালটি ছিল মুক্তির, ১৯৭৫ কষ্টের, লজ্জার। ২০২০ সালটি উদযাপনের। এই বছর আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মের শতবর্ষ পালন করব। বছরটির নাম আমরা দিয়েছি মুজিববর্ষ।

কিন্তু বর্ষপালন তো শুধু কিছু আনুষ্ঠানিকতা নয় – এক বছর ধরে চলতে থাকলে আনুষ্ঠানিকতা আর আনুষ্ঠানিকতা থাকে না, শূন্যগর্ভ হয়ে পড়ে। বর্ষপালন করতে হয় হৃদয় দিয়ে, ভাবনা আর কল্পনা দিয়ে। কেন বর্ষপালন? কী তার উদ্দেশ্য? কারা শামিল হবে বর্ষপালনে? এরকম প্রশ্ন আরো আছে।প্রশ্নগুলোর উত্তরও আছে, এবং উত্তর খুঁজে নেওয়াটা কঠিন কিছু নয়। যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন, যাঁদের নিবিড় গবেষণার বিষয় বঙ্গবন্ধু, তাঁরা জানেন বর্ষপালনটি শুধু তাঁকে স্মরণ করা বা তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়, বরং তাঁর আদর্শ ও চিন্তাভাবনা, সমাজ ও দেশ, রাজনীতি-অর্থনীতি-কৃষি-শিক্ষা নিয়ে তাঁর দর্শন ও কর্মপরিকল্পনাকে অনুধাবন করে তাঁর দেখানো পথে এগিয়ে যাওয়া, তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলি সমাপ্ত করা। মুজিববর্ষের সফল সমাপ্তিতে আমরা পৌঁছাবো শতবর্ষপঞ্জির একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বছরে – স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে। সেই বছরটি আমাদের উদযাপন করতে হবে ব্যাপকভাবে, কারণ জাতি হিসেবে আমাদের যে-অর্জন, তা বিশ্বব্যাপী জানান দিতে, সময়ের আয়নার স্বদেশের গর্বিত মুখ দেখতে, আগামী একশ বছরের জন্য অনুপ্রাণিত হতে এই ব্যাপক উদযাপনের প্রয়োজন। কিন্তু মুজিববর্ষ যদি আমরা পরিষ্কার মন নিয়ে উদযাপন করতে না পারি, যদি আমাদের ভেতর কলুষ থেকে যায়, যদি আমরা গরিব-দুঃখী মানুষের সহমর্মী না হই, যদি তারা আমাদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়, তাহলে সুবর্ণজয়ন্তীর বছরটি আমাদের অপূর্ণতা এবং দীনতাই দেখবে।

২০২০ সালে আমরা বঙ্গবন্ধুকে নতুন করে জানব, তাঁর আদর্শগুলি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবো, তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্নগুলি সমাপ্ত করব। এখন শুধু তাঁকে নিয়ে লেখা বইপত্র থেকেই তাঁকে আমাদের জানতে হয় না, বরং বঙ্গবন্ধুর লেখা দুটি বই পড়েও তাঁকে জানতে পারি, এবং খুব ভালোভাবেই পারি, যেহেতু বইদুটিতে বঙ্গবন্ধু অকপটে নিজেকে নিয়ে লিখেছেন। তাঁর চোখ দিয়ে আমরা স্বদেশ ও সমাজকে দেখি, পাকিস্তানি উপনিবেশী শাসন ও শাসকচক্র এবং তাদের বিরুদ্ধে বাঙালির সংগ্রামকে দেখি। একটি স্কুলে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী নিয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আমার উপলব্ধি হয়েছে, তরুণরা সহজেই তাঁকে বুঝতে পারছে। স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এ-বইটি সাতদিন আগে দেওয়া হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল, এ-বইয়ে বঙ্গবন্ধুর দেশচিন্তার যে-প্রতিফলন ঘটেছে, তার একটি সারাংশ লিখে আনতে। আশিজন শিক্ষার্থীর মধ্যে ষাটজন শিক্ষার্থী সারাংশটি লিখেছিল। এত সাবলীল এবং সুন্দরভাবে যে, শ্রেষ্ঠ তিনজনকে পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কুড়িজনকে পুরস্কার দিতে হয়েছিল, বাকিদের বই উপহার দেওয়া হয়েছিল। যদি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ-কাজটি করতে পারে, তাদের ওপরের বয়সীরা কেন পারবে না?

ওই অনুষ্ঠানে বসে আমার মনে হয়েছিল, আমরা পারি। তরুণরা পারে, অর্থাৎ বাঙালি হিসেবে আমরা পারি। আমরা সৎ হতে পারি, ত্যাগী হতে পারি, দায়িত্ববান হতে পারি। আমরা শিক্ষাগ্রহণ করে আলোকিত হতে পারি, আমরা নীতিবোধে ও নান্দনিকতায় সমুন্নত হতে পারি। আমরা স্বার্থপর না হয়ে পরার্থপর হতে পারি, আমরা দুঃখী মানুষকে ভালোবাসতে পারি। সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে পারি। আমরা গণতন্ত্রের সুস্থ রূপটি আমাদের করে নিতে পারি।

যদি আমরা চেষ্টা করি, উদ্যোগী হই। এবং যদি আমরা বুঝি, জনসংখ্যার ভারে নুয়ে পড়া ছোট একটি দেশকে আমরা বিশ্বসভায় একটা মর্যাদার জায়গায় নিয়ে যেতে হলে এসব আমাদের করতেই হবে, আমাদের পরিশ্রমী হতেই হবে।

বঙ্গবন্ধু একটা স্বপ্ন দেখতেন, দেশটা সোনার বাংলা হবে। সোনার বাংলার রূপ একটা নয়, অনেক।প্রত্যেকে যদি আমরা আমাদের জায়গায় উৎকর্ষ ঘটাতে পারি, অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি, তাহলে সোনার বাংলা হতে দেশটাকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।

দুই

ওই স্কুলের তরুণ শিক্ষার্থীরা যে-সারাংশগুলো তৈরি করেছিল, সেগুলোর সঙ্গে আমার নিজের করা সারাংশটির মিলই বেশি, অমিল খুবই কম। এও এক অবাক বিষয়। আমার ধারণা তরুণরা খুব দ্রুত তাঁর কাছে পৌঁছে যায়, যেহেতু তাদের স্বার্থচিন্তা নেই। তাদের থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে।

তিন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ছয় দফার পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁর বিপক্ষদলীয়রা একে ‘পাকিস্তান ভাঙা’র একটি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর কারাগারের রোজনামচায় এর বিশদ বিবরণ আছে। এতে অবশ্য আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল না, এই বিরুদ্ধবাদীরা সবসময় ছিল তাঁর এবং বাংলাদেশের পথের কাঁটা। তবে যা আমাদের অবাক করে, তা হলো, তাঁর সমর্থক কিছু মানুষজনেরও ছয় দফার সাফল্য নিয়ে সংশয়। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান ছিল একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র, এর সেনাশাসক ‘লৌহমানব’ আইয়ুব ছিলেন খোদ সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল। এই রাষ্ট্রের নেতৃত্বের রাজনৈতিক শিক্ষা বা সংস্কৃতি ছিল না। জুলফিকার আলি ভুট্টোর মতো কিছু ভূস্বামী-রাজনীতিবিদ প্রাতিষ্ঠানিক অর্থে উচ্চশিক্ষিত ছিলেন, কিন্তু তাঁদের কোনো সংস্কৃতি ছিল না। তাঁরা ক্ষমতার প্রয়োজনে খুন করতেও পিছপা হতেন না। বাঙালির ছয় দফার দাবি যত প্রবল হলো, পাকিস্তানিরা নির্যাতনের সকল অস্ত্র কাজে লাগালো, এবং বাঙালির দাবিগুলোকে শুরুতেই নাকচ করে দিতে থাকলো। তাঁদের ক্ষমতায় থাকার একটি কৌশল ছিল বিরোধীদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা, তাদের নিশ্চুপ করে দেওয়া। পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো কার্যকর বিরোধী দল ছিল না, ছিল বাংলাদেশে। এবং এর নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করেন পশ্চিম পাকিস্তানের মাটিতেই। তাঁর সাহস আইয়ুব এবং পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক ক্ষমতাধরদের বিস্মিত এবং ক্রোধান্ধ করেছিল। তাদের দুঃশাসন যে এরপর আরো তীব্র এবং অসহনীয় হবে, তা তো সহজেই অনুমেয় ছিল।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে যাননি। তিনি ভয় পাননি, অথবা ছয় দফার কোনো দফাকে একটুখানি কাটছাঁট করেননি। এবং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এই ছয় দফার আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত আমাদের একাত্তরে নিয়ে গেছে। পাকিস্তানিদের দমন-পীড়নকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করেছেন। পাকিস্তানিরা তাঁকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে, আগরতলা মামলায় তাঁকে রাজনীতির মঞ্চ থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু প্রতিটি ষড়যন্ত্রই তাঁকে নতুন থেকে নতুনতর উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ১৯৭০-এর নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করল, তিনিই বাঙালির অবিসংবাদী নেতা, এবং বাঙালির ভবিষ্যৎ রচনা হবে তাঁরই নেতৃত্বে।

এত বিরোধিতা, কোনো কোনো মহলে সন্দেহ সত্ত্বেও কীভাবে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে গেলেন ছয় দফা এবং স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিয়ে? এর কারণ খুঁজতে গেলে বঙ্গবন্ধুর জীবনে, দর্শনে, রাজনৈতিক চিন্তা ও কর্মপরিকল্পনায় আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। তাহলে অনেক বিষয় আমাদের কাছে স্পষ্ট হবে। এই লেখার স্বল্পপরিসরে এ-প্রসঙ্গে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়।

প্রথমত ছিল বঙ্গবন্ধুর অবিচল আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় প্রত্যয়; তাঁর প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা। দ্বিতীয়ত ছিল তৃণমূলে তাঁর আস্থা, তৃণমূলে তাঁর বিপুল গ্রহণযোগ্যতা, তাঁর বিস্ময়কর সাংগঠনিক ক্ষমতা; এবং তৃতীয়ত ইতিহাস, সংস্কৃতি, গ্রামীণ অর্থনীতি ও মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতায় তাঁর আস্থা। তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আছে, তিনি নানা প্রতিকূলতার মাঝেও এই সত্যকে ধারণ করে এগিয়েছেন যে, উদ্দেশ্য সৎ, জনহিতৈষী হলে এবং তাতে মানুষের সমর্থন থাকলে যে-কোনো শক্তিকে অবজ্ঞা করে এগিয়ে যাওয়া যায়। যারা ঢাকা বা শহরকেন্দ্রিক রাজনীতি করতেন, তাঁরা এ-বিষয়টি বুঝতে পারতেন না; তাঁরা সরকারের শক্তি ও ক্ষমতাকে উদ্বেগ নিয়ে দেখতেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সহযোগীরা জানতেন, এই উদ্বেগ সংগ্রামের পথটাকে বন্ধুর করে দেয়। এবং সংগ্রামে অবিচল নিষ্ঠা সেই পথকে কাক্সিক্ষত গন্তব্যে নিয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ছিল, দূরদৃষ্টি ছিল। তিনি পরিষ্কার চোখে ভবিষ্যৎকে দেখতে পেতেন। অনেক রাজনীতিবিদ সাময়িক বাধার ও সংকটের বৃক্ষের জন্য বৃহত্তর সংগ্রামের বনটাকে দেখতে পেতেন না।বঙ্গবন্ধু দেখতেন। জাতির জন্য ঠিক যখন যে দিকনির্দেশনা ও কর্মসূচির প্রয়োজন, তা তিনি দিয়েছেন। ১৯৪৬-৪৭-এ পাকিস্তানের জন্য সংগ্রামে করেছেন, কিন্তু ১৯৫২-তে পাকাপাকিভাবে তিনি বাঙালির আত্ম-অধিকারের সংগ্রামে নামলেন। তিনি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাঁর অনেক সহকর্মীও তখন তাঁর মতো স্বচ্ছ দৃষ্টি নিয়ে ইতিহাসকে পড়তে পারেননি; তাঁরা বুঝেছেন আরো পরে, ১৯৫৮-তে সামরিক শাসন জারির পর।১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট যখন নির্বাচনে জিতল, পাকিস্তানের রাজনীতিকে বিদায় জানিয়ে বাঙালির নিজস্ব রাজনীতির অভ্যুদয় ঘটল। সেই অভ্যুদয়ের একজন রূপকার এবং রূপান্তরের কারিগর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার পরের ইতিহাস তো আমাদের জানা। ১৯৫৮ সালের পর বাঙালির রাজনীতি, সংগ্রাম এবং কর্মসূচি ছিল পাকিস্তানের সবকিছু থেকে পৃথক। এজন্য আওয়ামী লীগ একটি সর্ব-পাকিস্তান রাজনৈতিক সংগঠন হলেও পশ্চিম পাকিস্তানে এর কার্যক্রম ছিল সীমিত। কারণ বঙ্গবন্ধুর চিন্তার মাঝখানে ছিল বাংলাদেশ ও বাঙালি।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাঙালি-কেন্দ্রিকতা তাঁকে একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ থেকে বিরত রাখেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের আন্দোলনের নয় মাস তিনি পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পেছনে তিনি জুগিয়েছেন প্রেরণা ও শক্তি। এটি সম্ভব ছিল দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর দীর্ঘদিন রাজনীতি করার কারণে। মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করত, তাঁর ডাকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ত। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ তিনি যে-ভাষণ দেন, তাকেই দেশের মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামের নির্দেশ ও রূপরেখা হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধুর বৈশ্বিক দৃষ্টির কারণে তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো এবং সমকালীন বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুচিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি এগোচ্ছিলেন, কিন্তু তাঁর ঘাতকেরা সেই সুযোগ তাঁকে দিলো না। তারা দেশটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল – এখনো তারা আছে, তাদের পেছনে সক্রিয় নানা শক্তি – কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে-বাঙালিকে বিশ্বাস করতেন, সেই বাঙালি আবার জেগেছে, এবং তাদের প্রতিহত করছে। বাঙালি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আশাবাদ ছিল। এই আশাবাদ জিইয়ে রেখে দেশটিকে সামনে নিয়ে এগোলে আমরা তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা দেখাতে পারব। বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর স্বপ্ন এখনো অসমাপ্ত, তাঁকে সমাপ্ত করার পথে নিয়ে যেতে পারলে তাঁর প্রতি আমাদের ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ প্রকাশটা দেখাতে পারব।