বীথি

মাহবুব বারী

 

বীথি, কনের মতোই সেজেছিলে, অন্যের সমস্ত অলঙ্কার পরে,

বিকেল গেছে সজ্জায়, সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে কোনো

মন নেই, বইয়ের ওপর যখন হাত, তখন আরেকজনের হাতে

হাত পড়ে, কেঁপে উঠেছিলে, বাইরে তখন উথাল-পাতাল বাতাস –

 

বাতি নিভে গেছে, অন্ধকারে এমন সময় কার না বুক কাঁপে,

শিহরণে এক শীতল উত্তাপ বুকের উপর থেকে নিচের দিকে…

কাঁপছিল দূরের গাছপালাও, হু-হু করে বাতাস ঢুকছিল ঘরে,

তোমার কালো চুল অন্ধকারে বিদ্যুতের মতো গন্ধ ছড়ায় –

 

এখন বাতাস নেই, সবকিছু শান্ত, পড়ার টেবিলেও কেউ নেই,

যে-কম্পন এতক্ষণ কম্পাসের কাঁটার মতো ঘুরছিল এদিক-ওদিক,

এখন তা স্থির হয়ে গেছে, উত্তরে দক্ষিণে।