ভূমিকা

রেজাউদ্দিন স্টালিন

 

জীবনের বিরম্নদ্ধে যারা অত্যন্ত গোপনে

তারাও বিশ্বাস করে সুদিন আসবে।

একজন ভিখারিও বিশ্বাস করে

দাতাদের অন্তর আরো দয়ার্দ্র হবে।

খরাকবলিত কৃষকের বিশ্বাস এই খাঁ-খাঁ প্রান্তরে

বর্ষণ হবে একদিন।

মা ভাবে তার নিরম্নদ্দিষ্ট সমত্মান

দিগমেত্মর খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসবে, রংধনু।

পরাজিত নিরস্ত্র ভাবে, বন্দিশালার দেয়াল

অকস্মাৎ একদিন ভেঙে পড়বে।

একজন ঈশ্বরে অবিশ্বাসীও ভাবে, স্বর্গেই তার অধিবাস

শেয়ারবাজার ছোঁবে নগরের চূড়া,

ভাবে মন্দা শেয়ার ব্যবসায়ী।

জল ছাড়া মাটির গন্ধ শোঁকেনি নাবিক সেও যেন

আবিষ্কার করবে নতুন এক দেশ।

কেরানির কলমও একদিন স্বাক্ষর করবে চুক্তির সনদে।

বিচ্ছেদের বর্শায় ছিন্ন হৃদয়-প্রেমিক ভাবে

একদিন উপত্যকা বেয়ে হেঁটে আসবে কাঙিক্ষতা নারী।

কবি ভাবেন পৃথিবীর সবচেয়ে মহৎ কবিতা তিনিই লিখবেন

স্বাধীনতার সৈনিক স্বপ্ন দ্যাখে প্রত্যেকটি শিশুর দোয়াত

ভরে উঠবে কালির বদলে রক্তে আর

তাদের রংপেনসিল হবে বারম্নদ দিয়ে ঠাসা।

ন্যুব্জ দ্বিধান্বিত হতাশায়-হতাশায় আত্মঘ্ন মানুষ ভাবে

সে একদিন জ্যোৎস্না কিংবা রৌদ্র দেখে হেসে উঠবে।

 

আকাশে-আকাশে কত সূর্যাসত্ম,

কত সূর্যোদয়ের বর্শায় ক্ষত অন্ধকারের পিঠ।

কত শিশিরের স্বপ্নমৃত্যু;

কত চোখ ঠিকরানো অপেক্ষা,

আর পথে-পথে কত পদধ্বনির শেষ নিঃশ্বাস।