শ্যামলকান্তি দাশ
১
তোমার কান্নাগুলি রত্নসমান।
বারবার ভুলে যাই বারবার ভুলতে পারিনি।
যতবার বাড়ি ফিরি, গানের আড়াল থেকে
কান্না এসে আমাকে কাঁদায়!
২
কেন কাঁদছ? কেন কাঁদছ? কী-বা লাভ কান্নাকাটি করে?
সব কান্না মারাত্মক, সহ্যের অতীত –
কান্নার ধারাভাষ্য ধুয়েমুছে
সযতনে পাত্রে ধরে রাখি।
৩
ছোট-ছোট রক্ত দিয়ে
কেউ হয়তো লিখেছে তোমাকে,
একদিন কারো হয়তো বহুবার কান্না পেয়ে গেল!
ওপারে অশান্ত মাঠ, খেলা চলছে ঝঞ্ঝার মতন!
৪
তোমার চোখের জল স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ,
কম্পমান, সাদা,
হয়তো-বা নির্জনে মেয়েরা পড়েছে –
সে-কারণে দুয়ারে বাঁধন ছেঁড়া,
অবশিষ্ট দরজাও হাট করে খোলা!
৫
এই তো সেদিন, মানে কত দিন, কত-কত অনুজ্জ্বল দিন!
গোধূলির একদিকে তুমি, আর একদিকে
শক্তিশালী তোমার মানুষ –
হঠাৎ চোখের জলে নিথর ঝাপসা দেশ,
আদ্ধেক বাড়ি ভিজে গেল!
৬
আমিও হাসতাম তবে সেরকম মারাত্মক নয়।
আমার হাসির শেষে বোজা চোখ,
ঝিলিমিলি ঝিলিমিলি কান্না লেগে থাকে।
একটি সোনার মেয়ে এই হাসি এই কান্না
কী উপায়ে একদিন খরিদ করেছে!
৭
এমন অসভ্য কান্না, কপাটের ছিদ্রপথে
আগে আর কখনো দেখিনি।
নেকটাই সপসপে, জামাজুতো ভিজে গেল,
অসতর্ক চোখ মনে পড়ে!
৮
এই বই কবিতা কল্পনালতা, লোকে খুব যতœ করে নেবে।
মলাটের অন্ধকারে ধারালো সাপের হাসি –
আমাদের কালো বোন সাশ্রু চোখে
বাড়ি নিয়ে গেল!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.