মানবিক ঋতুর কবি : ইয়ান্নিস রিৎসস

 

শহীদ কাদরী

ইয়ান্নিস রিৎসসের নির্বাচিত কাব্যসংকলন প্রকাশিত হওয়ার পর ইউরোপের সারস্বত সমাজে আলোচনার ধুম পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৭৪-এর আগে পেঙ্গুইন পকেট-সংস্করণের নজরে এই গ্রিক কবি পড়েননি। রিৎসস তাঁর স্বদেশে অর্থাৎ গ্রিসে তিরিশের দশক থেকেই একজন প্রধান কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও – আমাদের কাছে তো বটেই – ইউরোপীয় কলারসিকদের কাছেও অজ্ঞাত থেকে যান। অথচ ঈগলচক্ষু ইউরোপীয় সমালোচকমহলের এই ‘অনিচ্ছুক উপেক্ষা’কে হেতু হিসেবে আধুনিক গ্রিক সাহিত্যের তুলনামূলক পশ্চাৎপদতাকে বা তার অপেক্ষাকৃত তাৎপর্যহীনতাকে যদি দোষীসাব্যস্ত করি; তা-ও ভুল হবে। কেননা শিল্পপ্রেমিক বিশ্ব ইতোমধ্যেই কাভাফি, সেফেরিস, কাজানজাকিস প্রমুখ লেখককে ইংরেজি অনুবাদের মাধ্যমে আত্মস্থ করে নিয়েছে। এমনকি তরুণতর, তাৎপর্যের দিক থেকে ঢের ন্যূনতর ভাসিলিকোজ ও তাঁর দঙ্গলের অন্যরাও প্রাপ্যের চেয়ে বেশি করতালি পেয়েছেন। অতএব পশ্চিমা সমালোচকদের এই দায়ে অভিযুক্ত করা সম্ভব নয় যে, তাঁদের বর্তমান সভ্যতা ও সংস্কৃতির উৎসের প্রতি তাঁরা উদাসীন এবং অনীহ। কবিতার একটি আমত্মর্জাতিক পুরস্কারের শিকে রিৎসসের কপালে ছেঁড়া সত্ত্বেও (১৯৭২ সালে বেলজীয় সাহিত্য পুরস্কার) এবং একই বছরে পশ্চিম জার্মানির সাহিত্য ও বিজ্ঞান আকাদেমির সদস্যপদে নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও পেশাদার ইংরেজি অনুবাদকেরা ইয়ান্নিস রিৎসসের রচনাবলির অনুবাদকর্মে যথেষ্ট গড়িমসি করেছেন। অথচ ভাবতে অবাক লাগে যে, চোখের পলক পড়ার আগে ডাক্তার জিভাগো থেকে শুরু করে হসত্মীসদৃশ গুলাগ অকিপেলাগো – এঁদের দ্বারাই ইংরেজিতে ভাষামত্মরিত হয়ে যায়। সম্ভবত এটা না ভেবে উপায় নেই যে, যে-রহস্যময় কারণে রিৎসসকে বারবার কারাগারের কড়িকাঠ গুনে কালাতিপাত করতে হয়েছে, সে-ই একই কারণে ‘মুক্তবিশ্বের’ অনুবাদকেরা রিৎসসের প্রতি বিমুখ থেকেছেন। অবশ্য, ভাষামত্মরিত না হওয়ার বেদনা রিৎসসকে খুব একটা ভাবিয়েছে বলে মনেও হয় না। রিৎসস আরো গভীরতর ও তীব্রতর নৈঃশব্দ্যের শিকার হয়েছেন। একবার (১৯৩৬-৫২) প্রায় ষোলো বছর তাঁকে কলম সংবরণ করে থাকতে হয়েছে অর্থাৎ কবিতা লিখতে হয়েছে হাওয়ায়, গাছের পাতায়, পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে কারাকক্ষের ধুলায়। জরাজীর্ণ সমাজের অগ্নিশুদ্ধিতে বিশ্বাসী রিৎসসের রাজনৈতিক দর্শন গ্রিসের তদানীমত্মন রাষ্ট্রীয় কর্ণধাররা গিলতে না পেরে তাঁর কলম চালনা নিষিদ্ধ করেছিলেন। তাঁর মতো বহুপ্রসূ কবির পক্ষে এই নিষেধাজ্ঞা যে কী পর্বতপ্রমাণ বেদনা ও অপমানের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তা অনুমান করা কঠিন নয় মোটেই (ইয়ান্নিস রিৎসস তাঁর চলিস্নশ বছরের কাব্যজীবনে প্রকাশ করেছেন ৪০টি মৌলিক ও ৯টি অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ)। কিন্তু জীবনের প্রারম্ভ থেকেই রিৎসস এ-সত্য প্রতিপন্ন করেছেন যে, তিনি অগম্য ও অবিনাশী আত্মার স্বত্বাধিকারী। ইতিহাস এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিপর্যয় তাঁকে বহুবার নিক্ষেপ করেছে সেই গহবরে, যার কাঁটালতা বেয়ে উঠে আসতে পেরেছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা খুবই কম। ১৯২২ সালে ১৩ বছরের বালক রিৎসস দেখলেন এশিয়া মাইনরে গ্রিকদের পরাজয়, আভূমিনত হয়ে গ্রহণ করলেন জাতীয় অবমাননা। এই ঘটনা তাঁর ঐতিহ্যগতভাবে ভূমি-নির্ভর পিতার মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করল, তাঁর ঠাঁই হলো উন্মাদ-আশ্রম। এর প্রায় এক বছর আগে রাজব্যাধিতে আক্রামত্ম হয়ে মারা যান তাঁর মা ও এক ভাই। ফলে অল্পদিনের মধ্যেই মসিত্মষ্ক বিকৃত হলো তাঁর বোনের। এদিকে প্রাণধারণের জন্যে নানা ধরনের কাজ করতে হচ্ছে রিৎসসকে – টাইপিস্ট, কেরানি, হস্তলিপিবিদ এবং শেষ পর্যমত্ম নৈশক্লাবের নাচিয়ে। এই দ্রম্নতগতি, উদ্দাম জীবন বেশিদিন সহ্য হলো না তাঁর, কিছুদিনের মধ্যেই রিৎসস নিজে যক্ষ্মার শিকার হয়ে এথেন্সের এক স্যানিটোরিয়ামে একটানা তিন বছর শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে থাকলেন। কিন্তু ইতোমধ্যে টাইপ আর নৈশক্লাবের নৃত্যের জীবনেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর্যায় শেষ করলেন সাফল্যের সঙ্গে। ‘কীটদষ্ট যুগ-যুগের আধিপত্য’ থেকে মুক্তি পাওয়ার তাড়না তাঁকে নিয়ে গেল সূর্যালোকিত ক্রিট দ্বীপপুঞ্জে। সুস্থ হয়ে ফিরে এলেন যে-এথেন্সে, তাকে তিনি আর চিনতে পারলেন না। রাজধানী তখন চলে গেছে আনাতোলিয়ার উদ্বাস্ত্ত, দারিদ্র্য আর পূতিগন্ধময় মৃত্যুর দখলে। বেকার রিৎসস লজ্জার বালাই ঝেড়ে ফেলে আবার নর্তক হিসেবে একটি নাট্যদলে যোগ দিলেন। ইয়ান্নিস রিৎসস নায়কোচিত বীরত্বের সঙ্গে নিজেকে ধারণ করে রাখলেন ব্যক্তিগত জীবন ও গ্রিসের ইতিহাসের সবচেয়ে
দুর্যোগপূর্ণ সময়টাতে, যখন কিনা তাঁরই বন্ধু ও সমকালীন কবি কারিয়াতাকিস আত্মহত্যা করলেন ‘বিশ্ব ও নিজের প্রতি বিমুখতাবশতঃ’। রিৎসসের প্রাণশক্তির উৎসরূপে কাজ করে তাঁর দুই ভালোবাসা – কবিতা ও রাজনীতি। তাঁর প্রথম দিকের রচনায় (ট্রাক্টর – ১৯৩০-১৯৩৪-এর মধ্যে লিখিত কবিতাগুলো এতে পাওয়া যায়) একই সমামত্মরালে ব্যক্তিগত ও রাজনীতিস্পৃষ্ট কবিতার উপস্থিতি লক্ষণীয়। এ দ্বিচারিতা তাঁর পরবর্তী গ্রন্থগুলোতেও অক্ষুণ্ণ থাকে। ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত পিরামিড গ্রন্থটিতে মার্কস এবং এঙ্গেলসের স্তবগাঁথার পাশাপাশি শামিত্মপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাস করছে মৃত্যু, মানসিক বিপর্যয় ও ব্যক্তিত্ব-বিলুপ্তির কবিতা, যাদের দাপট নিজের পরিবারের ওপরই তিনি দেখে এসেছেন ১৩ বছর বয়স থেকে। অল্প বয়সেই আত্মার মধ্যরাত্রির সঙ্গে পরিচয় তাঁকে যেমন অসময়ে পরিপক্ব করে তোলে, তেমনি সুন্দরের আক্রমণে মনোরমভাবে বিপর্যস্ত জীবনের
কথাও তিনি বলতে শেখেন এক মরিয়া, দাঁতে-দাঁত-পেষা আশাবাদিতায়। রিৎসস মাঝারি ক্ষমতার শিল্পীদের মতো জীবনকে কেবল একটিমাত্র একঘেয়ে ধূসর রঙে ক্লামিত্মকর করে তোলেননি। কৈশোরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যাঁর কণ্ঠ (‘কখনো আমি ছেলেমানুষ ছিলুম মনেই পড়ে না/ পক্ষাঘাতগ্রস্ত বুড়োদের মতো প্রাচীন গ্রন্থকে সঙ্গী জেনেছি রুদ্ধদ্বার ঘরের ভেতর…’) শোকার্ত হয়ে ওঠে, তার স্তরেই আবার শুনতে পাই অন্যরকম উত্তাল নিক্কণ :

 

হ্যাঁ, সত্যি

হ্যাঁ, সত্যি, সুন্দর এই চরাচর। গাছতলায় দাঁড়ানো একজন লোক একবার খুব চিৎকার করে কেঁদেছিল ভালোবাসার আনন্দে। সে ছিল মৃত্যুর চেয়ে মহার্ঘ, মূল্যবান এবং শক্তিশালী, সেই লোকটা –

আর তাই আমাদের গান।

কেউ থামাতে পারবে না এই গান। অবিচ্ছিন্ন আমাদের গান। ‘সুন্দর এই চরাচর’ – আমরা বলি, দীপ্র আবেগে বলি, বারবার বলি, রুটি চিবুতে চিবুতে, দাঁতে-দাঁত পিষে বলি, ‘সুন্দর, সুন্দর, সুন্দর, সুন্দর এই চরাচর’ – আমাদের গান আমরা গাইতে থাকি \

রিৎসসের কৈশোরিক জীবনের অন্যতম প্রধান ঘটনা হচ্ছে ১৯২২ সালের জাতীয় বিপর্যয় এবং তার আনুষঙ্গিক আর্থনীতিক-সামাজিক পরিণাম, যা কিনা গ্রিক ইতিহাসবেত্তারা ‘ভয়াবহ’ বলে চিহ্নিত করেন। এর অভিঘাত আজো অনুভূত হচ্ছে। কনস্টান্টিনোপলের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার জাতীয়তাবাদী হঠকারী স্বপ্ন এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরীর এলাকার প্রধানতম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গ্রিসের পুনরুত্থানের আকাঙক্ষা আমূল অবসিত হওয়ার পর গ্রিকদের (বিশেষত বিদ্বৎসমাজের সদস্যদের) জন্যে এমন এক মানসিক শূন্যতার সৃষ্টি হলো, অর্থহীনতার এমন এক চক্রে তাঁরা আবর্তিত হতে শুরু করলেন যে, কেবল একটি স্পর্শসহ ও স্ফটিক-স্বচ্ছ ‘আদর্শ’ আলিঙ্গনের জন্যে তাঁরা বিশ্বব্রহ্মা- হাতড়ে বেড়াতে শুরু করেন। এই সময় অনেকেই আমত্মর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের অমত্মর্লীন স্বপ্নের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেন, কেউ-কেউ আবার নিজেদের সমর্পণ করলেন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অগ্নিশুদ্ধির পর পুনরুজ্জীবিত, উৎসাহমুক্ত এক ধরনের নব্য মানবতাবাদের কাছে। এই নব্য, রক্তপাতের স্মৃতিবাহী ‘মানবতাবাদ’ তাঁরা গ্রহণ করলেন সেই ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর দৌত্যে, যাঁদের জাতীয় আকাঙক্ষাগুলো গ্রিসের মতোই ধূলিসাৎ হয়েছে।

আধুনিক গ্রিক কবিতার নবজন্মের ক্ষেত্রে সাম্যবাদ ও বুর্জোয়া মানবতাবাদের ভূমিকা সমপরিমাণভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্যবাদের কল্যাণে প্রেমকেন্দ্রিক ও নিসর্গবন্দি গ্রিক কবিতার সীমা অনেকখানি বেড়ে গেল : এমন সব ‘অকুলীন’ বিষয় তার অমত্মর্ভুক্ত হলো, যা ‘শ্রমিক শ্রেণিরও বোধগম্য’। আর দ্বিতীয় দল যুদ্ধবিধ্বস্ত পশ্চিম ইউরোপের কাছ থেকে আনল শৈল্পিক সার্বভৌমত্বের ভাবনা, চূর্ণ-বিচূর্ণ ব্যক্তিবিশ্ব ও এক তুলনারহিত আত্মসচেতনতা।

আধুনিক গ্রিক কবিতার ‘জন্মদিনকে’ অবিকলভাবে শনাক্ত করতে হলে ১৯৩৫ সালকেই ‘নবজাতকের’ আবির্ভাবের বছর হিসেবে উলেস্নখ করতে হয়। এই বছরেই প্রকাশিত হয় জর্জ মেথোরিসের মিথিসতোরেমা, বিভিন্ন সাময়িকপত্রে এলাইটির কবিতাবলি এবং দেখা দেয় এমবেরিকোমের প্রথম পরাবাস্তববাদী শব্দোচ্ছ্বাস। পরের বছরই (১৯৩৬) মন্থর হামাগুড়ি দেওয়া আধুনিক গ্রিক কবিতা এপিটাফিয়োস প্রকাশিত হওয়ার পর যেন কোমরে হাত দিয়ে দুপায়ে উঠে দাঁড়াল। বইটি আজো ইয়ান্নিস রিৎসসের দীর্ঘ কবিতাগুলোর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হচ্ছে। অল্প কিছুদিন পর, অর্থাৎ ১৯৩৭ সালে, রিৎসস বের করলেন দি স্টোরি অব মাই সিস্টার – তাঁর বিকৃতমসিত্মষ্ক সহোদরার ভয়াবহ নিয়তিবিষয়ক একটি দীর্ঘ শোকগাথা। অগ্রজ কবি পালামাস (গ্রিক কবিতার একজন প্রধান পুরুষ) রিৎসসের বোনের এই বিপর্যয়ের গল্প পড়ে এতটা চঞ্চল হয়ে ওঠেন যে, তন্মুহূর্তে তিনি রিৎসসকে সম্বোধন করে একটি রুবাই রচনা করেন, যার শেষ পঙ্ক্তি হচ্ছে : ‘এসো কবি, আমরা সরে দাঁড়াই, তুমি তোমার স্থান গ্রহণ কর।’

এপিটাফিয়োসের (epitaphios) বিষয়বস্ত্ত আহরিত হয়েছিল সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনা ধারাকে এবং আমার সহোদরার কাহিনি লিখিত হয়েছিল আত্মজৈবনিক উপাদানের ভিত্তিতে। এই দুই বিপরীত প্রবণতা এমন এক দ্বান্দ্বিক সম্পূর্ণতা লাভ করেছে
রিৎসসের সমগ্র রচনাবলিতে, যার উদাহরণ অত্যমত্ম বিরল (কিন্তু একেবারেই দৃষ্টামত্মরহিত নয়, কেননা স্বাভাবিকভাবেই এই সূত্রে পাবলো নেরুদা, বিষ্ণু দে, এলুয়ার ও সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কথাও মনে আসতে পারে)।

ইয়ান্নিস রিৎসস হচ্ছেন সেই জাতীয় দুর্লভ কবি, যিনি কিছুই ত্যাগ করতে চান না – বিপস্নবের জন্যে কবিতা কিংবা কবিতার জন্যে বিপস্নব। তবে সন্দেহাতীতভাবে কাব্যকলার ক্ষেত্রে একটি বিপস্নব তিনি ঘটিয়েছেন – আমত্মর্জাতিক প্রেক্ষেতে না হলেও স্বদেশের পটভূমিতে তার মূল্য অসীম। স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে, সেই পটভূমি হচ্ছে গোটা গ্রিক ভাষা ও সাহিত্য অর্থাৎ আধুনিক বিশ্বের মানসিক উৎকর্ষের প্রধানতম উৎস। তা ইয়ান্নিস রিৎসস তাঁর সৃষ্টিশীলতার ইঙ্গিত যেখান থেকেই গ্রহণ করুন না কেন, এই পঙ্ক্তিনিচয়ের সর্বজনীন আবেদন  এই গ্রন্থের আইখম্যানরা ছাড়া আর সকলেই স্বীকার করবেন :

শামিত্ম মানেই নিস্তরঙ্গ সন্ধ্যার শেষে রুটির সৌরভ,

যখন তে-রাসত্মার মোড়ে হঠাৎ থেমে যাওয়া কোন গাড়ি রটায় না সন্ত্রাস

যখন দরোজায় টোকা মানেই বন্ধুর চিরচেনা মুখ

শামিত্ম মানেই টেবিলে-রাখা এক বাটি গরম সাদা দুধ,

আধ-খোলা গল্পের বই সেই ছেলেটির সামনে,

যে ঘুম থেকে উঠে বসবে আরেকটু পরেই…

(‘শামিত্ম’)

আমার অপটু অনুবাদ মূল গ্রিকের ইংরেজি ভাষামত্মরের চেয়েও
অসমর্থ, সন্দেহ নেই। তবু বলছি, সেই সমালোচক অথবা ভদ্রলোকের সাক্ষাৎ পেলে খুশি হব উপযুক্ত পঙ্ক্তিগুলো যার হৃদয় স্পর্শ করতে পারছে না।