যন্ত্র তো উদ্বাস্ত

বায়তুল্লাহ্ কাদেরী

 

যন্ত্র তো উদ্বাস্ত্ত

যন্ত্র হকচকিত, কিংকর্তব্যবিমূঢ়!

যন্ত্র আসে…

যন্ত্র তার হরিৎ ডিমটুকু পেড়ে যায়

তোমার-আমার বাসনার কুঁজোজলে!

যন্ত্র অবিরাম

তার মাথাটা টেকো করতে থাকে –

জলাভূমি ছেড়ে আমরা যখন একটুখানি তেষ্টায়

রেলক্রসিং পার হয়ে যখন সন্ধ্যা

অতি নিরীহ মুরুবিব ছাড়া আর কিছুই নয়, তখন

যন্ত্র আসে অবুঝ ঝড়ের রাতে

মেয়েলোকের কোমর-ধরা আলুথালু

অন্ধকারের মতন;

যন্ত্র অ্যানাটমি হয়ে

আসে, আসে, আসে…

একটুও হাসতে পারি না; বিলের ধারে

মাছের হ্যাচারি, সেখানেই নাকি হাসি আর কান্না

একাকার প্রেতিনীর ধবল বিড়াল

হাসি ধরে থাকে –

যাহোক, যন্ত্র আসে ইঞ্জিনবোটের ভটভটে

কুয়াশায় নদীর চাতালে ইলিশের রূপে

ঘ্রাণ ছড়িয়ে; আমি আর তুমি একটু ব্রেকআপের পর

আবার কোন ফ্রয়েডকে দেখে বলো…?

এরকম হিমানির মধ্যে তুমি আর আমি

আবার বসতে থাকি? আবারো চুলের ঘ্রাণে

তোমার… সেলফোনে তুমি আমার কিনারা খুঁজেছো

তুমিও বলেছো ব্রেকআপ… ব্রেকআপ – অতঃপর ক্রা…

শ্শ্শ্শ্

হ্যাঁ, এই অবুঝ সন্ধ্যায়

দিয়াবাড়ির কাশবনের ঝুলন্ত আকাশে

যন্ত্রের হরিৎ বিবাহ… প্রগাঢ় ফটোসেশন।