যাত্রা

ভোর নিয়ে জেগেছে পাহাড়
বাদামি শূকরছানা পড়ে আছে
চোয়ানির উচ্ছিষ্ট ভাতের পাশে
হলুদের সত্মূপ পার হয়ে আসে আলো
নতুন বাসার খোঁজে এই
পাহাড়ের কাছে এতদিন পর
রেডলেডি পেঁপের বাগান
সারি সারি মাচাঙের ঘর
কয়েকটা থুরং চিৎ হয়ে পড়ে আছে।

এখানে আসিনি আগে, নাকি
আগেও এসেছি বহুবার
ঝরনায় লাগানো সরু বাঁশনল
টুপটাপ জলে ভিজে ওঠে মন।

ব্যান্ডেজে মোড়ানো মেয়েটাকে রেখে
এসেছি শহরে
ছেলেটার রাস্তা পার হতে ভয়,
কে ওদের হাত ধরে নেবে
নিরাপদ ভোরে।
আমি তবু শৌখিন ট্র্যাকার

পাহাড়ি ঝরনা ধরে
হেঁটে যাই সিপ্রম্ন পাড়া
ব্যাগে অডোমাস, পিঠে তাঁবু
খাড়া পাহাড়ের ভাঁজে
দু-একটা ত্রিপুরা বসত
কাছেপিঠে সমতল মাঠ পেলে
লুসাই ছেলেরা ফুটবল খেলে।

লালথাঙ্গা লুসাই শিখছে হিব্রম্ন
আব্রাহাম ভাবে কত দূরে আর
ইহুদির পুণ্যভূমি জেরুজালেম
তার কফিক্ষেতে ভেজা তাওরাত
ফুল হয়ে ঝরে পড়ে।
কফি ফুল তুলে নিয়ে তাকে বলি
স্ত্রী, স্নেহের শিশু ফেলে
এইখানে থেকে যাব চিরকাল।
জানো তো নুসরাত দেখতে
ঠিক আমার মেয়ের মতো
এই সত্য ভুলে গিয়ে
এইখানে থেকে যাব।

কংলাক পাড়া পার হলে গর্জনের বন
মেঘ আর বাতাসের ঢেউ
দেখ, সারা পাহাড়জুড়ে
টুলেট লিখে গেছে কেউ।