যেন কাঠকয়লা যেন তুষের অনল

তমিজ উদ্দীন লোদী

যেন কাঠকয়লা যেন তুষের অনল-অগ্ন্যুৎপাত নয়
যেন জলকণা যেন বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাস নয়
যেন লাভা যেন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি-বিস্ফোরণ নয়।

তবু কীভাবে যেন অগ্ন্যুৎপাতে জলোচ্ছ্বাসে বিস্ফোরণে
ফেটে পড়ছে। ফেটে পড়ছে তরুণ-তরুণী-যুবক-বৃদ্ধ আপামর –
মানুষের অভীপ্সার সমান্তরালে ভেসে যাচ্ছে খড়কুটোর মতো
ভীরুতা ও কৌটিল্য।

পুঞ্জীভূত ক্রোধ পুঞ্জীভুত ঘৃণা একটি অহিংস অবয়বে
তারুণ্য কী প্রজন্মের হাত ধরে ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে
বিস্ফোরিত হচ্ছে অ্যাক্রিলিকে আঁকা শিল্পের মতো আর
মানুষ এসে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে –

হায় এ কোন জাগরণ!
অমৃত সাগরে অমৃত øান! ধ্র“পদী সংগীতের মতো বেজে যাচ্ছে ক্রমাগত।
বেজে যাচ্ছে নাড়ির স্পন্দন অসংখ্য অজস্র জনতার
যেন জালালি কৈতর ঝাঁকবেঁধে উড়ে যাচ্ছে বিমুক্ত আকাশে।

মিথ কি কিংবদন্তির মতো
সংহতি কি সম্প্রীতির মতো
দুরারোগ্য আবেগও নৈর্ব্যক্তিক। সংহত পরিশীলিত।
দৃঢ় ও শিলীভূত।

যে-পাপ যে-ক্লেদ যে-গ্লানি চেপে বসেছিল পাথরের মতো জগদ্দল
যেন তা চূর্ণ হয়ে বিচূর্ণ হয়ে ভেসে যাবে সুনামির মতো
আর জলোচ্ছ্বাসের পর সুনামির পর হঠাৎ জেগে-ওঠা চরের মতো
জেগে উঠবে নতুন বাংলাদেশ।