যে এলো সে চলে যায়

শাহজাদী আঞ্জুমান আরা

 

হাওয়ায় পাতা পড়ার মতো শব্দ ভেসে আসে

যেন স্বপ্নের শিথান ছেড়ে কেউ

উঠে আসছে পাড়ে

ব্রীড়াবতী রমণীর মতো শ্ল­থ, ঢলঢলে …

 

স্বর্গের বাগানে যে এলো

উৎসুক দুচোখে দেখলো না কেউ

যেন দুর্ভিক্ষের পাথর রে-কিশোরী

নিজেই কুড়িয়ে নাও

চেতনার মাটিতে তার আগে সার।

বাগানে জমে আছে কিছু অন্ধকার অনুভূতি

এলোমেলো চারা,

খাদের মতো অনিশ্চিত গভীরতা

যদি পারো এর মধ্যে দিয়ে নিজেই নিজেকে বুঝে নাও,

অপেক্ষা কর –

 

­শ্লথ, ঢলঢলে যে এলো

কাঙ্ক্ষিত জিনিস পাওয়া যায় কিনা জানে না সে

প্রেমের মৃত্তিকার কঠিন পাঁজরে ফুল ফোটাবে বলে

সে বসে রইলো কিছুকাল

 

 

 

 

 

 

 

 

দুর্ভিক্ষের পাথর দেখলো,

দেখলো হৃদয়ের অন্ধকার

শষ্পের মতো তার সে কোমল, আর্দ্রতায় ভেজা

অবয়ব

 

এক সময় লালিত্য হারায়

বুকের ভেতর তবু অস্পষ্ট, স্পষ্ট সব স্বপ্নরা

জেগে থাকে।

এ বড় কষ্টের সময়, এ বড় দুঃখের সময় তার!

 

দুর্ভিক্ষের বাগানে যে শূন্য বুকে সে এসেছিলো,

ফিরে যায়

একবুক দুঃখ নিয়ে

পাতা পড়ার মতো নিঃশব্দে

বড় শ্ল­থ, ঢলঢলে একদিন

চলে যায় সে

হাওয়ায়  শুধু তার চলে যাওয়ার শব্দ ভাসে,

হাওয়াতেই মিলিয়ে যায়।