শরৎ-পাওয়া

(কবি আবদুল মান্নান সৈয়দের উদ্দেশে কিছু …)
আইউব সৈয়দ

ও কবি, তীব্র কি রৌদ্রের শিশির? নিটোল গল্পের সাহস? চশমাপরা
সত্যের রশ্মি? শ্রম্নতির ভিতর খিলখিল রুচি, শরৎ-বাতাসে ছোটাছুটি
করে স্বপ্নাক্রান্ত হয়েছে কি সময়?
২.
ও তারকা কবি, সামাজিক দায়িত্বের ছাঁচে, গোধূলিতে কেঁপে উঠেছো?
নাকি, রেখেছো স্পর্শ ঝিলিমিলি তোলা আবিরমাখা দৃশ্যাবলিতে?
অভিজাত আলোকের ‘গণসাহিত্য’ ফিরিয়ে এনেছো বুঝি? মানিয়েছো
উঁচু-নিচুর কোলাহলে তুমি কি স্বপ্নমহল?
৩.
জ্যোৎস্না ডিঙানো নির্জনতার মতো রুপালি কবি; প্রতিধ্বনি করা
হে কবি; বলিষ্ঠ উচ্চারণ, স্বাগত উচ্চারণে রাত্রি ভাঙো; উচ্চারণের নীতি
কি ভোরের বীথি? জিজ্ঞাসার সুতোয় বোনা আড্ডা তুমি, তুমুল প্রাণ
উচ্ছ্বাসের মতো শিউলিশব্দ, যা কুড়িয়ে নিতে রোমাঞ্চিত করো উপমা?
কালোত্তীর্ণ গুঞ্জরণে, সঞ্চালিত করে চলেছো পশ্চিমের পাড়াগুলো?
যেন বহুরূপে চাঁদ হাসে; মধ্যনিশীথের স্বরলিপি খানিকটা খোঁজে
আনমনে ডাকো? নাকি দায়ভারে ঋণগ্রস্ত হও?
৪.
কবি, ধানের অঙ্কুরে চন্দ্রের আলো তুমি; শিল্পের হাজার সুরে
বাজছো; প্রথাগত নয় কোনো কিছু, দেখিয়েছো অসহ্য সৌন্দর্যে পবিত্র
সব উথাল-পাথাল শরতের সৃষ্টি?
৫.
ও কবি, স্বাপ্নিকের কালে রঙিন হয়েছো, জানো গ্রীবার অজস্র গান –
প্রফুলস্ন কম্পনের সত্যে, মনোরম সত্য, মেধাবী মনোরম সত্যে
উদ্দীপনা ভরা বিখ্যাত মনোরম সত্য – তুমি সঠিক পথপ্রদর্শক,
যে-পথে পুঁথির ধূসর পাতা শরৎফুল হয়!