শিলাইদহের পাশে কালাইতলার মাঠে

দুলাল সরকার
দেহটাকে রেখে যাবার সময়ও বলব
আকাশ, নোঙর ফেলা দূরের দিগন্ত,
ছায়াবৃত সূর্যালোক, নদীঘেরা আমার স্বদেশ –
পরিচিত পথের ধুলার গাঢ় অধিকার বোধ
সবুজোজ্জ্বল বৃক্ষের সান্নিধ্যে নত মেঘলোকে
আমার শস্যক্ষেতে পুণ্য প্রণাম;
সেদিনও বলব এই তুলনাহীনার গল্প
কষ্টের মৃদঙ্গ শেষে তনয় তনয়া ঘিরে
জলস্পন্দে রাজহাঁস আবরিত
পুকুরের ঢেউয়ে সাদা মেঘের পালক দুটি
ঘাড় উঁচু এসব গল্পের স্মৃতি – সকৃতজ্ঞ
অভিমান দৈহিক মুকুরে দৃশ্যপট;
বসতবাড়ির ঘ্রাণে বরাদ্দ সময়
নিষ্ঠাবতী নিঃশব্দ মৃত্তিকালগ্ন শস্যের ধারে দেখা
বিদেহী আকাশে ঝুলে গেরুয়া বিকাল,
কোথাও না যেতে চাওয়া কুর্চি ফুলের মতো নিবিড় আসক্তি
থোকা থোকা ভাঙা মিল, পাখির অস্তিত্বে দেখা নিজের অস্তিত্বে ফোটা
বলব প্রণয় পঙ্ক্তি, শাপলার জলজ নালির মৌনে
ফুলে পরিণত বিল শিলাইদহের পাশে কালাইতলার মাঠে
গেরুয়া সংঘাত।