সকল কলুষ তামস-হর 

পিয়াস মজিদ

এক যুগ পর প্রকাশ পেল রুবী রহমানের নতুন কবিতার বই তমোহর। ১৯৮২-তে যুগলবন্দি বই ভালোবাসার কবিতা, ১৯৯১-এ যে জীবন ফড়িঙের আর

২০০৬-এ কান পেতে আছি, মৌমাছি নিয়ে তাঁর মিতায়তন অথচ দীপ্র-ব্যাপ্ত কবিতাসংসার। পঁয়ত্রিশ কবিতাপুষ্পে গাঁথা মালা তমোহর; বেঙ্গল পাবলিকেশন্সের অনবদ্য প্রকাশনা, রুবী রহমানের ব্যতিক্রমী বই।

নিজের নাড়ি-ছেঁড়া ধন হঠাৎ মায়ের কোল ফেলে বিরুদ্ধ হাওয়ায় হারিয়ে গিয়ে চিরকালের মতো নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, আবার কবি-মাতার বইয়ের শিরোনামে সে লাভ করে নতুন জন্ম। কবিতার আলোচনায় নৈর্ব্যক্তিকতা আমাদের সর্বোচ্চ-কাম্য, তবু কবিতা যখন তার ছন্দবাক্যবিন্যাসের বিদ্যমান কাঠামো ভেঙে প্রাণের প্রতিনিধিত্ব করে তখন আসতেই পারে ব্যক্তিকবির প্রাণের মানুষদের কথা। এই বইয়ে যেমন এসেছেন কবির সাংসারিক ব্যক্তিবর্গ – স্বামী, মাতুল, পুত্রকন্যা আবার বৃহৎ সংসারের আত্মার আত্মীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিংবা জননীসাহসিকা সুফিয়া কামাল। প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে আর রুবী রহমানের কবিতায় এসে তাঁরা যেন প্রাণের পরিসরই আরো বাড়িয়ে দিয়ে চলে। ২০০৬-১৮; বারো বছরের গল্প যখন গদ্যের পাষাণ ফুঁড়ে কবিতাকোমলে রূপ পায়, তখন কবিতার সমান্তরালে আমাদের পড়া হয়ে যায় কবি ও পৃথিবীর যুগ্ম-যুগবিবরণীও। সময়ভাষ্য তো বটেই তবে তা লাবণ্যমাখা ভীষণ। উদ্বোধক কবিতাটি পড়া যাক –

 

জানি না কী মূল্যে এই মানুষ জন্ম আমি

পেয়ে

ভূমিষ্ঠ হয়েছি। এর চেয়ে

আর যে কিছুই মূল্যবান নয় সেটা বুঝিনি তো

মুহূর্তের জন্য ঝলকে উঠে এই বোধ অন্তর্হিত

হয়ে যায়। তাই বুঝি এলোমেলো দক্ষিণ

সমীরে

খোলামকুচির মতো জীবনটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে          ধীরে ধীরে

ফুরিয়ে ফেলাও মনে হয় সংগত।

 

জীবন মহার্ঘ তবু। এই বোধ মেনে আপাতত

জীবনের চীর জীর্ণ বিবর্ণ পোশাকে

দু’চারটি পালক গুঁজে দিয়ে যেতে হবে

সোনার সুতোয় গেঁথে তুলতে হবে বিশ্বসংসার।

সাদা ছড়ি হাতে নিয়ে জন্মান্ধ থমকে আছে             মধ্যদিনে যবে

গর্জমান ট্র্যাফিক সিগন্যাল থেকে তাকে

হাতদুটি ধরে করে দিতে হবে পার

জটিল পান্থপথ কাওরান বাজার।

(‘মধ্যদিনে যবে গান’)

 

কবির কবিতা-হাতের গুণে চেনা শব্দবন্ধে এবং ব্যবহার্য প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গে নবীনতার রং লাগে। তারা হয়ে ওঠে অনিন্দ্য। এই যেমন আমাদের চলাফেরার নিত্যপথ – পান্থপথ, কাওরানবাজার তাদের অবস্থানগত সীমা ছাপিয়ে কবিতায় নতুন ব্যঞ্জনায় অভিষেক পায়, তারা তখন ঢাকা মহানগরের সড়কবৃত্ত ভেঙে যাত্রা করে জীবনের অনিবার্য পথকোণে। মেট্রোপলিটন মন কবিতায় কী করে তার পরিধি তৈরি করে, সে-সাক্ষ্যও ধরা থাকল এ-কবিতায়। সেইসঙ্গে ‘চীর জীর্ণ বিবর্ণ’র মতো পুরাণকল্পের অনায়াস ব্যবহার কবির যৌগিক সাধনা ও ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের নিঃসংশয় করে। কবিতার শিরোনাম ‘মধ্যদিনে যবে গান’।

আমরা জানি, আলোচ্য কবি সংগীতভুবনেরও মানুষ। তবে প্রথানুগ গীতিকবিতা তিনি লেখেন না কদাপি বরং এক নিরুচ্চার সুরের কল্লোল বেঁধে রাখে তাঁর কবিতার কায়াম-ল। যদিও এ-বইয়ের অন্তত দুটো কবিতা ‘চৈত্রসংক্রান্তির চিঠি’ এবং ‘আজ আমি দাঁড়ালাম’কে সুরের তারে তোলা যেতে পারে বইকি –

চিঠি তো তোর কচি পাতার খামে

ভরা হয়েই আছে কবে

রক্ত দিয়ে কান্না দিয়ে বুকে বজ্র জ্বেলে

চিঠি ছিনিয়ে নিতে হবে

তোকেই ছিনিয়ে নিতে হবে ॥

(‘চৈত্রসংক্রান্তির চিঠি’)

মনে করতে পারি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘জীবন’ নামের জীর্ণ শাড়িতে শিল্প-সাহিত্য-সংগীতের বিভা জরির পাড় পরিয়ে দিয়ে যায়। ‘একটি দেহাতি গান’ কবিতার শুরুতে তিনি শরণ নেন অজিত পা-ের এমতো গানের –

 

টুসু পরবে যাবেক লাই পীরের মেলায়

যাবেক লাই

চুরি আলতা পরবেক লাই, খোপায় ফুল

পরবেক লাই

এই চাষনালার খনিতে মরদ আমার হারাই

গেল গো…

কবির জীবন থেকে নেওয়া বেদনার ডালি অদ্বৈত হয়ে যায় গানে উল্লিখিত নারীভাগ্যের সঙ্গে –

এখন আমার মাটির নিচেই অর্ধেকখানা    সংসার

ঈদের সকাল কবরস্থানেই কাটে বেশ

রঙিন শাড়িটি পরতে বোলো না আমাকে

একজনই চাঁপা ফুলে বেঁধেছিল এই কেশ।

 

আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে ভিজে কবরের

ঘাসগুলো খুব হয়েছে সবুজ, সুঘ্রাণ

ঈদের সকালে বাবা আর ছেলে দুজনায়

আমাকে দিয়েছে প্রগাঢ় হরিৎ এই দান।

 

আনন্দের ঈদ প্রিয়হারা কবির কাছে কতটা বিবর্ণধূসর সে-সত্যের সন্ধান লাভের চেয়ে বেশি এ-কবিতা যে-কোনো প্রিয়হারা মানুষের নিরুজ্জ্বল উৎসবের কবিতা হিসেবে পঠিত হতে পারে নিঃসন্দেহে।

এই বই দ্বিবিধ কবিতার সংকলন। একদিকে আছে একান্ত ব্যক্তিলোকের পঙ্ক্তিমালা আর অন্যদিকে সময়স্বদেশজাগর কথামালা অর্থাৎ বিশ্বলোকের গাথা। দুইয়েই কবির চিন্তা স্বচ্ছ, আবেগ সংহত আর যা এই বইয়ের কেন্দ্রধ্রুবা – সেই বেদনার প্রকাশও শমশান্তির পেলবপথগামী।

তমোহরের স্মরণীয় কবিতা ‘ও টাঙ্গাইলের তাঁতি’। এর সহোদরপ্রতিম কবিতাও আছে। যেমন – ‘তাঁতির মায়াবী

 

 

হাত’, ‘আমার শাড়ি’। এই কবিতাগুচ্ছের অভিন্ন উপজীব্য এক দীর্ণ মানুষীর কাছে ধরা দেওয়া বস্ত্রের বেদনাহত তাৎপর্য –

 

ও টাঙ্গাইলের তাঁতি

আমার নিবল পথের বাতি।

বোশেখ মাসের পাগল ঝড়,

বেশ তো ওই পাড়াতে ছিলি;

ফেললি এই দিকে নজর!

আমার ল-ভ- ঘর

আমার নিবল ঘরের বাতি।

 

বল, টাঙ্গাইল জেলার তাঁতি।

এ তোর কেমনতর তাঁত

শাড়ির এই কি ছিরিছাঁদ

কেমন আঁচল কিবা বহর

আমার ল-ভ- ঘর

আমার বিদীর্ণ ভেতর।

চোখে আকাশ-ভাঙা জল

চোখে উথালপাথাল ঢল

আঁচল ভিজেই হলো সার

শাড়ির এই নাকি বাহার!

আঁচল ছোট্ট করতে আছে?

হারবি অশ্রুনদীর কাছে?

নেই তো চোখের জলের থই

শাড়ির দ্বিগুণ আঁচল কই?

আঁচল ভিজেই যদি সারা

কে দ্যায় দুঃখের পাহারা!

(‘ও টাঙ্গাইলের তাঁতি’)

কিংবা –

আকাশ-ছাওয়া বিশাল বিপুল ডানা             মেলে আমার শাড়ি

ছাপোষা, রংচটা আমাকে নিয়ে উড়ে         চলেছে

আকাশ থেকে আকাশে।

(‘আমার শাড়ি’)

বিন্দুতে সিন্ধু সেঁচে আনতে পারেন রুবী রহমান। তাই তাঁর সংক্ষিপ্ত সন্ধ্যাভাষা যেন শাড়ির রূপকে প্রাণঘরে ঘনিয়ে আসা যামিনীকে জাজ্বল্য করে। বিবর্ণ বাস্তবকে বুঝতে হাজার পৃষ্ঠার গদ্যবাহনের চেয়ে এই পঙ্ক্তিগুলো কি অধিক শক্তিমন্ত নয়?

শব্দ কবির কাছে ব্রহ্ম। শব্দকে কেবল দূরপৃথিবীর নন্দনমুকুটময় বস্তুজ্ঞান করেন না এই কবি, বরং পথপ্রান্ত থেকে কুড়িয়ে পাওয়া শব্দবাক্যকে অনুভাবনের গভীরে এনে করে তোলেন অনিবার্য কবিতা। চলতি সড়কের বুলিও তাঁর ধ্রুপদি ঘরানার গৃহে ঠিকঠাক খাপ খেয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় ‘ধড়িবাজদের বেদনা’ কিংবা

‘তাপ্পি-মারা কবিতা’র কথা। শেষোক্ত কবিতা পাঠে মনে হবে দর্জির দোকান থেকে আমরা সবাই সেলাই-রিফু করা নিজেদের নিয়ে ফিরলাম কবিতার থলেতে। কবির মতো আমরাও দিনানুদৈনিকের সেলাইগ্রস্ত বাস্তবে বাস করে তখন অজানিতে বলে উঠি –

তালি-তাপ্পি-দেয়া এই দর্জিগিরি নিয়ে আর পেরে উঠছি না।

শব্দপঙ্ক্তিই কবির ভুবন, ভূতবর্তমানভবিষ্য। শব্দেই তাঁর নির্বাণ, কবিতাতেই তাঁর মোক্ষ; তবে তা একমাত্রিক নয় মোটেও, বরং বহু রূপের মেঘে-মেঘে বিদ্যুৎপ্রভ। একেক কবিতায় কত বিচিত্রভাবে ব্যক্ত হয়েছে শব্দ ও কবিতাভাবনাপুঞ্জ তা দেখা যেতে পারে –

 

কতোবার ন্যাড়া গাছে পাতা জাগলো

পাতা ঝরে গেল

কট্টর কঠিন গদ্যে আমি তবু তোমাকে      খুঁজেছি

আজ অব্দি পাইনি তোমাকে।

(‘ব্যর্থ বায়োডাটা’)

 

লেবু চিপে ছন্দ ছিটিয়ে দাও শব্দের ওপরে।

থুড়ি, ভাতের ওপরে

ভুল করেই এক ঢোক ভালোবাসা দাও।

 

অনাহারে অর্ধাহারে মরে তো গিয়েছি কবে

দু চামচ স্বপ্ন দাও

খেয়ে বেঁচে উঠি।

(‘দু চামচ শব্দ দাও’)

 

চোখের পানিকে আমি শব্দে লিখতে চাই।

চাপাতির কোপে গোনা মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণা

সাদা কাগজের ফ্রেমে কী করে সাজাই।

(‘শব্দে লেখা চাই’)

 

তিন পৃথিবী-জোড়া শূন্যতায়

কোথায় কবিতা?

(‘কোথায় কবিতা’)

 

শব্দের ডানায় চেপে ভাবনাগুলো আসে

স্বপ্ন? সে তো মরে গেছে অজানা সন্ত্রাসে!

(‘ভবিতব্যের হাতে’)

 

জগৎ-ঘূর্ণির দোলা বুকে নিয়ে কবির কাগজ

বসন্তের রং-এ ডুব দিয়ে রাঙা হোক রোজ               রোজ।

(‘আজ এই সাদা পৃষ্ঠায়’)

‘কবিতার প্রথম পঙ্ক্তিটি আসে ঈশ্বরের কাছ থেকে’ – স্তেফান মালার্মের এই বহুশ্রুত বাণীকে ভেঙেচুরে শব্দসাধক রুবী রহমানই বলতে পারেন –

ঈশ্বর, তুমি একটি পঙ্ক্তি পাঠাবে           পাঠাবে বলে

দ্যাখো আজও আমি ধুলোতেই বসে           আছি।

কবির বর্ষা একেবারে আলাদা উদ্যাপনীয়। এখানে তিনি প্রেমের সর্বাত্মক আগ্রাসে বিশ্বাসী যেন –

দরজা খোলো, আমাকে ডেকে নাও

ভাসছি একা জলের হুলস্থূলে

তোমার উষ্ণ ঘরে আমায় ডাকো

তোমার আরও ভিতরে নাও তুলে।

(‘এই ভরা বাদর’)

আকাশভরা সূর্যতারার নিচে বসে কবি বিশ্বভরা প্রাণের স্বপ্ন দেখেন। তাই সেসব বিস্ময়-জাগানিয়া মানুষকে কবিতার বিষয় করে তুলেছেন, যারা নিরন্তর সাধনা করেছেন দেশ ও বিশ্বমানুষমঙ্গলের। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা ‘বজ্রকণ্ঠে তোমার ভাষণ’-এ আমরা পাই ‘তোমার ভাষণ মনপ্রাণ দিয়ে বুঝে নিতে হবে শেখ মুজিবুর’ আর

জননীসাহসিকা সুফিয়া কামালের না-থাকাকে কবির কাছে উপলব্ধ হতে দেখি এভাবে –

 

আপনি নেই, কার কাছে জেনে নেব          আজ

বলপেনে রিফিল বুঝি চোখের জলেও        ভরা যায়!

ফেব্রুয়ারি ২০১৮-তে এ-বই বেরোবার দিনকয়েক আগে লেখা কবিতা ‘শিশু আর ফেব্রুয়ারি’। আমাদের সেøাগানমুখস্থ চেতনায়নের দুষ্কালে শিশুরা যে কতটা ভাবনার বাইরে তা হালকা পরিহাসে অথচ অব্যর্থ আঘাতে পরিস্ফুট করেন কবি –

নিসর্গের নিয়মেই আমরা বাঁচি মরি

শিশুর মাথায় তবু না ফুটিয়ে গোলাপ         মঞ্জরি

আমরা তার করোটিতে ঢালছি সেঁকো        বিষ

আর নাকে তেল দিয়ে ফাঁকা বুলি                গাইছি অহর্নিশ!

রুবী রহমান যেন তাঁর দিন আর রাত্রিলিপির গোপন দেরাজ মেলে ধরেছেন পৃথিবীর সামনে। এই তো একে একে বেরিয়ে পড়ল – ছেলে তমোহরের গিটার, ছোট্ট ছেলেকে মায়ের দেওয়া কেক-পেস্ট্রি, আইসক্রিম, স্বামীর পুরনো হোন্ডা, মেয়ে মৌটুসী ও দূরপ্রবাস, শান্তিনিকেতনের ডিয়ার পার্কের আড্ডা, কফির কাপ, মার্কসবাদ,

শাড়ি-বাড়ি-ঝগড়াঝাঁটি-চৈত্রসংক্রান্তির চিঠি, বৈশাখ-ঈদ-আষাঢ় থেকে শুরু করে প্রিয় মানুষের পোড়া গন্ধে দুঃসহ বার্ন ইউনিট পর্যন্ত। তাঁর এতদিনের ঘরকন্না সমস্ত আড়াল খুলে, আবডাল সরিয়ে ‘প্রাইভেট’ থেকে এভাবে হয়ে উঠল আদ্যন্ত ‘পাবলিক’। এরপর নিজেই বিস্মিত হয়ে কবি প্রশ্ন রাখেন তাঁর প্রিয় শিল্পের সমীপে –

শিল্প, তুমি বুঝে ফেললে?

চিনলে সে কলেজের মাস্টার রুবী              রহমান!

একজন প্রকৃত শক্তিমান কবি জগতের কঠিন সব সত্যের কথা নিজের জীবনরক্তে নিংড়ে কী সহজে কবিতা করে তুলতে পারেন তা রুবী রহমানের তমোহর পড়তে পড়তে কিছুটা হলেও অনুধাবনে আসে আমাদের। আর্তনাদ নয় আর্তিতে, সেøাগান নয় মগ্নমৌলিক উচ্চারণে, অতিদূর শ্রাবস্তীর কারুকাজ নয়, নেহাত ঝড়ে আক্রান্ত এক ঘরের গল্পকে কী করে বাংলা কবিতার ধারায় যুক্ত করা যায় তার

হীরাভ-স্বর্ণাভ-রুপালি নমুনা ধরা থাকল তমোহর কবিতা-বইয়ে। আমাদের জীর্ণ কবিতাশাড়িতে রুবী রহমানের তমোহর কবিতাগুচ্ছ জরির প্রাণ-পাড় বসিয়ে যায় যেন।