সাঁওতালি নদী

পরিতোষ হালদার

 

আমার জন্মের পরে যারা শাঁখ বাজিয়েছিলেন, তারা কেউ আজ

বেঁচে নেই। অথচ রোজ ক্যানভাস থেকে উড়ে যায় সাতঝাঁক পাখি।

 

মায়ের চোখের গভীরে যে চৈত্রমাস ছিল, তার এক প্যারা অনুবাদ আমি।

আজো জনেমর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালে ঘুমের মতো ভেসে ওঠে

প্রথম দেখা মায়ের মুখ – কেমন খুশিখুশি জাফরানকন্যা।

 

আমি যখন প্রথম কেঁদেছিলাম – দাদি-দিদারা তখন খুব হেসেছিলেন।

বড় হতে হতে সেইসব নারীদের আর দেখিনি –

তবু তাদের জন্য এক সাঁওতালি নদী বুকের ভেতর রোজ বড় হয়।

 

আজো জন্মের পরে পৃথিবীর কোথাও কোথাও কেউ কেউ হেসে ওঠে।

আমি তার একজনকে চিনি।