সুন্দরবনে

আলতাফ হোসেন

এক
হালকা মিষ্টি তরঙ্গে ভেসে যেতে যেতে তানপুরায়
গান করবে ভেবেছে।
পান করবে মালাই চা পুরনো ময়মনসিংহের।
‘বন্ধু’ শব্দটি আসবে ফিরে।
বন্ধুদের সঙ্গে জমবে আড্ডা খুব।
একে একে নিবৃত্তিবুয়া, মশকুর আলি খান গেয়ে চলে গেলে
বেহালায় ওই মেয়েটি ছড়ে টান দিতে-দিতে
গলায়ও উঠবে গেয়ে কেদার
গেওয়া ঘিরে কেওড়া শ্বাসমূল সন্ধ্যায় ডুবে গেলে
কালোটুপি মাছরাঙাটি উড়ছে উড়ছে
আহ্লাদে

ভাসমান একজন, আঁকড়ে থাকে ঠকাঠক ক্ষুদে যন্ত্রটিকে…

দুই
আবার নদীতে। কচিখালী। অদূরে সমুদ্র ধুধু। ওদিকে নাকি
মালয়েশিয়া, গাইড বললেন। হাসতে-হাসতে।
অনেক যাচ্ছে তরুণেরা। অধিকাংশ ডুবে মরছে। লাশ কিছু
পাওয়া যাচ্ছে। এরকম খবরেরা হালুম ডাকছে। দেবে না ভাবতে
অন্যকিছু। যেমন, দিবাকে। নিশাকে। দূর কোনো
দ্বীপবাসিনীকে।
স্মৃতি ও সে শ্বেতাঙ্গিনী নিজেরাও ক্রূরতা ছাড়া কিছু নয়, বা আবিলতা
বলতে-বলতে
ছুটে আসছে অজ্ঞাত বার্তাবহ।

তিন
এখনো সুন্দরবনে। মানুষের জঙ্গলে নয়। সব জায়গায়
বাঘ হইতে সাবধান। প্রাণীদের কথা মনে আনতে না চাইলেও
মাঝে মাঝে হাড়বাড়িয়ায় বানর দেখা দেবেই। বড়ো পদচ্ছাপ
একটা-দুটো। কবিতা করতে নয়, গান করতে-করতে
নদীতে, বাতাসে নামলাম