স্থপতি মাজহারুল ইসলামের সান্নিধ্যে

আবুল খায়ের লিটু

স্থপতি মাজহারুল ইসলামকে আমি বহু বছর আগে থেকে চিনি ও জানি। ওঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে স্থপতি রফিক মাজহার ইসলামের সঙ্গে আমার সখ্য বহু বছর আগে থেকে। এই বন্ধুত্বের সুবাদে ওঁদের বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসা হতো। এতে আমি ওঁর পরিবারেরও সদস্য হয়ে পড়েছি। তানভীর মাজহার তান্না আমার ছোট ভাইয়ের মতো হলেও আমার খুব প্রিয় বন্ধু। দীর্ঘদিন থেকে একসঙ্গে চলাফেরা। একই কারণে তান্নার স্ত্রী তাবাসসুম আমার ভালো বন্ধু। ডালিয়া নওশিন এবং নাজিয়াকে ছোটবেলা থেকেই চিনি এবং জানি। ওরা আমার ছোট বোনের মতো। ডালিয়া চমৎকার গান গায়। বেবী চাচি, মাজহারুল ইসলাম সাহেবের স্ত্রী, খুব স্নেহ করেন আমাকে এবং আমি তাঁর অশেষ ভালোবাসা পেয়েছি। বেবী চাচির বোন মেজর জেনারেল মাজেদুল হকের স্ত্রীর স্নেহ থেকেও বঞ্চিত হইনি। এছাড়া তান্নার বন্ধুতার মধ্য দিয়ে পরিচিত হয়েছি মাজহারুল ইসলামের এক ভাইয়ের সঙ্গে, যিনি বিমান বাহিনীতে চাকরি করতেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত; তাঁর সঙ্গেও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যদিও তিনি আমার চেয়ে বয়সে বড়। কিন্তু এই বন্ধুত্ব আজো ম্লান হয়নি।

স্থপতি মাজহারুল ইসলামের ব্যক্তিত্বের ধরন ছিল ভিন্ন। বাইরে থেকে দেখলে খুব কঠিন ও রাগী মনে হতো। কিন্তু আসলে তাঁর ভেতর একটি কোমল স্বভাব, স্নেহ ও ভালোবাসা ছিল।

ওঁর বাড়িতে যাওয়া-আসার মধ্য দিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি ও বুঝতে পেরেছি, তিনি একদিকে যেমন ছিলেন দৃঢ়চেতা, নিজের সিদ্ধান্তে অটল; অন্যদিকে স্নেহপ্রবণ ও নরম স্বভাবের মানুষ। সংস্কৃতিমনস্ক, রাবীন্দ্রিক ও অভিজাত এ-মানুষটি জানতেন আমার সাংস্কৃতিক কর্মে সংশ্লিষ্টতার কথা। সেজন্যে ওঁর সঙ্গে একটা সহজ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সাংস্কৃতিক কাজকর্মে আমার সংশ্লিষ্টতা ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের বহুমুখীন কর্মধারায় তাঁর সমর্থন ও আনুকূল্য ছিল।

তিনি থাকতেন ৩ নম্বর পরীবাগের বাড়িতে। একদিকে চলত নানা ভবনের নির্মাণশৈলী নিয়ে ভাবনা আর তরুণ স্থপতিদের নানা নির্দেশনা, অন্যদিকে শিল্প-সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের অনন্য সব ব্যক্তিত্ব আড্ডা দিতে আসতেন। ষাটের দশকে স্বাধিকারের চেতনা প্রতিষ্ঠার দিনগুলোতে তাঁর বাস্তুকলাবিদ বাঙালি সংস্কৃতি ভাবনার মানুষজনের এক মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। গান ও নাচের দলের মহড়া হয়েছে এ-বাড়িতে। শুধু যে সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা ও চর্চা হতো তা নয়; সমাজ, রাজনীতি ও দেশ কোন পথে চলছে এবং নাগরিক সমাজের কর্তব্য ও করণীয় কী – এসব নিয়েও আলোচনা হতো।

ষাটের দশকের শেষদিকে ওঁর বাস্তুকলাবিদ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের এক প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। স্থাপত্যচর্চা ও নকশা রচনার সঙ্গে কত ধরনেরই না কাজ হয়েছে এই বাস্তুকলাবিদে। ত্রাণ তৎপরতা থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বিরতিহীন পরিশ্রম করেছেন তিনি। স্বাধীনতা-উত্তরকালেও এই বাড়িতে গান গেয়েছেন আঙ্গুরবালা, ইন্দুবালা, দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র, কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় ও অর্ঘ্য সেন। ঢাকার সংগীতানুরাগীরা এঁদের গান শুনে সত্যিকার অর্থেই লাভবান হয়েছেন।

মাজহারুল ইসলাম আপ্যায়ন করতে ভালোবাসতেন। গুণগত মানসম্পন্ন খাবার পরিবেশনায় তাঁর কোনো জুড়ি ছিল না। রান্না খুবই সুস্বাদু হওয়া চাই এবং সবকিছু নিখুঁত। অতিথিদের আপ্যায়নে তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিল। এই আপ্যায়নের ভেতর দিয়েও তাঁর চরিত্রের এক সহজাত আভিজাত্য প্রকাশ পেত।

সেই কত বছর আগে থেকে তিনি আমাকে স্নেহভরে লাটসাহেব বলে ডাকতেন। এই স্নেহ মৃত্যুর কিছুদিন আগেও অব্যাহত ছিল। দেখা হলেই তিনি এ-নামে ডাকতেন।

মাজহারুল ইসলাম সাহেবের বাস্তুকলাবিদে অবসর সময়ে তাস খেলা হতো। বৈকালিক চা পানের সময় হলে ভেতর থেকে দৃষ্টিনন্দন সুন্দর কাপে আসত চা। সঙ্গে খুব সাধারণ কোনো ঘরে তৈরি খাবার; কিন্তু মুখরোচক। পরিবেশন হতো খুবই সুচারুভাবে। সবকিছুই হতো ছিমছাম ও পরিপাটি। হৃদয়ে গেঁথে যেত।

এই আড্ডা ও তাস খেলার ফাঁকে দেশের রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উঠত। তিনি ছিলেন প্রগতিশীল ও বামপন্থী মানুষ। স্বাভাবিকভাবে তাঁর মতামতে সেই দৃষ্টিভঙ্গি প্রাধান্য পেত। সকলে যে বামপন্থী ছিলেন তা নয়, কেউ ছিলেন জাতীয়তাবাদী, কেউ র‌্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট।

আমার পিতৃব্য জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর আবদুর রাজ্জাককে তিনি খুবই শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। প্রফেসর রাজ্জাকের নিজস্ব রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাঁর মতের যে সবসময় মিল হয়েছে তা নয়। তবে এজন্যে মনান্তর হয়নি, এই একজন জ্ঞানী মানুষকে তিনি যে শ্রদ্ধা করতেন, তা এতটুকু নষ্ট হয়নি। মত ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য সত্ত্বেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল।

মাজহারুল ইসলাম সাহেব আমার বহুতল বাণিজ্যিক ভবন ‘বিশাল সেন্টারে’র ডিজাইন করেন। তিনি এ-ভবনের ডিজাইনে অনেক পরিশ্রম করেছেন। ডিজাইন সম্পন্ন হলে আমি দেখলাম, লিফট ও সিঁড়ি ছোট। এ প্রসঙ্গে তাঁকে বললাম, দেখুন, কেউ মারা গেলে এত ছোট সিঁড়ি দিয়ে লাশ নামানো হবে কীভাবে? নিজের ডিজাইনের ব্যাপারে তাঁর এক অনমনীয় জেদ ছিল। তিনি আমার কথা শুনে বললেন, এটা আপনার দেখার বিষয় নয়। কিন্তু পরে লিফট ও সিঁড়ি বড় করেছিলেন।

আমি মাজহারুল ইসলামকে একজন অনন্য ও আধুনিক স্থপতি বলে মনে করি, যিনি প্রচলিত ধারাকে ভেঙে নব্য একটি ধারা সৃষ্টি করেছেন। ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণামুক্ত এই নব্য ধারা সৃষ্টির ফলে এ অঞ্চলের স্থাপত্যশৈলীতে সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পরিসরকে তিনি খুব সুন্দর করে কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর স্থাপত্যশৈলীর বিশেষত্ব হলো, তিনি প্রথমে ফর্ম তৈরি করেন, পরে এটা ভাঙেন ও পরিসর নিয়ে কাজ করেন। যে-স্থানে ভবনটি নির্মিত হবে, সেখানকার পরিবেশ ও অবস্থান তাঁর সৃজনের একটি বিবেচ্য বিষয় হয়ে থাকত। বিশেষত সেখানে যদি গাছ থাকত তাহলে সেই ভবনের চারপাশকে বৃক্ষশোভিত করে তুলতেন। দেশীয় উপকরণ নিয়ে প্রকৃতির মধ্য দিয়ে একটি ভবন বা স্থাপনা অনিন্দ্যসুন্দর হয়ে উঠত। এখানেই তাঁর বিশিষ্টতা, এখানেই তিনি অনন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি একজন উঁচু মানের, আন্তর্জাতিক মানের স্থপতি। পঞ্চাশের দশকে করা চারু ও কারুকলা ইনস্টিটিউট মাজহারুল ইসলামের অনন্য শিল্পকর্ম। এই ভবনটির কোনো তুলনা নেই।

তাঁর দূরদৃষ্টি ছিল বলে বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুই কান তাঁরই অনুরোধে এদেশে আসেন এবং সংসদ ভবনের ডিজাইন করেন। এই ভবনটি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যশৈলী বলে বিবেচিত হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও অনুরাগীজনেরা আসেন এর স্থাপত্যশৈলী ও নির্মাণ কৌশল দেখতে। এছাড়া আসেন স্থপতি রুডলফ ও স্ট্যানলি টাইগারম্যান। এঁরা যেমন তাঁদের সৃজনের মধ্য দিয়ে স্থাপত্য গুণ ও  শৈলীকে সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি উত্তরকালের স্থাপত্যচর্চাকে নানা ভাবনায় ঋদ্ধ করেছেন। এই তিনজনকে ঢাকায় এনে কাজ করানোর কৃতিত্ব স্থপতি মাজহারুল ইসলামের।

স্থপতি মাজহারুল ইসলাম বন্ধু, সুহৃদ ও কয়েকজন শিল্পপতি বন্ধুর বেশ কিছু বাড়ির ডিজাইন করেছেন। এই কয়েকটি বাড়ির মধ্যে গুলশানে আমার বাড়িটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলে আমি মনে করি। এই বাড়িটির উচ্চতা, ভারসাম্য, পরিসর ও পরিবেশ শুধু অনন্যসাধারণ নয়, স্থাপত্যগুণে ও ব্যবহারিক উপযোগিতায় অসাধারণ।

এই বাড়িটির বিশেষত্ব ছিল বসার ঘরের উচ্চতা ও ধাপ এবং ভবনের দ্বিস্তর দেয়াল। বসার ঘরে সুইচ টিপ দিলে ছাদের কিয়দংশ সরে যেত। আকাশ দেখা যেত, জ্যোৎস্না ও হাওয়া খেলা করত ঘরে। দক্ষিণ-উত্তর হাওয়া চলাচল করত না। সেজন্য প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকসহ আমরা যখন এই বাড়িটিতে বাস করতে শুরু করি, আমার পিতৃব্যের নির্দেশে দক্ষিণ দিক থেকে হাওয়া চলাচলের জন্য কিছু সংস্কার ও পরিবর্তন করি, যদিও এ-পরিবর্তন তাঁর সমর্থন পায়নি।

স্থপতি মাজহারুল ইসলামের মতো সৎ, নির্লোভ মানুষ আমাদের সমাজে বিরল। টাকা-পয়সার প্রতি তাঁর কোনো আগ্রহ ছিল না। জীবনযাপন করেছেন খুব সাধারণভাবে। যতটুকু প্রয়োজন তা নিয়েই তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন। তাঁর দেশচেতনা এবং সমাজের প্রতি দায় ছিল বলে নানা কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কৃচ্ছ্রের শাসন মেনে চলতেন বলে নিজের জীবনচেতনায় তার ছাপ পড়েছিল।

পারিবারিক জীবনে পুত্রদ্বয় ও কন্যার প্রতি অসীম ভালোবাসা ছিল। তাঁর সকলের প্রতি নজর ছিল, ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভাবনা ছিল। কিন্তু অভিব্যক্তি বা প্রকাশ ভিন্নরূপ ছিল বলে তাঁকে কঠিন মনের মানুষ বলে মনে হতো।

৩ নম্বর পরীবাগের বাড়িটি তিনি বিক্রি করে না দিলে ভালো হতো। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। এই বাড়িটিতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বসবাসের জন্য তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন। ডুপ্লেক্স আলাদা আলাদা ডিজাইনও তিনি করেছিলেন। ছেলেমেয়েদের সবকিছু ভাগ করে দেবেন, এরকম চিন্তাভাবনা ছিল।

এ প্রসঙ্গে একটি কথা বলি। তাঁর ব্যক্তিত্বের ধরনে এক ধরনের আবরণ তিনি সৃষ্টি করেছিলেন, যা দেখে মনে হতো তিনি বোধহয় কারো কথার কোনো মূল্য দেন না। নিজের অবস্থানে দৃঢ় থাকেন এবং মত বদলান না। কিন্তু এ-ধারণাটি সত্য নয়। যথার্থভাবে বোঝাতে পারলে ও কথায় যুক্তি থাকলে তিনি তা মান্য জ্ঞান করতেন।

তিনি পরীবাগে ছেলেমেয়েদের বসবাসের জন্য যে-ভবনটি ডিজাইন করেছিলেন তার সিঁড়ি নিয়ে আমি কিছুটা আপত্তি করেছিলাম। ঝুলে থাকা উঁচু সিঁড়ি, শিশু ও কিশোরদের চলাচলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমার মনে হয়েছিল।

অনেক তর্ক ও যুক্তি দিয়ে আমি কথাগুলো বলেছিলাম। তিনি তা মেনে নিয়েছিলেন।

আমি গুলশানে যে-বাড়িটিতে থাকি সেটির সঙ্গে তাঁর আবেগ জড়িয়ে ছিল। আসলে যে-কোনো সৃষ্টিশীল মানুষই তাঁর সৃজনে যে বহুভাবনার প্রকাশ ঘটান এতেও তার ছাপ ছিল। অনেক পরিশ্রম করেছেন এ-বাড়িটির খুঁটিনাটি নিয়ে। তিনি প্রায়ই চলে আসতেন এ-বাড়িটিতে। কারোর সঙ্গে খুব যে কথা বলতেন তা নয়। তাঁর সৃজনকে তিনি নতুনভাবে অনুভব করতেন।

একদিন তিনি এলেন। আমিও এলাম। দেখি খবরের কাগজ পড়ছেন। খবরের কাগজের দুটি পাতা পাশাপাশি রাখলেন। যেন আমাকে দেখতেই পাননি।

বাড়িটির ব্যবহারিক দিকটির প্রতি বিবেচনা করে আমরা কিছু পরিবর্তন সাধন করেছিলাম। তাঁর এই পরিবর্তন খুব একটা মনঃপূত হয়নি। তখন তিনি বললেন, কোনো দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আপনি সব বদলে দিয়েছেন।

মাজহারুল ইসলাম ছিলেন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। দেশে স্থাপত্যচর্চার এক পথিকৃৎ। স্থাপত্যচর্চায় নতুন মাত্রা সঞ্চারের লক্ষ্যে সর্বদা ভেবেছেন। দেশে বহুতল ভবন নির্মাণ, স্থাপত্যচর্চা ও গৃহ উন্নয়নে নিয়োজিতদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কিছু করা যায় কি না এ নিয়ে চিন্তা করেছেন। স্থপতি কাশেফ এম চৌধুরী ও লুভা নাহিদ চৌধুরীকে নিয়ে আমার বাসভবনে তখন সভা হয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে কিছু করণীয় নির্ধারণ করা যায় কি না এ নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করেছি, সঙ্গে এও উপলব্ধি করেছি, এই মানুষটির চিন্তা তখন কোন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।

মাজহারুল ইসলাম এককভাবে এদেশের স্থাপত্যচর্চাকে নবীন বোধ, ধ্যান-ধারণায় ও আধুনিকতায় আলোকিত করেছেন। তাঁর ঐতিহ্যপ্রীতি এই বোধকে আরো গহন করেছে। উত্তরকালের স্থপতি ও শিক্ষার্থীরা তাঁর নন্দনভাবনা, সৌন্দর্যপ্রীতি ও স্থাপত্যগুণে নিজেদের জিজ্ঞাসা, ধ্যান ও পথচলাকে বলীয়ান করছেন।

এখানেই মাজহারুল ইসলাম একক ও অনন্য।