স্বাধীন জাতির স্বাধীন পিতা

মুহম্মদ নূরুল হুদা

 

আদিপিতা আদিমাতা আদিঅন্তহীন –

জন্মহীন মৃত্যুহীন, নয় পরাধীন;

মানুষ মূলত মুক্ত, আজন্ম স্বাধীন।

 

স্বাধীনতা তোমাকেও চায়,

স্বাধীনতা আমাকেও চায়,

যে তাকে চিনতে পারে

সে-ই শুধু পায়।

 

স্বাধীনতা তোমার অধীন

স্বাধীনতা আমার অধীন

যে তাকে জিনতে হারে

সে-ই পরাধীন।

 

স্বাধীনতা বীরের ক্ষমতা

বীরভোগ্যা এ-বসুধা

বীরে বীরে সমতা মমতা।

 

বীরেদের নেই পরাজয়

জন্মে-কর্মে বীরেরা নির্ভয় :

জয় হোক, জয়

বীরভোগ্যা বসুধার জয়।

 

দুই

 

এক জাতি এক দেশ

বঙ্গভূমি বাংলাদেশ

বনভূমি মনোভূমি

জন্মভূমি অনন্ত অশেষ।

 

এ-জাতি বাঙালি জাতি

জ্বেলেছে সবুজ বাতি

পাহাড়ে ও সমতলে

আকাশে ও জলে-স্থলে

 

মাথার উপরে চাঁদ

জোছনা পেতেছে ফাঁদ

জ্বালিয়ে দিনের বাতি

বাঙালি বাড়ায় ছাতি

 

আদি দিবসের সূর্য

ঘুরিয়েছে বীর-তূর্য

সেই কবে

 

অনাদি অতীতে

সেই বীর-বিত্তচিত্তে

 

 

 

 

বাঙালি যুদ্ধে জিতে

এনেছে সোনার দেশ

 

ভাষা-দেশ আশা-দেশ

জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ।

 

বাঙালি যোদ্ধা জাতি

চিরদিন আপনা-অধীন,

বাঙালি বীরের জাতি,

যুদ্ধে যুদ্ধে অনন্ত স্বাধীন।

 

 

 

তিন

 

মুক্তিযুদ্ধে নয় মাসে

বাঙালি জিনেছে দেশ,

জন্ম-মৃত্যু নির্বিশেষ

বাঙালির যোদ্ধা-বেশ;

 

সড়কি বলস্নম হাতে

বাঙালি লড়াই করে,

চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা

দুর্গ গড়ে ঘরে ঘরে।

 

কে দিয়েছে শৌর্য তাকে‌

কে দিয়েছে মুক্তির সবক?

তিনি শেখ মুজিবুর রহমান

তিনি বাঙালির সর্বনাম

তিনি বাঙালির জাতির জনক।

 

চার

 

হিমালয় থেকে

 

গঙ্গাপদ্মা বঙ্গোপসাগর

চর-ঘর সঘন সুন্দরবন

তুমি আছো তুমি বাঁচো

যখন তখন

 

তোমার ভেতরে তুমি

তোমার বাইরে তুমি

ত্রিজগৎ মনোজন্মভূমি :

 

বাঙালির মুক্তশিশু

বাঙালির শিশুযিশু

শুরু তার চক্র-বিবর্তন :

শুরু তার জগৎ-ভ্রমণ।

 

পাঁচ

 

অনন্তর

বাঙালি স্বাধীন আর বাঙালি সজীব

অনন্তর

বাঙালির মুক্তিসত্তা জীবন্ত মুজিব;

 

অনন্তর

হে জননী জন্মভূমি তুমি নবনীতা,

অনন্তর

স্বাধীন জাতির পেয়েছি স্বাধীন পিতা।