স্বীকারোক্তি

নগর-টোলের ছাত্র, আজ বসে আছি লু-নিবিড়

অন্ধকারে একা – যেন চার প্রহরের এই রাত

উদ্যাপন করতে যাচ্ছি অজপাড়াগাঁয়, যেন

জোনাকবাতির নিচে পুথি পড়া যাবে সারারাত।

আমি তো এসেছি ফিরে, তবু, নাগরিক পাঁজি হেন

সিরিফ নাদান শিশু; ভয় লাগে হরফের ভিড় …

বলো কে বলবে পই, ছিলক, ডিঠান? তবু তাতে

নাগরিক চতুরালি থাকে; জারিতে ভরে না প্রাণ –

দষ্ট গ্রন্থ ঘেঁটে খুঁটে পেয়ে গেছি শত প্যাঁচে-ভরা

কালো ইষ্টকের বই : সারি নয়, ছাদ-পেটা গান

শীত বর্ষা ভেবে পাই ঘূর্ণিবাত্যা, বালিঝড়, খরা

ণত্ব, ষত্ব সব কিছু ভাসে শুনি ঘোর বৃষ্টিপাতে … 

জেনেছি দেহাতি ছাত্রী, তবু তুমি বিদুষী, শ্রবণা

তেরচা রেফের নিচে নাগরের দ্বিত্ব মানবে না