হৃদয়ে বাজে মৃদঙ্গ

সুহিতা সুলতানা

কে জানতো অগ্নিগাছ হয়ে সে আগুন ছড়াবে চৌদিকে কেবল তুমি নও সবাই জীবিকাবদ্ধ জীব। মধ্যরাতে ভালোবাসা চৌকাঠ জুড়ে আলো ছড়ালে প্রেমও বেজে ওঠে নন্দিনী হয়ে। তোমাকে না দেখার দিনগুলিতে প্রতিদিন ভোর এসে জানালায় ঢেউ তোলে অবাধ্য প্রণয়ের মতো; আকাশসমান অপেক্ষার ভেতরে আয়ুর উঠোনে এসে দাঁড়ায় যমদূত। সেও চাকরির আসিত্মনে চুপিচুপি মদ ঢেলে খায়, ক্ষ্যাপাটে বাউলের মতন চর দখলের নেশায় কচি পাতা মাড়িয়ে দাঁড়ায় নগ্ন উঠোনে। পাহাড়ের চূড়া বলতে অদেখা জীবন আর ডুবে যাওয়া সূর্যের কাছাকাছি ছড়িয়ে থাকা টিলাখ-। তোমাদের গল্ফগ্রিন আলোকিত করে আছে শারদীয় চাঁদ, পুষ্পলীলা, বাঁশের বাঁশি আর অপেক্ষার মূরতি হৃদয়ে বাজে মৃদঙ্গ, চোখের ভেতরে মৃগাঙ্ক। গোলকধাঁধার মতো জীবন এসে মিশে গেছে সন্ধ্যার দিগন্তরেখায়। খলনায়কের ধূলিমাখা মুখের ওপর প্রতিহিংসার জলছাপ লেপ্টে থাকে অহর্নিশ, কতদ্রম্নত বিশ্বাসের ভেতরে শরতের কালো মেঘ উড়ে উড়ে পেখম উঁচিয়ে ধরে। চেনা পথ আগলে ধরেছে মূর্খ রাখাল। চোখ এসে বিদ্ধ হয় চোখের ভেতরে, আলোর ভেতরে মৃত্যু, কীভাবে লুপ্ত হতে থাকে। ন্যায় দেখো সুড়ঙ্গপথে অপরাজিত আলো প্রেমের পঙ্ক্তি নিয়ে ঠায় বসে আছে ঘুমন্ত চোখে, আমার যাওয়া না হলে তুমিই না হয় এসো একদিন অগ্নিপাতায় ভেসে। চন্দ্রের অনুপুঙ্খ অনুপাতে অদ্ভুত মায়া খেলা করে। আমাদের না দেখা হওয়ার দিনগুলিতে আঙুল ছুঁয়েছে চন্দ্র, অগ্রন্থিত শয্যায় হীরের দ্যুতিময় অবগুণ্ঠিত মুখ