সত্যের আঠারো পা

কুমার দীপ

সব চোখই ভুল দ্যাখে। রবীন্দ্রনাথ হলেই যে
বিনোদিনী অকপটে খুলে দেবে হৃদয়ের সবকটি সুর;
জীবনানন্দ হাত পাতলেই হেমন্ত তুলে দেবে
সমুদয় ফসল-সম্ভার – বোকারা ভাবে এভাবে।
মহাবিশ্ব কি শুধু আপেলভাবনা, এত অত্রুুর –
আইনস্টাইন এসে বসলেই মাটিতে লুটোবে!

সংসারে কেউ কেউ অন্তর্দৃষ্ট; অতুল্য বুদ্ধিমতী
অমেয় ক্ষমতাবলে কেউ কেউ জয়ী আজীবন
কারো কারো প্রজ্ঞার রুহে ধরিত্রী শুভ্র; দীপ্তিময়
– তাই বলে এঁরাই শুধু যে জ্যোতিষ্মতী;
এদেরই শুধু চক্ষু আছে; যা দ্যাখেন – তার সব সত্যময়
– এই ভাবনায় পাখনা ওড়ায় মূর্খতর মন।

সত্য একটি বহতা নদী; নানাভাবে বয়ে চলে
কখনো শান্তজলে অঘ্রাণ; অরূপ মনোহর
পলির প্রবাহে – কখনোবা সে-কৃষকের ঘর
অন্ধকারে কারো কারো – অনির্বাণ আলো হয়ে জ্বলে
কখনো বুকভাঙা শ্রাবণের ঢেউ; মত্ত হাতি
সময়ে প্রভাত সূর্য; অসময়ে রাতের ডাকাতি।

Published :


Comments

Leave a Reply