ঈর্ষা

শফিক আহমেদ

 

কী এক ঈর্ষার দহনে জ্বলছি

দিনরাত হাহাকার ভূশ–র কাকের মতো দেখছি ত্রিকাল

স্থান নেই কোনোখানে

ক্রমাগত ঈর্ষার আগুনে

জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে মনে হয় প্রস্তরে বিলীন।

 

ভাঙা ঘরে সারাদিন বসমেত্মর গান

পাখিরা যায় যে উড়ে, বাতাসে হিন্দোলিত সুকুমার শাখা,

পথিকেরা বলাবলি করে, ‘ও যে আমাদের একজন

আমাদের কথা বলে আমাদের প্রাণের ভাষায়।’

 

গাছ পাখি নদী বন তৃণ তরুলতা

সূর্যভোরে জেগে ওঠে

কলতানে হেসে হয় লীন,

ও যে আমাদেরই লোক

কথা বলে আমাদেরই কথা।

 

আমাকে তোমার মতো করে দাও

আমাকে করে দাও কোনো এক নদী

দুপাড়ে মাটির ঘ্রাণে বয়ে যেন যাই

দূর-দূরামেত্মর পথে সামুদ্রিক মোহনায় মিশে।

বুকে ভাসুক বাণিজ্যিক তরী

মাছেরা খেলুক নিচে নিশ্চিন্ত নির্ভয়ে,

দিনশেষে বৈকালিক সূর্যের স্নানে

দুপাড় মুখর হোক জল-আনা বধূদের গানে।

তোমাকে ঈর্ষা করি

তবু তোমাকেই চাই।

তোমার ঈর্ষার ঝিলে ডুব দিয়ে

আমি যেন তুমি হয়ে যাই।