ফরিদা জামান বাংলাদেশের সমকালীন শিল্পীদের মধ্যে বিশিষ্ট একটি নাম। তিনি তাঁর পটে মাছ ও জাল অঙ্কন করে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছেন। মাছ ও জাল তাঁর প্রিয় বিষয়, তিনি নানা দৃষ্টিকোণ থেকে এ-বিষয়ে বিসত্মৃততর এক প্রেক্ষাপটকে উন্মোচন করেছেন। ধীবরদের জীবনসংগ্রামও যে কখনো প্রতিফলিত হয়নি তাঁর সৃজনে, তা নয়। এছাড়া মাছ-জাৃলের মধ্যে অসহায়তাকে ধারণ করে বেঁচে ওঠার আর্তিকেও ফরিদা অতিযত্নে তুলে আনেন তাঁর চিত্রে। ছাত্রজীবন সমাপ্ত হওয়ার পর থেকে তিনি নানা দিক থেকে এই বিষয়কে তাঁর চিত্রে তুলে ধরেছেন।
‘সুফিয়া’ তাঁর
শিল্পভুবনের একটি বিশেষ চরিত্র। দুর্ভাগ্যের বিশাল ভা-ারে সে কখনো বিচলিত নয়, বরং
খুঁজে পেতে চায় আনন্দ, সুখ ও প্রশামিত্ম। সে অনন্তকাল ধরে খুশিকে আলিঙ্গন করে। মাটি, আবহাওয়া, আশপাশ যেন শিল্পীকে এ-কথা
বারবার বলে দেয়। জল-হাওয়া, ফুল-পাখি,
গুল্ম-লতা, জলাশয়ের সোঁদা গন্ধ –
এসবই শিল্পীর আমিত্ব, তাঁর ভালোবাসা। আর এ-ভালোবাসাই ফুটে ওঠে তাঁর চিত্রভাষায়।
তিনি ১৯৭৪ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে চিত্রকলায় স্নাতক ডিগ্রি, ১৯৭৮ সালে বরোদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ১৯৯৫ সালে শামিত্মনিকেতন থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর জন্ম ১৯৫৩ সালে, চাঁদপুরে।
প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিটি ২০১২ সালে অ্যাক্রিলিকে আঁকা। সংগ্রাহক আবুল খায়ের।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.