পিনাকেশ সরকার
কলকাতার বাঙাল : উভচর স্মৃতি
অরুণ সেন
রাবণ
কলকাতা, ২০১৯
৪৫০ রুপি
আত্মজীবনী বা আত্মস্মৃতি সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সংরূপ। অপরের লেখা জীবনী আর নিজের লেখা/ বলা স্মৃতিকথার মধ্যে একটা বড়ো রকমের প্রভেদ থেকেই যায়। একজন লেখক যখন অন্য কোনো ব্যক্তির জীবনকথা রচনা করেন – তিনি মুখ্যত সেই ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে কালানুক্রমে সাজিয়ে তাকে বিশ্লেষণ করে অবলম্বিত সেই মানুষটির জীবনের একটি কাঠামো পুনর্নির্মাণ করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই মানুষটির ও তৎসংলগ্ন বিভিন্ন ব্যক্তির জীবন ও সমাজ-অভিজ্ঞতার একটি তথ্যনিষ্ঠ পরিচয় পাঠকের সামনে তুলে ধরাই হয়ে থাকে জীবনী-রচয়িতার উদ্দেশ্য। অন্তর্জীবনের উদ্ঘাটন বা তার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপিত হলেও সেটিকে পরিস্ফুট করে তোলা লেখকের প্রধান লক্ষ্য হয়ে থাকে না। আত্মনিরপেক্ষ বিবৃতি ও যথাযথ তথ্য পরিবেশনই সেখানে গুরুত্ব পায় বেশি, আর সেটাই সংগত।
পক্ষান্তরে, আত্মজীবনী বা আত্মস্মৃতিতে তথ্যনিষ্ঠা ও পারম্পর্য রক্ষার তাগিদ সর্বদা বড়ো হয়ে ওঠে না। লেখক নিজের অভিজ্ঞতা সাজিয়ে তুলতে তুলতে সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত উপলব্ধিকে পাঠকমনে সঞ্চার করে দিতেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদেব বসু, বিনোদবিহারীর স্মৃতিকথাগুলি পড়তে পড়তে এমনটাই মনে হয় আমাদের। লেখকের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব স্বকীয় ঢংটি সেখানে মূর্ত হয়ে ওঠে স্বচ্ছন্দে। সমর সেনের বাবুবৃত্তান্ত বা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন, ঢোলগোবিন্দর মনে ছিল এই বইগুলি পড়তে পড়তেও এই কথাগুলি আমাদের বিশেষভাবে মনে পড়ে।
অরুণ সেন নিজে কবি নন, কিন্তু একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাবন্ধিক – শ্রমনিষ্ঠায় পঠনশীলতায় এবং রসোপভোগে তাঁর তুল্য সমালোচক আমাদের এই সময়ে খুব কমই আছেন। তাঁর সাম্প্রতিক বই কলকাতার বাঙাল : উভচর স্মৃতি আমাদের এককথায় পেড়ে ফেলেছে। প্রথমেই লক্ষণীয় বইটির নামকরণ। লেখকের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে, তখনকার অখণ্ড ভারতবর্ষে। উত্তর বাংলার মালদহে জন্মগ্রহণ করলেও নিজেকে তিনি আপাদমস্তক ‘কলকাত্তাই’ বলেই চিহ্নিত করেন। অথচ শৈশবে বাড়িতে ঠাকুমা বা বাবা-মায়ের কথাবার্তায় ছিল পূর্ববঙ্গীয় ‘বাঙাল’ ভাষার ব্যবহার। ঘটি-বাঙালের এক মিশ্র কালচার প্রচলিত ছিল তাঁদের পরিবারে। বইটিতে লেখক তাঁর শৈশব থেকে বেড়ে-ওঠা, কৈশোর-যৌবন-প্রৌঢ়ত্ব-বার্ধক্য সবটাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁর অসামান্য রসসিদ্ধ কলমে। ‘ভূমিকা’র দশ পৃষ্ঠা বাদ দিলে মোট চারটি পর্বে এই স্মৃতিলিপি গ্রথিত হয়েছে – ‘বৃন্দাবন মল্লিক লেন’, ‘পাতিপুকুর এস.কে. দেব রোড’, ‘লেক টাউন’ এবং ‘কালিদহ-কালিন্দী’। মধ্য কলকাতা এবং উত্তর উপকণ্ঠের তিনটি গা-ঘেঁষাঘেঁষি অঞ্চল। বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুরের গ্রামের বাড়ি ছেড়ে তাঁর ঠাকুরদা চলে আসেন মধ্য কলকাতায় গত শতকের কুড়ির দশকের সূচনাপর্বে – প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর। তারপর অনেক বাসাবদলের পর উঠে আসেন আমহার্স্ট স্ট্রিট অঞ্চলের পাড়া বৃন্দাবন মল্লিক লেনে। সেখান থেকেই লেখকের শৈশবস্মৃতির সূত্রপাত।
চল্লিশের দশকের সূচনালগ্নের সেই সময়কার কলকাতার পাড়া-প্রতিবেশী, পথঘাট, অলিগলি, ঘরবাড়ির স্থাপত্য, হাটবাজারের চেহারা লেখকের আনুপুঙ্খিক বর্ণনায় সজীব হয়ে উঠেছে। পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক জীবনচিত্রও আশ্চর্য দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। পাড়ার ক্লাব-সমিতি করপোরেশন স্কুলের পড়ুয়া জীবনের ছবি রীতিমতো আকর্ষণীয়। তখনকার যৌথ পারিবারিক জীবনের খুঁটিনাটি – খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-আশাক, অভিভাবক-শিক্ষকদের আচার-আচরণ, তাঁদের কথাবার্তার ধরন – বাদ পড়েনি কোনো কিছুই। বইটি পড়তে পড়তে আশ্চর্য হয়ে ভেবেছি, লেখক এত তথ্যকে এমন কুশলী ক্ষমতায় সাজালেন কী করে! তাঁর স্মৃতিশক্তিতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় থাকে না। কারণ গোটা বইটি নিছক স্মৃতিচর্যা নয়, এক বিস্তীর্ণ সময়ের মূল্যবান দলিল। অথচ তা নীরস নৈর্ব্যক্তিক ইতিহাস নয়, লেখকের অনুভূতির সংবেদনশীল উষ্ণতায় আগাগোড়া স্পন্দ্যমান, সঞ্জীবিত।
একদিকে লেখকের ব্যক্তিগত জীবন, তাঁর বাল্য-কৈশোর ছাড়িয়ে যৌবনে পদার্পণ, স্কুলের গণ্ডি অতিক্রম করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা, অধ্যাপনার পেশাগত জগৎ (যেখানে তাঁর প্রায় প্রত্যেক সহকর্মীর শুধু নামোল্লেখ নয়, তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের স্মৃতিচারণ রয়েছে) – অন্যদিকে সমকালীন সাহিত্য-সংস্কৃতির ও সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনশীল চিত্রমালা এবং তাদের সঙ্গে লেখকের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকার নিবিষ্ট ভূমিকাটি উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠেছে। এ-বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন শহর-মফস্বল-সমুদ্রসৈকত-ঐতিহাসিক নগরীতে লেখকের একক বা সপরিবার ভ্রমণ-অভিজ্ঞতা। দেশটাকে তিনি নিছক পর্যটকের বিহঙ্গ-দৃষ্টিতে দেখেননি, প্রতিটি অঞ্চলের নৈসর্গিক তথা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যকে তিনি পরখ করে দেখেছেন। এ-বিষয়ে পূর্ণমাত্রায় সচেতন থেকেই তিনি মন্তব্য করেছেন – ‘এই স্মৃতিকথায় ভ্রমণ একটু বেশি প্রাধান্য পেয়েছে বলে যদি কারো মনে হয়, তবে বুঝতে হবে, পারিবারিক জীবন বা সাংসারিক জীবন আর সারস্বত জীবনের সঙ্গে ভ্রমণ-জীবনকে তিনি আলাদা করে ভাবতে চাইছেন।’ (পৃ ১৮) লেখক নিজে তেমন ভাবেননি, আমরাও তেমন ভাবছি না। বস্তুত তাঁর এই আত্মস্মৃতিতে নিজের এবং পরিবারের কথা যেমন যত্ন করে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন, তেমনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে পরিক্রমণের খুঁটিনাটি নানা অভিজ্ঞতাও পরিবেশন করেছেন অসীম প্রযত্নে। অথচ তা তথ্যভারাক্রান্ত ভ্রমণপঞ্জি না হয়ে হয়ে উঠেছে পরম আস্বাদ্য সাহিত্যসৃষ্টি। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকশিল্প-লোকসংস্কৃতির নানা উপাদান তাঁকে যেমন আকর্ষণ করেছে, তেমনি সেসব জায়গার মানুষের ভাষা-বাগ্ভঙ্গি, পোশাক-আশাক, খাদ্য-পানীয় সমস্ত কিছুই তাঁর অপার কৌত‚হল জাগিয়ে তুলেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বৃহত্তর ভারতবর্ষের নানা অংশে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন – কাজে বা অকাজে। সেসব স্থানের ভূবৈচিত্র্য, শিল্পসংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনযাপনের চিত্রকেও তিনি তুলে ধরেছে নিপুণ কলমে। তাঁর এই স্মৃতিকথনের একটি বড়ো অংশ জুড়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সাহিত্যশিল্প বিষয়ে লেখকের প্রাজ্ঞতা সর্বজনবিদিত। কিন্তু এখানে শুধু তাঁর প্রাজ্ঞতারই পরিচয় মেলেনি, আছে সেখানকার সংস্কৃতিজগতের বিশিষ্ট মানুষজনের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্বন্ধের ঘনিষ্ঠ বিন্যাস, তাঁদের অনেকের পরিবারের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগাযোগের সুচারু মর্মকথা।
অরুণ সেন আকৈশোর সমাজ-সংসার-রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একজন ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হয়েও তিনি বরাবরই প্রগতিশীল বামপন্থী মতাদর্শের সমর্থক। বিশেষত শিক্ষক-আন্দোলনের সঙ্গে কর্মজীবনের গোড়া থেকেই তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। সেই বামপন্থী মতাদর্শের প্রতি গভীর বিশ্বাস সত্ত্বেও বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে তার স্খলন ও বিচ্যুতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই তিনি ব্যথিত, মর্মাহত। সেই আশাভঙ্গের বেদনা এই স্মৃতিকথার অনেক অংশেই ধ্বনিত হয়েছে। আসলে একজন যথার্থ বিবেকী মানুষের পক্ষে এ-বিষয়ে মৌন থাকা আদৌ সম্ভবপর নয়। সাহিত্যপত্র, পরিচয়, প্রতিক্ষণ – বিশেষত বিষ্ণু দে-র সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের যে-ছবি এই বইতে ফুটে উঠেছে, তা আজকের প্রজন্মের তরুণ পাঠকদের অনুপ্রাণিত করবে। আমরা লেখকের বিষ্ণু দে-সংক্রান্ত অসাধারণ বই বিষ্ণু দে, এ ব্রতযাত্রায় পাঠ করে মুগ্ধ হয়েছিলাম অনেক আগেই। বিষ্ণু দে-কে লেখা সুধীন্দ্রনাথের ৫০টি চিঠি অবলম্বনে রচিত এই মৈত্রী এই মনান্তর বইটির কথাও প্রসঙ্গত মনে পড়ে। তাঁর সাম্প্রতিক গবেষণাগ্রন্থ বিষ্ণু দে চর্চা-ও বিশেষভাবে উল্লেখ্য। বর্তমান গ্রন্থে সাহিত্যিক মূল্যায়নের বদলে তিরিশের এই অন্যতম প্রধান কবির সঙ্গে তাঁর নানা উপলক্ষে সময় কাটানোর (বিশেষত রিখিয়ার বাড়িতে) যে-ছবি উপহার পেলাম তা অবিস্মরণীয়। সমসাময়িক দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবেশ রায়, পৃথ্বীশ গঙ্গোপাধ্যায়, সিদ্ধেশ্বর সেন, শঙ্খ ঘোষ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের হায়াৎ মামুদ, শামসুর রাহমান, ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন, মোহাম্মদ রফিক, সেলিম আল দীন প্রমুখ শিল্পী-কবি-গায়ক-নাট্যকার-সংস্কৃতিকর্মীর সঙ্গে তাঁর সংযোগের যে ইতিহাস এই বইতে ধরা রইল, তার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
বইটির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এর কথনভঙ্গি। এত সহজ স্বচ্ছন্দ সাবলীল গদ্যে লেখক তাঁর স্মৃতিমাল্য গেঁথে তুলেছেন যার তুলনা বিরল। বিশেষত তাঁর সহজাত রসিকতা-বোধের কথা না বললেই নয়। একটা দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি :
খুব ছোটোবেলায় আমার একটা কাজ ছিল, রোজ সকালে আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটি দোকান থেকে পাঁচ আনার মুড়ি কিনে আনা। আমি কিছু পরে অভ্যাস করলাম, চার আনার মুড়ি কিনে বাকি এক আনায় শোনপাপড়ির গুঁড়ো বা মিহিদানা কিনে খেতে খেতে বাড়ি ফেরা। এতে গভীর একটা ‘পাপবোধ’ হত আমার। মনে-মনে ভাবতাম, বড়ো হয়ে একটু বেশি ‘পুণ্য’ করে সেই পাপ আমি ক্ষালন করব। (পৃ ৩০)
কিংবা লেখকের ঠাকুমা-সংক্রান্ত স্মৃতিচারণ :
মার কাছে গল্প শুনেছি, ঠাকুর্দার সঙ্গেও তাঁর প্রায়শই ঝগড়া বাঁধত। মা বিয়ের পর উঠেছিলেন বহরমপুরে মামা-শ্বশুরের বাড়ি। সেখানে মা দেখতে পেতেন, ঠাকুমা হয়তো একটা মতামত জানিয়েছেন একটু তীব্রভাবেই, ঠাকুর্দা সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে নেমে বলতেন : আমি যদি বলি সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে, তুমি পারবা তা না প্রমাণ করতে। (পৃ ১৪৯)
আবার কবি বা শিল্পী না হয়েও ১৯৬৬-র অক্টোবরে পুরীতে সমুদ্র-দেখার স্মৃতি যেন ছবি ও কবিতার হার্দ্য অনুভবকেই ছুঁয়ে যায় :
একদিন দুপুরে ভাত-ঘুম দিয়ে দেখি সমুদ্রের এক অপরূপ দৃশ্য। আকাশে পাতলা একটা মেঘের পর্দা ছড়িয়ে আছে, চারদিক বেশ আলোকিত, কিন্তু রোদ নেই। হঠাৎ দেখি সমুদ্রের ওপর রঙের খেলা শুরু হয়ে গেল। আমি বারান্দার চৌকিতে একা বসেছিলাম, হাঁকডাকে আরো কেউ-কেউ ঘর থেকে চোখ কচলাতে-কচলাতে বেরিয়ে এল। সমুদ্রে তখন জাদুকরের ভেলকি শুরু হয়ে গেছে। জলেরই ওপর নীল, সবুজ, তার নানারকমের আভাস মুহূর্তে-মুহূর্তে পালটাচ্ছে রং। কখনো তারা এত গভীর ও ইশারাময় যে হতে পারে তা আন্দাজও করতে পারা যায় না। আকাশের রং-ও বসে নেই। সমুদ্র ও আকাশ দিগন্তে মিলেমিশে ওই খেলাকেই আরো বিস্ময়কর করে তুলেছে। তারপর যেন অকস্মাৎ বিধাতা অন্যমনা, ধীরে ধীরে ওই খেলা থামিয়ে দিয়ে, কিংবা খেলতে-খেলতে সবটাই সরিয়ে দিলেন দূরের কোনো দেশে। (পৃ ১২৫)
গ্রন্থশেষে যুক্ত হয়েছে লেখকের স্মৃতিচিহ্নিত কয়েকটি দুর্মূল্য আলোকচিত্র। মাঝখানে রয়েছে রামকিঙ্কর বেজ-সোমনাথ হোর-নীরদ মজুমদার-গোপাল ঘোষ-চিত্তপ্রসাদ-অনীতা রায় চৌধুরী-প্রকাশ কর্মকার-জয়নুল আবেদিন-কাইয়ুম চৌধুরী-আবদুর রাজ্জাকের আঁকা কয়েকটি অসামান্য স্কেচ। প্রচ্ছদ (কৃষ্ণেন্দু চাকী) ও অঙ্গসজ্জা সর্বাঙ্গসুন্দর। সব মিলিয়ে সুরম্য একটি স্মৃতিকথা।
গত ৪ জুলাই ২০২০ সালে ৮৪ বছর বয়সে এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অনন্তলোকে পাড়ি জমিয়েছেন এই অতুলনীয় বাঙালপ্রিয় লেখক অরুণ সেন। তাঁর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.