রুটিগাছ

মজনু শাহ

রুটিগাছ তলে বসে সারারাত দেবনিন্দা করি –
রাতের বাগানে ঢুকে স্মৃতিগুলো বাদুড়ের মতো
নষ্ট করে ফল, দেখি, ডুবে যাচ্ছে কর্দমাক্ত পথে
গরুর গাড়ির চাকা, সাত মিনিটের আয়ু নিয়ে
এক্ষুনি জন্মালো কেউ, তুমি কেন অস্থির কুসুম?
আজ সুফি-ধূলিকণা যত আছে এখানে ওখানে
বাতাসে গভীরভাবে অন্ধ হতে হতে উপস্থিত।
ভ্রমণশীল উদ্ভিদ, এত কেন ভয় হেমমত্মকে?
ভ্রমণশীল পাহাড়, কার হাত থেকে ওই রুটি
গর্ধবের পিঠে জমা হয় তুমি তার কিছু জানো?
গরম রুটির গন্ধ-ভরা এই আয়না-সমাধি
কেন যে পাহারা দিই আমি আছে যদি এত বুলবুলি,
রক্তাক্ত সমাধানের দিকে এত কারা ছুটে যায়,
তস্করতাপূর্ণ চক্ষু মুদে ফের ধূলিকণা হও –