নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
জামরুল গাছের পত্রপুঞ্জের আড়ালে
ছুঁচোলো ঠোঁটের
সেই ছোট্ট পাখিটিকে আমি
একবার দেখেছি আজও, শুনতেও পেয়েছি
তার ডাক : চিড়িক, চিড়িক।
ওটি যে টুনটুনি পাখি, তা-ই বা কে না জানে।
কিন্তু ঠিক
এই মাঘ মাসের শীতে ওদের কি এখানে দেখা যায়?
বর্ষার দাপট শেষ হবার বেলায়
ওরা আসে।
কখনও দু-চার জোড়া, আবার কখনও ঝাঁকে-ঝাঁকে।
যেন মূর্তিমতী চঞ্চলতা,
এই যদি ও নেমে আসছে উঠোনের ঘাসে,
তবে পরক্ষণে
উঠে যাচ্ছে সজনে নিম জামরুলের শাখা-প্রশাখায়।
আর চালাচ্ছে চিড়িক-চিড়িক ডাকাডাকি।
মাঘের সকালে আমি যত দেখতে থাকি
একলা পাখিটিকে, তত ভাবি
ওরা তো শরতে এসে হেমন্তের বড়জোর দু-এক সপ্তাহ
এখানে কাটিয়ে চলে যায়।
ও তবে এখনও কেন এই অসহ্য শীতের দিনেও
একা রয়ে গেল এইখানে?
আমি ভাবি, ভেবে যাই, কিন্তু কোনো উত্তর মেলে না।
উত্তরটা সম্ভবত ও একাই জানে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.