হাবীবুলস্নাহ সিরাজী
১১ ডিসেম্বর ২০১৫
আগুন লেগেছে
জুতো প্যান্ট শেষ ক’রে
জামায় পৌঁছুলো –
বুকপকেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে
জলছাপে মা-র জোড়া পা
পুড়লো তা-ও
হৃদয় কি জানে নাই ক্ষমা?
আগুনের কীবা দোষ
পাতে বাড়া ছাই
একখ- মহাদেশে
মানুষের জন্মের লড়াই।
ভাই, তুমিও তো রক্তের বড়াই!
১২ ডিসেম্বর ২০১৫
যে পক্ষ তাহার ছিল – বলে, ফিরে যাই
চাঁদ দেখে ফাঁদে পড়া দুঁদে চোর
লুটে নেবে রাঙা ভোর
তুমুল আশনাই!
যে পক্ষ আমার ছিল – বলি, সামনে গোঁসাই
ইঁদুরের দাঁতের মতো মাজা রোদ
ওই তো হেমন্ত, যতো প্রতিরোধ
সান্তবনার জামা গায় দেবে যে দোহাই!
পক্ষও লক্ষ্য পায়
ঠোঁটের অমস্নান ফাঁকে
ধরা দেয় মধুর অন্যায়।
১৩ ডিসেম্বর ২০১৫
অপরাধ হ’লো খোলা শাঁস
গোঁড়া বাঁশে মুখ্য অনুগামী
কষে-বশে যদি ভেদ-মেদ
ভীত লগ্নে পোড়া সমকামী!
অনন্তের সকলই জানা
বিপত্তি কেবল অন্তর্যামী!
১৭ ডিসেম্বর ২০১৫
মুহূর্তে লেখা একটি কবিতা
ঘণ্টায় লেখা তা-ই
দিন অবশেষে সেই কবিতাই
বছরের বনসাই!
একটি কবিতা জন্মের লেখা
জীবনের মতো একা!
এই নিয়ে রাত দুপুরে গস্নাস-ভাঙা
শিহাব সরকার
কে কাকে মধ্যে রেখে না ঘুরে যায়
কী না ঘোরে, ঘোরে সবকিছু, আমি ও তুমি
মানুষ পতঙ্গ জন্তু-জীব পাখি জলকণা,
ঘোরে গ্রহতারা, কবে থেকে কেন ঘোরে
আখড়ার উঠানে বসে বৃদ্ধ বাউল দিশাহারা।
দেখি সূর্য ঘোরে, পৃথিবী নিশ্চল
শনি মঙ্গল বুধ সমুদ্রে অস্ত যায় প্রতি সন্ধ্যায়,
অথচ মূলকথা পৃথিবী সূর্যের বলয়ে ঘোরে
তবু আজো কারো কারো খটকা
সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ভোর থেকে দিনান্তে
গ্যালিলিকে বনমানুষেরা তাড়িয়ে বেড়ায়
আমাদের অমল ও নীলার ছয় মাস
নতুন সংসার, মিনি-ফ্ল্যাট, বার্নিশে পেইন্টে ভুরভুর
কে কাকে মধ্যে রেখে ঘুরেছে,
এই নিয়ে রাত দুপুরে গস্নাস-ভাঙা, রক্তারক্তি
নৈঃশব্দ্যের বাজনায় নাচছে ব্যালেরিনা।
ভোরে শূন্য বিছানা। অমল পড়ে নীলার চিঠি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.