মমি ও মর্মরিত ধ্বনি

রাহমান ওয়াহিদ

 

শিল্পী, তুমি দারম্নণ আঁকো, নিখুঁত পরিপক্বতায়।

মুজিবের ধূমায়িত পাইপের দ্রোহী উদ্গিরণ

নূর হোসেনের অবিস্মরণীয় খোলা বুক বিস্ফোরণ

এমনকি মোনালিসা হাসির অবাক সিম্ফনিও

তোমার রংতুলিতে নিখুঁত হয়ে ওঠে, যেন

তুমিই সদ্য জেগে ওঠা পিকাসো, অনন্য কাইয়ুম।

 

সেই তোমার রংতুলিটা এমন বিবর্ণ, ডিমশাদা কেন?

আমার মুখের ফ্রিকোয়েন্ট বিবর্তনে বিব্রত কি তুমি?

ধরতেই পারছো না চেহারাটার মমি ও মর্মরিত ধ্বনি।

এখন যে আদলে দেখছো, শুয়োরের অনিন্দ্য-মুখ

তাকে আঁকতে গিয়েও আশ্চর্য খাবি খাচ্ছো তুমি।

 

তারচেয়ে বরং রোমকূপ থেকে তিরতির বেরিয়ে আসছে যে

ভালোবাসার ঘাম-ঘাম শিশির-ধোঁয়া

তাকেই সযত্নে আঁকো হে সুপ্রিয় শিল্পী আমার।

দেখেছো? তোমার তুলিটা এখন শিল্পিত রংধনু হয়ে

ক্যানভাসের সীমানা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে, চলে যাচ্ছে

ভিন্ন এক অববাহিকায়, ফেনায়িত জলের দিকে।

 

তুমি বরং ক্ষান্ত হও হে বরেণ্য। ভীষণ ক্লান্ত তুমি এখন।