জীবন উড়ে গেছে ধুলোয়

শ্যামল চন্দ্র নাথ

আমার জীবন উড়ে গেছে ধুলোয়, যাক, যাক না –

সে-কথা শোনাতে চেয়ে প্রতীক্ষায় চেয়ে চেয়ে হারিয়েছি কখন।

কোথায় তার এত ব্যথা, কেন সে লুকায় অভিমানে?

আমার দৃষ্টি আর কতদূর যেতে পারে?

চোখের ভিতরে স্বপ্নেরা বারেবারে ভাঙে –

তাই জীবনের কাছাকাছি কান পেতে আছি,

দু-পায়ে চরকি বাঁধা, কী করে হই আমি মায়াবৃক্ষের পাতা –

আমি বড় একা, আমার গলিতে এলেই কেবল পাবে আমার দেখা –

সে আমাকে ভালোবাসে, আমি তাকে ভালোবাসি না, তাকে কাছেও ডাকি না

আমি এখনো অপেক্ষায় আছি, আছি বহুদূরের

যেখানে সবাই আমাকে ভালোবাসে নীরবে, বিস্ময়ে!

কারণ এ অদ্ভুত শহরে

কালো ঘোড়ার পিঠে চলে যাওয়া বোবা জীবন ভালোবাসা বোঝে না।

বুঝবে কী করে? এখানে দালানের বিপরীতে দালান ওঠে,

মানুষের বিপরীতে মানুষ কোথায়?

তবু এক ক্লান্ত ঘোড়া পায়ে শক্তি জাগিয়ে দৌড়াতে চায়

জানি জন্মের জন্ম আছে, মৃত্যুরও মৃত্যু,

জানি এ নিয়ে দুঃখের কিছু নেই, নিঃসঙ্গ যুদ্ধের মতো যেন কোমল জীবন আর কিছু নয়

এই বিদীর্ণ বাগানের দরজায় ধুলো উড়ে যায়,

মানুষের জীবনে কিসের এতো ভয়!