চুপ শব্দটি এখানেই পোহায় রোদ

সাজেদুল আউয়াল

 

উদ্যানের বৃহৎ বৃক্ষগুলোর দিকে তাকাতেই দেখি

ডালে ডালে দুলছে

থমথমে দুপুরের নীরব নির্জনতা।

হঠাৎ কে যেন বলে উঠলো : হল্ট, হাত তোলো!

থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি।

 

কে যেন হাতকড়া পরালো হাতে;

এঁটে দিলো মুখে কুলুপ –

বললো : ভুলে যাও তোমার নাম, মুখের ভাষা,

যা কিছু শেখানো হয়েছে তোমাকে সম্যক জ্ঞান বলে

কোনো কিছুই লাগবে না কাজে এখানে;

এখানে নেই অধরা কোনো কিছুর নিবাস –

শুধু নিঃশব্দ ঘষে গাছের গুঁড়িতে তার গা!

এখানে শুধুই জারি আছে নির্জনতার ভাষা।

 

এ ভাষায় নেই কোনো ব্যঞ্জন কিংবা স্বরবর্ণ,

নেই অর্থ উৎপাদন করে এমন কোনো শব্দ বা বাক্যরাজি।

এখানে শুধুই অভিনীত হয় বিস্মিত হবার পালা;

এখানে কেবলই উন্মনা মনের ছড়াছড়ি;

তন্ময় শব্দটি এখানেই পা ছড়িয়ে বসে থাকে

সারা উদ্যানজুড়ে।

 

না ঘর না সংসার না লোকালয়,

কোথাও খুঁজে পাবে না নিজেকে এতোটা –

এখানে এলেই কেবল দেখবে :

তোমাতে পুরুষ, তোমাতে নারী, প্রকৃতিও তুমিময়;

দেখবে – চুপ শব্দটি এখানেই পোহায় রোদ;

এখানেই গলে গলে পড়ে সমূহ সময়!