আমীন আল রশীদ
-
কলকাতায় জীবনানন্দ : সিনেট হল, মহাজাতি সদন ও গারস্টিন প্লেসের ভূত
কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক জীবনানন্দ দাশের ৫৫ বছরের জীবনের (১৮৯৯-১৯৫৪) উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কিছু আগে তিনি পাকাপাকিভাবে জন্মস্থান বরিশাল ছেড়ে কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেই ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কলকাতার ল্যান্সডাউন রোড (বর্তমান নাম শরৎ বসু রোড), রাসবিহারী…
-
জীবনানন্দের পূর্বপুরুষের ভিটা : পদ্মার বুকে সেই ‘গাউপাড়া’ গ্রাম
জীবনানন্দ দাশকে ‘খুঁজতে’ মানুষ মূলত দুটি জায়গায় যায় – ১. তাঁর জন্মস্থান বরিশাল এবং ২. শেষ জীবনের আবাসস্থল কলকাতা (বৃহত্তরভাবে পশ্চিমবঙ্গ)। কিন্তু তাঁর শেকড় বা পূর্বপুরুষের ভিটা এই বরিশাল কিংবা কলকাতা – কোনোখানেই নয়; বরং তাঁর দাদা সর্বানন্দ দাশ বরিশালে এসেছিলেন বাংলাদেশের বিক্রমপুর (আজ যেটা মুন্সীগঞ্জ) থেকে। পদ্মার তীরের গাউপাড়া (এখন অফিসিয়ালি গাওপাড়া লেখা হয়)…
-
জীবনানন্দের গান
বাসররাতে নবপরিণীতাকে গান গাইতে বলার ‘স্পর্ধা’ জীবনানন্দের মতো একজন আপাতনিরীহ স্বামীর পক্ষে কী করে সম্ভব হলো, সে এক বিস্ময়। কিন্তু তিনি সত্যিই বাসররাতে স্ত্রীকে দিয়ে গান গাইয়েছেন। তাও যেনতেন গান নয়, রবীন্দ্রনাথের ‘জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে’। স্ত্রী লাবণ্য দাশের বয়ানে জানা যাচ্ছে : ফুলশয্যার রাতে স্বামীর সঙ্গে তাঁর ‘আইসব্রেকিং’ হয়েছিল এভাবে : – আমি শুনেছি…
-
ঢাকায় জীবনানন্দ : ব্রাহ্ম সমাজ, গোলাপি বেনারসি এবং কালাচাঁদ গন্ধবণিকের মিষ্টির খোঁজে
বরিশালের সন্তান জীবনানন্দ দাশ ১৯২৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছর ১৯৩০ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি কালের মধ্যে কোনো এক সময় ঢাকা শহরে এসেছিলেন বিয়ের পাত্রী দেখতে। তিনি তখন দিল্লির রামযশ কলেজের শিক্ষক। আজকে ঢাকার যে-অংশটি পুরান ঢাকা নামে পরিচিত, সেখানেই ব্রাহ্ম সমাজের তৎকালীন নেতা অমৃতলাল গুপ্তের ভাইঝি লাবণ্য গুপ্তকে দেখতে এসে পছন্দ করেন এবং তারপর…