ছোটগল্প অনলাইন

অফিসে বেরোনোর সময় পাশের ফ্ল্যাটের সামনে জটলা চোখে পড়ল রায়হানের। কী হলো! ওপরতলার হাসিব সাহেবও আছেন। উনাকে প্রশ্ন করল, – এত ভিড় কেন ভাই? – কবির সাহেব মারা গেছেন আজ ভোরে। রায়হানের একটু অপরাধবোধ হলো। ওরই তো সবার আগে জানা উচিত ছিল খবরটা নিকট প্রতিবেশী হিসেবে। ও প্রতিদিন সন্ধ্যায় একবার দেখা করে আসে বয়স্ক দম্পতির…

তার দিকে ভেসে আসতে থাকা একেকটা ধোঁয়ার বৃত্তের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে এসেনিন

মাথার উপর চাঁদটা বিশাল এক গোলাকার বাতির মত ঝুলে রয়েছে। জোছনায় পাহাড়কে ভেজা ভেজা মনে হয়।

আহ আর কাইন্দো না তো! কান্দনের সময় না অহন। ডরাইও না,আর কিসের ডর কও?

ভেসে ভেসে যদি দূর কোন দেশে পৌঁছে যাওয়া যেত,স্বপ্নের কোন  দেশে। মেঘেদের মিছিলে যদি হারিয়ে যাওয়া যেত!

সে নিজেকে কতটা জানে ? যতটুকু জানে ,তারচেয়ে ও কী বেশী জানে না তাকে কেন্দ্রীয় এলগরিদম ?

বড় পুকুর আর পাড়ের বহু পুরনো গাছপালায় জায়গাটাতে যেন অন্য এক জগত তৈরি করেছে

এক অন্ধকার জীবনে তলিয়ে যাওয়া শেফালী আর এক অন্ধকারে হারিয়ে যায় মুহূর্তেই

শেষ কবে বর্ষার জলে স্নান করেছিল প্রিয় জারুল ভুলে গেছে…

তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল প্রায় দশ বছর। সম্পর্ক শেষ হতে লাগল দশ মিনিট

সাদা আর কমদামি বাল্বের আলোয় ভূতুড়ে চেহারা পায় বর্ণিল পর্দাগুলো।

প্রথমবার পাত্তা দিইনি, কাকতালীয় ব্যাপার ভেবেছি। কিন্তু একনাগাড়ে বারবার একই ব্যাপার দেখে অবাক হচ্ছি এখন।