অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

  • দুটি কবিতা

    অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত পাখিদের খাবারদাবার দীঘা থেকে আমি ঝিনুকের জালবোনা চারুশিল্পের একখানি আলপনা তুলে এনে যেই বাগানে শিরীষডালে টাঙিয়ে দিলাম, শালিখেরা জানত না তার আস্বাদে কীরকম সান্ত্বনা গচ্ছিত আছে, ফলত উঁচকপালে উড়ে গেল ওরা দূরের এক তমালে। আমিও ছিলাম কাছেপিঠে অনাবাসী Ñ তিন ঋতু পরে মালঞ্চে ফিরে দেখি ঝুলে আছে জাল, ঝিনুকেরা সুনসান, আমি বেঁচে নেই…

  • দুটি কবিতা

    অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত সুদীপ্তের একতারাটা সুদীপ্ত বিদায় নিতেই আমার আবাসন ভেঙে পড়তে থাকে। ইংল্যান্ডে কোন্ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিনয়বিদ্যা পড়ায়। বার্লিন থেকে লালন ফকির নিয়ে কাজ করার জন্যে ডাক পড়েছিল। যাবার মুখে এসে হাজির আমার শহরতলির ডেরায়। এসেই জুড়ে দিলো একটার পর একটা লালন, বাড়িটা তখন থৈ থৈ কান্নার সমুদ্র। ফেরার সময় পুঁথিপত্তরের জন্য যতটা এক্সট্রা লাগেজ…

  • না, শোকগাথা নয় (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে উৎসর্গিত)

    অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত কখনোই তুমি চাওনি তোমার মৃত্যুসংবাদ চৌদিকে চাউর হয়ে যাক, সেজন্যেই বুঝি তোমার চলে-যাওয়ার সময়টায় পর-পর চারদিন জুড়ে কলকাতায় কোনো কাগজ বেরোয়নি, বেরোলেও বিলি হয়নি, আর হকারের সেই অপ্রত্যাশিত ছুটির উল্লাসে সুন্দরবনের আশেপাশে সপরিবারে বেরিয়ে পড়েছিল সবুজে সুনীলে পিকনিকের মহানন্দে Ñ তুমি যেরকম চেয়েছিলে। আমি তখন এলাহাবাদে প্রবাসী বাঙালিদের পূজার মণ্ডপে তোমার কবিতা নিয়ে…