মারুফুল ইসলাম

  • দূরের সংকেত

    মারুফুল ইসলাম   দুপুরের বিষণ্ণ নূপুর থেমে গেলে নিজের গভীরে ডুব দিয়ে ছুঁয়ে আসি পাতালের সিক্ত মাটি   ধরিত্রীর যোনির দেয়ালে জমে থাকে শ্যাওলার বিস্তার অলস দিবস কাটে, অলস রাত্রিও পাখা মেলে উড়ে যায় দূরের আভাসে   ভেজা অন্ধকারের শরীর থেকে মৃতের দুর্গন্ধ পাই   তবু কোথাও কেউ এখনো কারুর নামে জ্বেলে রাখে নিষ্কম্প প্রদীপ…

  • দুটি কবিতা

    মারুফুল ইসলাম পথ অমৃতের অন্বেষণে যাই আলো আর অন্ধকারের অরণ্যে দেহতত্ত্বে মুক্তি খুঁজি পাইনি কূল ওখানে নৌকোর মাস্ত্তলে নিঃসঙ্গ লণ্ঠন সারারাত জ্বলে জ্বলে অবসিত   ভয় নেই চলায় পথ অচেনা বটে, তবে আমিও নাছোড় পথিক তুমি কোন উদ্যানে সুশোভন করতে চাও নিজেকে প্রশ্ন করে জেনে নাও এই বেলা   কেননা পাথেয় ফুরিয়ে যায় কিন্তু ফুরায়…

  • উৎকণ্ঠা

    মারুফুল ইসলাম   সেই সকালেও সূর্য উঠেছিল নিয়মমাফিক ঠিক পুবদিকেই অভিযোগহীন রুদ্রপলাশ গাছের ডালে বসে মধুকণ্ঠী কোকিলটা গান গাইছিল শুদ্ধ সুরে ফাল্গুনের বাতাস ছিল যথারীতি স্নিগ্ধ বইয়ের পাতার বাংলা স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণগুলো ছিল অবিকল   উপমা আর উৎপ্রেক্ষার ভিড়ে কবি খুঁজেছিল রূপক প্রতীক এবং চিত্রকল্প ছোট্ট শিশুটি কৌতূহলী নিবিড় নয়নে জগৎ দেখার ফাঁকে একটু করে…

  • রুদ্রপলাশ

    মারুফুল ইসলাম উপমা আর উৎপ্রেক্ষার ভিড়ে চিত্রকল্প রূপক প্রতীক খুঁজি দুই নয়নে জগৎ দেখার ফাঁকে একটু করে ক্লান্ত দুচোখ বুজি বদলে যাওয়ার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় নিজের ছবি হারিয়ে যায় ভুলে অবসরে এবং অগোচরে রবিশস্য রাখি গোলায় তুলে ফালগুনে যে-বাতাস ডেকেছিল তার কণ্ঠেও ছিল সুধামৃত স্বরবর্ণে এবং ব্যঞ্জনবর্ণে আপন ধর্ম এখনো উদ্ধৃত উৎকণ্ঠিত প্রহর কেটে গেলে নিরাপত্তার…

  • মেঘবতী

    শেষপর্যন্ত মানুষই মানুষকে নিয়ে যায় দুঃসময় থেকে সুসময়ে সর্বাঙ্গে সন্ধের রং মেখে নিশিপক্ষী নিজস্ব নীড়ে ফিরে আসে দিনান্তে কোথায় তুমি যাও, মেঘবতী বিকাশ-উন্মুখ গতির চাঞ্চল্যে শূন্য সময়ের গর্ভ থেকে শুরু হয় তোমার নিয়তিবিদ্ধ যাত্রা এবং আমার মর্মমূল সেতো তোমার অস্তিত্বের শিকড়ের নামান্তর মাত্র পড়ন্ত হেমন্তের প্রান্তরের আদিগন্ত রুক্ষতা অন্তর্গত অক্লান্ত তৃষ্ণা তীব্রতর করে তোলে আর…