রবিউল হুসাইন
-
কোনোকিছুই কোনোকিছু নয়
রবিউল হুসাইন নিভৃতি আনে মধুরিমা বিপন্ন মনোভূমিতে একটু অবহেলা অকূল সাগরে ডুবে যায় দূরে আকাশ ঝুলে আছে শূন্যতার প্রামেত্ম তবুও দৃশ্যমান অতলের কালে বিষণ্ণতা বিদায় মেঘগুলো জলে ভরে গেলে মানুষ কী বলে এখন বৃষ্টি পড়বে না কি মরুভূমি সাগর হবে অতঃপর বজ্রপাতে ছিন্নভিন্ন হয় প্রিয় বিহবলে আর কী হবে মানুষের মঙ্গলবিভা থিতু বৈভবে কোনোকিছুই কোনোকিছু…
-
একান্তই ব্যক্তিগত
রবিউল হুসাইন নিশ্চিত হওয়ার কী প্রয়োজন এখন যেখানে অনিশ্চয়তার এত আয়োজন বরং এই বিপদসঙ্কুলতায় দুলে দুলে ভেসে ভেসে উৎপাটিত হই সমূলে কোথাও স্থিরতা নেই নেই কোনো নিজস্বতা নদীতে নৌকো ভাসে জলের কী স্বাধীনতা কুলুকুলু বয়ে চলে যেদিকে ঢালুভূমি দুই দিকে সারি সারি বিবর্তনের উষর জমি পূর্ণ সতেজ সর্বংসহা দুঃখ-কষ্ট বহমান মাঝে মাঝে কিছু আনন্দ-সুখ…
-
বলিহারি অপরাধ
রবিউল হুসাইন চারিদিকে নিরাকার আকারের সার্থকতা বহুদূরে মানুষের জনপদ দৃশ্যমান নদীদের জলস্রোতে ভাসমান পাখিকুল আনমনে ডুবুরির সাবলীল কুশলতা প্রকৃতির অবদান সবকিছু মনোময় সেইসব গুদামের ভা-ারে কতকিছু পেয়েছিল অফুরান কৃতকর্মে বিহবল সারাদিন সারারাত আনন্দ শুধাময় মাঝামাঝি বিষণ্ণ মনোভাব …
-
জনৌষধি
রবিউল হুসাইন সে কোন বিষয়ে আমাদের ভিতরদেশে বেদনাউদ্রেকী কে এই অন্যায় অবিচারে নিরতিশয় নিঠুরপাতকী তা নয় তেমন অনুভূতি অনাদরের নাতিসুখভোগী যা ছিল বলার কথাসব পরিষ্কার যোগাযোগযোগী সে দেয় জানিয়ে সরাসরি অনুধাবনে ধারাবর্ণনীয়া এ নিয়ে এমন আহবান নিশ্চয়ই আশাজাগানিয়া কী সেই নির্মল নিসর্গের বাতাবরণে অতিগরিষ্ঠ ওই রেশ বিশেষ কাহিনির বর্ণনাসূত্রে …
-
পলি মাটি গড়ে গৌড় দেশ
রবিউল হুসাইন সব কিছু খুলে বলা ভালো নয় এত আর রেখে ঢেকে বলা মানে কিছু বলা যায় ঠিক প্রায় সবে তাই করে মেঘে মেঘে অন্য দিক অতি জলে ভাসে ভূমি আর শস্য ফল সার সে-ই ভোগে বেশি যার নেই কম কোনো ভুলে হালে সুদে হারে ফের কী-না বারে বারে ঘটে তাতে কিছু যায় …
-
তিনি বলতেন
(বেলাল চৌধুরী বরাবর) রবিউল হুসাইন তিনি বলতেন মানুষ প্রধানত দুই ধরনের – একদল ক্ষণজন্মা আরেক দল কেনজন্মা আমি ওই কেনজন্মা দলের তিনি শুধু দিতে জানতেন নিতে জানতেন না মানুষের ভালোটাই দেখতেন এবং কীভাবে প্রশংসা করতে হয় সেটা জানতেন খুব ভালো করে প্রশংসা করতে করতে বিরল দক্ষতায় সমালোচনা করতেন এবং তা ছিল গড়ন-গঠনের…
-
স্বাধীনতা স্বাধীন স্বাধীনতায়
রবিউল হুসাইন আমাদের সুখগুলো বিষণ্ণ হলে দুঃখগুলো হেসে ওঠে আনন্দরা অশ্রুসজল হলে বেদনারা পুলকিত বোধ করে বিখ্যাত ব্যক্তিগণ আরো খ্যাতি পান যাবতীয় খ্যাতি লোপ করে কুখ্যাতরা যাবতীয় কুকর্ম করে আরো কুখ্যাত হন এবং এভাবে অতিখ্যাতি লাভ করেন সম্মানীয়রা আরো সম্মানিত হন নিজেদের সম্মান হারিয়ে অসম্মানীয়রা আরো অসম্মানিত হন সমাজে সম্মান অর্জন করে…
-
বারে বারে ফিরে ফিরে
রবিউল হুসাইন বাঁকে বাঁকে খালে বিলে ছোট ছোট জলে ঢেউ কেন খেলা করে কেন ওঠে নামে কেন তারা হাতে হাতে ধরে সব কিছু নিয়ে যায় দূরে যেতে যেতে শুধু তারা দূরে যেতে থাকে যেতে যেতে পিছু ফিরে …
-
কবিতা সবসময় সত্যিকথা বলে
রবিউল হুসাইন ভালোবাসা দুই রকমের – মনোমিলনের আর মনোমালিন্যের বিয়েও এমনতরো হয় প্রেমও অথবা হয় না হলেও ভেঙে যায় কখনো কখনো এমতো বিয়েও দুই ধরনের – মূলত মেয়েদের জন্যে বন্দোবস্তের এবং বসত্মাবন্দির পছন্দ থাকে না কোনো সাধারণত এই পুঁজিবাদী সামন্তচক্রে ভালোবাসা বা বিয়ে একটি উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষণতার সমাজতাত্ত্বিক ব্যবসা হিসেবে সেই আদিকাল…
-
ধান্যসংস্কৃতির এই মৃত্তিকা
রবিউল হুসাইন যুদ্ধ প্রেম শিল্প আর রাজনীতির কোনো স্থায়িত্ব নেই সর্বদাই পরিবর্তনবান্ধব জীবিত না থাকলে মানুষ বা প্রাণীর মৃত্যু হয় না যার কিছু নেই, সে কীভাবে নিঃশেষ হবে যে ঘর থেকে বেরই হয় না, সে কী করে পথ হারাবে জলে পড়লে অতলে ডুবতে হয়, তা না হলে সাঁতার নিহত হতে হলে আগে আহত হতে হয়…