সেলিম মাহমুদ
-
ব্রহ্মপুত্রের কালীবাড়িতে
সেলিম মাহমুদ চাঁদ গলে গলে মোমচাঁচ হয়ে গেছে। দাসপাড়ার শুঁটকিপল্লি ছেড়ে চাঁদ গমন করেছে ব্রহ্মপুত্রের কালীবাড়িতে; যাই, দেখি, ধুয়ে নিই মুখ, দেখি জেলেদের জোছনাপালন। লোকনাথ আশ্রমের ঠিক নিচে পিঠাওয়ালি এক দিয়েছে বাতাস সুঘ্রাণের আস্বাদন এনে দিতে। ব্রহ্মপুত্রের পানিতে ধীবরকুলের কেহ জাল হাতে ধরি মাছ ছুঁই পানি মন নিয়ে, মাছ নিয়ে ফিরে আসে চন্দ্রমুখী তারাপুঞ্জে…
-
দেখি অট্টালিকা টালির ছাদ
সেলিম মাহমুদ কিছুই কি নেই গড়ার? গড়বেন একা শুধু রমাকান্ত কামার অথবা শ্রীকান্ত-পর্ব পড়ে, মজে যাব বারবার এই দেখি সেই দেখি উত্তম-সুচিত্রা দেখি আবার পুরনো চাল ভাতে বাড়ে হা-ভাতে চেনে ভাতের বেগার প্রজন্ম-নতুন চেনে চিকেন সসেজ আর বার্গার দেখি অট্টালিকা টালির ছাদ ড্যান ব্রাউন হিমু হুমায়ূন আজ কিংবা গত, ভুলে থাকি আকছার চাকরি খুঁজি…
-
পাতা-পোড়ানোর কাল
সেলিম মাহমুদ আমি আমার গভীরে আর দেখি না পাতা-পোড়ানোর কাল হলুদ-বিবর্ণ পাতা সব করে কলরব রাত্রি পোহাইল, কাননে কুসুমকলি সবই ফুটিল! এক প্রহরের সেই যে অর্জন; যাকে দেখি না রুটিনে তবে খাতার পাতায় তার সীমাহীন চলাচল টের পাই ভ্রমরের গুঞ্জরণে আর পাই সুইচোরা নামে ছোট এক পাখির বাসায়।
-
সবুজসাথী বই
সেলিম মাহমুদ উড়ে-পুড়ে যায় আজাদ-দিনের ভক্তিভরা ভালোবাসা আর সংকটের গান গায় বিজন বনের গাধা! তোলা ছিল অড়হড় পাতা, নামাতে হলুদ, জন্ডিসের- টোটকায় আস্থা রাখে মূর্খ ও গোঁয়ার! আমরা চালাই কলের গানে আঙুরবালার গান পুরাতনী শুনি পূর্ণ পুণ্য মনোযোগে ফিরে পাই তেঁতুলতলার ভূত-প্রেত আর গয়না-নৌকার রহস্যজনক মাঝি! পুড়ে-দৌড়ে আসে, জিরোবার ছলে, দমকল গাড়ি লালফিতা-লালফিতা, ওহে…
-
কাঁটা
সেলিম মাহমুদ সাবধানে পথ চলো, পথ যেন না হয় পিচ্ছিল। কাঁটা, ঝোপঝাঁড় থাকলেও সাথে না থাকুক সীমা-লঙ্ঘনের কাঁটাতার। বড় বৈরিতায় বয়স বাড়ছে আজকাল না পাচ্ছি বন্ধন, না কোনো প্রণোদন। ইলিশের কাঁটা নিজেই গলার কাঁটা হয়ে ভয় দেখাচ্ছে রসনা-বাসনায়। কেমন যেন শরীর-সওয়া এক গা-ঘিনঘিনে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্যাপন করছি সেরা, মরা দিনগুলি!