রাহমান ওয়াহিদ
-
দুধের বিড়াল
রাহমান ওয়াহিদ কে যে হঠাৎ ভুতুড়ে পায়ে নীল দিঘিতে হাঁটতে থাকে ছলকে ওঠে জলের কাঁপন রং-বদলের শ্যামল বাঁকে। পাখোয়াজের ভিন্ আওয়াজে কে যে কখন কণ্ঠ তোলে শোবার বালিশ হারিয়ে হঠাৎ সুর বেহাগের নেশায় দোলে। কে তাহলে দুধের বিড়াল মন ভুলিয়ে মাখন তোলে?
-
মমি ও মর্মরিত ধ্বনি
রাহমান ওয়াহিদ শিল্পী, তুমি দারুণ আঁকো, নিখুঁত পরিপক্বতায়। মুজিবের ধূমায়িত পাইপের দ্রোহী উদ্গিরণ নূর হোসেনের অবিস্মরণীয় খোলা বুক বিস্ফোরণ এমনকি মোনালিসা হাসির অবাক সিম্ফনিও তোমার রংতুলিতে নিখুঁত হয়ে ওঠে, যেন তুমিই সদ্য জেগে ওঠা পিকাসো, অনন্য কাইয়ুম। সেই তোমার রংতুলিটা এমন বিবর্ণ, ডিমশাদা কেন? আমার মুখের ফ্রিকোয়েন্ট বিবর্তনে বিব্রত কি তুমি? ধরতেই পারছো…
-
মমি ও মর্মরিত ধ্বনি
রাহমান ওয়াহিদ শিল্পী, তুমি দারম্নণ আঁকো, নিখুঁত পরিপক্বতায়। মুজিবের ধূমায়িত পাইপের দ্রোহী উদ্গিরণ নূর হোসেনের অবিস্মরণীয় খোলা বুক বিস্ফোরণ এমনকি মোনালিসা হাসির অবাক সিম্ফনিও তোমার রংতুলিতে নিখুঁত হয়ে ওঠে, যেন তুমিই সদ্য জেগে ওঠা পিকাসো, অনন্য কাইয়ুম। সেই তোমার রংতুলিটা এমন বিবর্ণ, ডিমশাদা কেন? আমার মুখের ফ্রিকোয়েন্ট বিবর্তনে বিব্রত কি তুমি? ধরতেই পারছো…
-
মৃত নক্ষত্রের শহরে
রাহমান ওয়াহিদ কারো কারো চোখে প্রজাপতি বসলে কারো চোখ থেকে পিঁপড়ের বিষ উপচে পড়ে – যেন দহনে কালো হোক প্রজাপতির পেলব ডানা। আমার পাঁজরের খোলেও এক আদিম জিঘাংসা কার যেন বুক এফোঁড়-ওফোঁড় করে আর ক্ষরিত রক্ত ঝরে জমাট বাঁধে আমারই হৃৎপিন্ডে। ক্ষুধা নিবৃত্তিতেও কার যেন মাংসাশি দাঁত হলকুম কামড়ে ধরে, যেন গিলতে না পারি হেমলকও…
-
কার্তিকে কালো নদী
রাহমান ওয়াহিদ ঝিমধরা পাতার শুকনো ডানায় ঝরে পড়ে ঝুমকো বকুল। দুপুরের শাদা চাঁদা গিলে খায় হেমন্তী কাঁচা রোদ। আমি এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যেতে চাই, যাবো একটুখানি। হাজারটা ঘর নাকি উঠেছে ঘরের ভেতর। ভাতগন্ধ বিকেল ও-ঘরে জ্বালাবে আজ নবান্ন ময়ূখ। যাবো আমি একটুখানি। শিশিরের গন্ধ ছুঁয়ে ছুঁয়ে। কোথা পথ? এই কার্তিকেও পথের আদলে আশ্চর্য শুয়ে আছে…
-
মেঘের জলছাদ
রাহমান ওয়াহিদ আমাদের বলতে শুধু ওই মেঘের জলছাদটুকুই – যার করতলে নিজস্ব রোদ্দুর মেলে দিয়ে ক্ষরিত জোছনার পাখনা ছড়িয়ে অন্তত বলা যায় – আছে আমাদের, আছে একচিলতে ক্ষয়িষ্ণু মনোভূমি। চৌদিকে যে স্বপ্ন প্লাবন, যে নক্ষত্র প্রেম, যে ভ্রূণ শস্যদানা – তার কিছুই এই প্রান্তিক আমাদের হয়ে ওঠে না। আমাদের ধারণ সীমাবদ্ধতায় দেখি যে অরণ্য…