2016

  • সৈয়দ শামসুল হক :  লেখকের আভিজাত্য

    সৈয়দ শামসুল হক : লেখকের আভিজাত্য

    তিনি বাংলাদেশে অনেক কিছুতেই ‘একমাত্র’।

  • সৈয়দ শামসুল হক :  সৃষ্টিশীল জীবনের ব্যঞ্জনা

    সৈয়দ শামসুল হক : সৃষ্টিশীল জীবনের ব্যঞ্জনা

    তিনি এখন আমাদের সকল চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে!

  • পায়ে উর্বর পলি

    হাবীবুল্লাহ সিরাজী সে এক কাল ছিল, পদাবলি ছিল। ছিল গৌরবের অসামান্য বয়ান, অতীতের টানে সিক্ত জীবন-বর্তমান। ভূমি ও আকাশ একাকার, আমাদের সঙ্গে আরো ভবিষ্যতের কবিতার সুযোগের সম্ভার। শব্দ এবং স্বর, অতঃপর রাজপথে ঝান্ডা উড়িয়ে হৃদয়ের রক্তাক্ত খবর আদান-প্রদান। তিনি ছিলেন তাঁর তাপে কিংবা বরফে গতি বদলিয়ে ছিল বায়ু, নক্ষত্র জ্বেলেছিল আয়ু এবং চৈতন্য জুড়ে ছিল…

  • কথাকোবিদ সৈয়দ শামসুল হক

    আহমেদ মাওলা থেমে গেছে সৈয়দ শামসুল হকের (১৯৩৫-২০১৬) সোনালি কলম। স্বপ্নময় আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। আর তাঁকে দেখা যাবে না বইমেলা, কবিতা উৎসবে, আড্ডায়, কিংবা সংকটে-সংগ্রামে, সেই প্রিয় মুখ। খুব কাছে থেকেই অনেকে বুঝতে পারেননি তাঁর মহত্ত্ব কিংবা বৃহৎ আয়তনের গুরুত্ব। খুঁজে পাননি তাঁর সৃষ্টিশীল ভুবনের কূলকিনারা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ শামসুল হকের মতো আরেকজন লেখকের…

  • শামসুল হকের করোটি-লিপি

    রবিশংকর বল স্তব্ধতার অনুবাদ উপন্যাসে সৈয়দ শামসুল হক লিখেছিলেন, ‘আমাদের ভেতরে এক উলঙ্গ মানুষ বাস করে, অতঃপর সেই উলঙ্গ মানুষটিকে স্মরণ করে আমাদের কথা শুরু করি – আপনি কি তাকে চেনেন?’ সেই উলঙ্গ মানুষটির অস্তিত্বের ছবি : ‘সে আপনার ভিতরেও বাস করে, বড় গভীরে এবং সমস্তক্ষণ প্রস্তুত হয়ে; আপনার নিদ্রা আছে, তার নেই। আপনি যখন…

  • জীবনের ভোক্তা ও দর্শক

    মহীবুল আজিজ আমরা তখন টগবগে তারুণ্যে ফুটছি। মধ্য আশির সেই উত্তাল তাপে আমরা পুড়ে যাই শুধু। যুদ্ধ তখনো আমাদের কাছে পুরনো বিষয় নয় যেহেতু যুদ্ধই ছিল আমাদের পুরাণ। তৎকালে অব্যাখ্যেয় চেতনা নামক কোনো এক আচ্ছন্নতার ঘোরে একটু-একটু করে আমরা পড়তে শুরু করেছি। চারদিকে, রাস্তায়-রাস্তায় ফুটতে থাকে ফুল – অজস্র আর রক্তময়। মুক্তিযুদ্ধ আরো তীব্রতা নিয়ে…

  • প্রথম অর্জুন

    জলধি হালদার এক এই বাংলার সব পাখি ও নদীর মতো আপনার সমূহ গা-ীব আর অগাধ জলের তূণীর চলে গেল বঙ্গোপসাগরে। কে ডাকবে তাঁরে! আমাদের লোক ও অলোককাহিনিতে এখন শূন্যতার প্রহর অভিদ্রোহী গাছের শিকড়ে। মনে করো সাবলীল, এসব বৈশাখে রচিত হয় ধারালো বঁটির সামনে ছাই মাখানো মাছ পরানের গহিন ভিতরে। দুই আমি নেপেন দারোগা থেকে আসছি…

  • পরাগ আঁকা ফুল

    বিশ্বজিৎ মণ্ডল সেভাবেই তাঁকে দেখেছি, উত্তাল পদ্মা ভেঙে ছুটে আসছে নিরন্তর শব্দের ধ্বনি… পাড়ায় পাড়ায় হর্ষধ্বনিতে জেগে ওঠে তাঁর অলৌকিক কলম কতবার মাঝরাতে বিছানা ছেড়ে উঠে গেছি তাঁর আঁকা অলীক জ্যোৎস্নায় ভিজবো বলে কতবার উদাত্ত ডাকে খুঁজেছি, তোমার শব্দের ওম দেখেছি প্রলুব্ধ হাতছানিতে কেউ যেন সাজিয়ে দিয়েছেন, বাংলার এইসব অর্যমা উপবন নিষেধ না মেনে গেয়েছি…

  • হে সব্যসাচী

    হাফিজ রশিদ খান এমন জানালা একখানা খুলে দিয়েছ হে সব্যসাচী, যা দিয়ে আসে শুদ্ধ বঙ্গীয় সুবাসমাখা গন্ধবহ। আমি পেছনের থেকে সামনে, আরও সামনে যাই ওই সম্ভ্রান্ত সমীরে ভেসে-ভেসে। বসে থাকি কিছুক্ষণ জনকোলাহলের নাটম-লে। হৃদয় প্রমোদিত হয়ে এলে ফিরে যাই সুবিস্তীর্ণ ধানি মাঠের কিনারে। পাখিদের কলস্বর আর পাতাদের গুঞ্জনে, গোধন আর রাখালের মিলিত শব্দায়নে দেখি তোমার…

  • জাদুকর

    ইকবাল হাসান স্বপ্ন আমাকে ঘুমাতে দেয় না সারারাত নির্ঘুম জাগিয়ে রাখে, কখনো কখনো কপালে হাত রেখে বলে, দেখি দেখি, তোমার জ্বর উঠেছে কিনা! কখনোবা ঘুমের ভেতরে বাড়ায় দু’হাত, বলে, এসো, জানালার কাছে যাই, চাঁদ দেখি স্বপ্নের ভেতরে আমি আকাশের দিকে অবাক তাকাই। দেখি, দূরের আকাশে এক উজ্জ্বল রাজহাঁস যার প্রতিটি পালক থেকে ঝরে পড়ছে জ্যোৎস্নার…

  • তৃণে-ছাওয়া আদিম ঠিকানা

    আসাদ চৌধুরী খালি হয়। ঠিক খালি হয়। দেখা যায় না, তা’তে কী! কি ওয়েস্ট, জলেশ্বরী, জোড়াসাঁকো আঁকো, যত পারো এঁকে যাও, পেনসিল কী জলরঙে অশ্রু-আর্তনাদে আঁকো নানা ঢঙে কেবল ভরাট করা নয় ঠিকঠাক ছেড়ে দেওয়াই শিল্প কিছু খালি থাক শেষ অব্দি কী ক’রে যে খালি হয় সে কি নিসর্গের সরল সিগন্যালে? বুকে পুরে চৌষট্টি হাজার…

  • কথা হবে

    শঙ্খ ঘোষ ‘আরো একবার ঠিকই কলকাতায় যাব, কথা হবে।’ দূর-দূরান্তর থেকে সাগর পেরিয়ে ভেসে আসে শমনশয়ান থেকে যাপনের দিকে ভেসে আসে সেই একই স্বচ্ছ আর মর্মছোঁয়া স্বর মুহূর্তে যে স্বর উষ্ণতায় করতল স্পর্শ হয়ে যায়। গুঞ্জন, গুঞ্জন শুনি : কথা হবে, কথা হবে আরো কিছু কিছু স্বপ্নকথা হবে কোনোদিন পাশাপাশি। ‘কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত…