আলোময় বিশ্বাস
-
ছায়াসখা
(উৎসর্গ – স্বর্গত দ্বিজেন শর্মা) আলোময় বিশ্বাস যে-বৃক্ষ রেখেছিলে সুরের বিস্তারে আকাশের ভাঁজে গোপনে, নীলে, সবুজে শীতলে – সে এক পুরনো অরণ্য। সে তো স্বপ্নবৃষ্টি হতে নেমে আসা প্রাণ ফুলে ফলে সুশোভিত। কথা বলে, এইসব প্রবাহিত সুষমা লতা তারা জেগে থাকে সময়ের ধমনি তরলে গান গায় নাচে। তবু তো হেঁটে চলা থামায়েছো…
-
সময়-চিহ্ন
আলোময় বিশ্বাস ১ সভ্য মানচিত্রের ছায়ায় এক অভিনব পাঠশালা, পাঠদান চলে ছেলেমেয়ে উল্লাসে সেই পীঠে সমবেত হয়। শিক্ষকেরা গেরুয়া ভিক্কুর মতো শান্ত সমাহিত বোধি, দুর্বোধ উচ্চারণে যা কিছু ঢালে জাদুবিদ্যা উঠে আসে তাতে, নিশ্বাসে জ্ঞান প্রশ্বাসে হিতোপদেশ এই যে পৃথিবী আর তাবৎ ব্রহ্মা- ওরা শুধু ঘুরে ঘূর্ণনই অনাদি সুখলতা ইতিহাস এইসব শুনে শুনে, বিদ্যার ঝাঁকি…
-
তাহলে আয়েশা, তোমাকে
আলোময় বিশ্বাস যে রাতে হাঁসগুলি গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে সেই আঁধারেই পাখা মেলেছে আলোকসুন্দর পাখিরা। শোনা কথায় ঢুকে পড়েছে সৌভাগ্যের কপাল আর ঝাঁপি খুলে ধরেছে পঞ্চতন্ত্র হ্যাঁ একেই বলে ত্রাসের যজ্ঞ। সে-রাতে সব কাক একসাথে ডেকে উঠেছিল সে-আঁধারে নক্ষত্র জ্বলে উঠেছিল বনবাদাড়ে কালো ছায়ায় বট শেওড়ার আড়ালে লুকিয়ে কাঁপছিল বাড়ির বেড়াল-কুকুর ঘটিবাটি গলে যখন…
-
সমুন্নত দুঃখগুলি
আলোময় বিশ্বাস সমুন্নত দুঃখগুলিই আমার চিত্রকলা। আমার সংগীত আর জঙ্গম-ঘূর্ণি আবেগ আমি তৈরি করি কিছু অনাকাঙিক্ষত ব্যথার সংশ্রবে। জীবনের সন্ধি-লগ্ন অসত্মগামী সূর্যের মতো ঝুলে আছে লাল সাগরের উপর, আমি কিছু অভিশাপ খুঁজে বেড়াচ্ছি দেখি আর কী নির্মাণ করতে পারি? এই সময়ে সুরধুনীর জল আর পারুলের গন্ধ নিয়ে কে আসে?