চাণক্য বাড়ৈ

  • দীপ্র অক্ষরেরা

    চাণক্য বাড়ৈ অক্ষরেরা আসে ÑÑ অসংখ্য অনাহূত তীব্র অক্ষর আসে আমার ঘরে Ñ ঘরময় করে ওড়াউড়ি Ñ তবে কি হলুদ পাতার চিঠিতে অনুদ্ঘাটিত কোনো অবচেতনে নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলাম কোনোদিন Ñ যেভাবে মৌমাছি আসে, মধুচক্রে Ñ সেইভাবে নেচে নেচে, গান গেয়ে গেয়ে আসে একেকটি অতিথি-অক্ষর Ñ যখন পাশাপাশি আসে, কী অদ্ভুত শব্দের মূর্ছনা হয়ে যায় ওরা, আমি…

  • বিষণ্ণ মুহূর্তের গল্প

    চাণক্য বাড়ৈ কারা আসছে নিষিদ্ধ ভায়োলিন বাজিয়ে – তাদের কাছে গিয়ে বলি, উজ্জ্বল হও, বের হয়ে এসো এই ঘোরগ্রস্ততা থেকে – এতদিন তীরবিদ্ধ ছিলে, এখন পান করো এই সুর – কথার নির্যাস – কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে তোমরা শুনতে চাও মৃত মানুষের গান – অথচ, মাথার ওপর যুদ্ধবিমান উড়িয়ে দিয়ে সারাক্ষণ বিরক্ত করো…

  • সিদ্ধার্থ

    চাণক্য বাড়ৈ   এই যাত্রা সমাধির দিকে – ধ্যানমগ্ন থেকে এইখানে কিছুটা মৃত্যুর অভিনয় করা যাক – ভুলে যাওয়া যাক সেই মুহূর্তটিকে, যখন জ্বলমত্ম চিতায় একখ- – সমিধ কাঠ তুলে দিতে গিয়ে জীবনের দাম সবচেয়ে বেশি মনে হয়েছিল –   আহা অবিনাশী গান, বাঁশির শরীরে সাতটি ফোঁড়ের বেদনা গেঁথে দিয়ে, তুমি, এতখানি মধুর হয়েছ –…

  • ঈর্ষা

    চাণক্য বাড়ৈ আমার প্রেমিকা, তবু রোজ সে ঘুমোতে যায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, আমি ভাবি পরের জনমে তবে জমিদারই হবো। বনবাসে ধ্যানে যাই, তাতেও জন্মে না বিশ্বাস ধুলো পরিমাণ ‘জন্মান্তরবাদে’। সামান্য বালির কণা, তার কাছে হিমালয় খুব ক্ষুদ্র মনে হয়। উদয়াস্ত সমর্পিত রবীন্দ্রনাথে। তানপুরা কোলে নিলে পৃথিবীতে পাই না তাকে আর। ভাবি, পরের জনমে তবে অর্ফিয়াসই হবো। তবু…

  • সহোদরা

    চাণক্য বাড়ৈ আমার যমজ বোন – সে থাকে মালতীনগর – আমি তাকে জ্যোৎস্নািলপি ডাকি। আমাদের আয়না ছিল না কোনোদিন – নিজেকে দেখতে হলে আমাকেই দেখে নিত সে – আমিও তার মুখ দেখে মিটিয়েছি আয়নার দায় – সে পোষে সাদা রাজহাঁস – আমি কবুতর -অথচ অভিন্ন প্রেমিক নিয়ে ছাড়াছাড়ি হলো – সে থাকে মালতীনগর – আমি…