জিয়া হাশান

  • স্মৃতি গড়ার আয়োজন

    জিয়া হাশান অফিস থেকে ফেরার পথে অফারটা আলমের ঘাড়ে সওয়ার হয়। বাসায় এসে তাই সরাসরি বউয়ের কোলে মাথাটা নামায় – ‘চলো দুজনে নেপাল ঘুরে আসি। এক সপ্তাহের ট্যুর।’ রুবি স্বামীর মুখের দিকে তাকায়। না, ঠাট্টা-তামাশার কোনো শানে-নজুল তাতে লেখা নেই। হাসি-মশকরার সূচনাবাক্যও নয়। বরং সিরিয়াসনেসের দৃঢ় পায়ে ঠাঁই। সুদৃঢ় ভঙ্গিতে দাঁড়ানো আলমের মুখ-চোখজুড়ে। সঙ্গে স্বাদ-আহ্লাদ…

  • এখন তোমার যেমন দরকার

    জিয়া হাশান সকালেই অ্যাডটা চোখে পড়ে। পত্রিকার দুটো পাতা ওলটাতেই সে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়, কিন্তু লুবনা তাতে থিতু হতে পারে না। তার ওপর নজরের একটু ছোঁয়া দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। মনোযোগের জোয়ারি জলে তারে আর ডোবানো হয় না। তবে একনজরেই বোঝে ­- অ্যাডটার দাবি-দাওয়া ভিন্ন ধাঁচের, চেহারা-সুরত আলাদা ধরনের। ক্লাসিফায়েড গোত্রের, পাত্র-পাত্রী চাই গোছের কিন্তু…

  • সোনায় সোহাগা কাহিনি

    জিয়া হাশান ইন্দেরহাটের লঞ্চ জেটি। তারে ঘিরে নাও-ট্রলারের মৌচাক। তাতে মাঝি-মাল্লারা গলা ফোলায় – ‘ওই কালামইল্যা! তোগো নাওয়ের হোগা সোজা হর। পুটকির মইদ্যে গলোই হান্দাইছো ক্যান…’ ‘ল্যাওড়া চোষা হউরের পো! কামারকাডির চোদন এহানে দ্যাহাবি না। পারার রশি খুইল্যা দ্যাখ, এ্যাক বারিতে মাথা দুই ভাগ কইরা ফালামু…’ তবে সব হাঁকাহাঁকি রে মাটিচাপা দেয় হালের মাঝির গালে…