মৃণাল বসুচৌধুরী
-
দেবী
মৃণাল বসুচৌধুরী শব্দের শূন্যতা নয় তোমার পূর্ণতা নিয়ে সাজুক আকাশ সারাক্ষণ শুধু তাই নিজেকেই ভিখারি সাজাই যদি না বাড়ানো থাকে প্রার্থনার হাত ছিন্নভিন্ন মায়ার সন্ধানে যদি না ব্যাকুল হয় রাহুগ্রসত্ম মানুষের চোখ যদি না পায়ের কাছে পড়ে থাকে প্রতিবাদী সমসত্ম ধনুক নিভু নিভু বালির আগুন…
-
তোমার সঙ্গে
মৃণাল বসুচৌধুরী তোমার সঙ্গে হাঁটবো বলেই এই অবেলায় বকুলতলায় ছড়িয়ে দিলাম বর্ণমালা উড়িয়ে দিলাম পোষ্য আমার পায়রাগুলি দীর্ঘশ্বাসের জীর্ণ মোড়ক টুকরো স্মৃতি অলীক ঠোঁটের শীৎকার নয় ভিন্নমুখী ভুলের আগুন মৌন শপথ স্বপ্নভাষা জন্মলোলুপ মুগ্ধতা আর পরশপাথর গহিন জলের অন্ধকারে ভাসিয়ে দিলাম এই অবেলায় তোমার দুহাত ধরবো বলে শূন্য আকাশ সঙ্গী করে দাঁড়িয়ে আছি…
-
উত্তর দ্রাঘিমা থেকে
মৃণাল বসুচৌধুরী কোথাও দাঁড়িয়ে নেই কেউ উত্তর দ্রাঘিমা থেকে উড়ে আসা সুখ নিয়ে সকলেই চলে গেছে নিশ্চিন্ত আড়ালে ঈপ্সিত আগুনে পুড়িয়েছে হেমন্তের রঙমাখা শেষতম চিঠি স্মৃতির পোশাক নির্জন জ্যোৎস্নামাখা মাটির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেউ কেউ অচেনা বুকের ওমে সাজিয়েছে গোলাপবাগান কোথাও দাঁড়িয়ে নেই কেউ তবু অন্যমনে কেন যে অস্ফুট স্বরে বলে উঠি, ‘আসছি…
-
সর্বনাশা বীজের বিস্তার
মৃণাল বসুচৌধুরী যেখানে পড়েনি রোদ সেখানেই ছায়াহীন তোমাদের শরীরী ভ্রমণ দূরত্বের মূল পটভূমি বারোমাস যেদিকে পড়ে না রোদ সেদিকেই রক্ত জমে ঘাসের ওপর আপাতবিরোধী কিছু তথ্য থেকে দক্ষ মানুষেরা রঙের প্রকৃতি নিয়ে কারিগরি বিবাদ ছড়ায় যেখানে থামেনি লোভ সেখানেই অশালীন হিসেবি উড়ান সেখানেই বিষদাঁত ধারালো গোপন সেখানেই সর্বনাশা বীজের বিস্তার
-
একদিন যাবো
মৃণাল বসুচৌধুরী ইতিহাসে অবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম এসে ডেকে গেল আবিরখেলায় পাখিদের অসম উড়াল ঋতুচক্রে অন্তহীন নিঃসঙ্গ ভ্রমণ অভিজ্ঞান পরিদের মায়াময় হাসির মুগ্ধতা শরীরের আদিম সৌরভ ঘুমের ওষুধ কিংবা সামুদ্রিক লোভ সমস্ত সরিয়ে রেখে যাবো বলে পা বাড়াতেই ছুটে আসে কলাবতী সাপ বেজে ওঠে সুরেলা নূপুর যাবো অলৌকিক নৃত্যকলা উন্মুখ সাঁতার অসমাপ্ত কান্না আর স্বপ্নের…