মোস্তাক আহমাদ দীন

  • হাবা

    কোথাও যাব না বলে স্থির বসে আছি একা একা, গঞ্জনার তীরে বসে বসে পেছনের প্রতিও তাকাই দূর থেকে ঘাড় নাড়ে বেগানা হিজল  তবু মনে হয়, তার পাশে, আড়ঠারে  সর্প পাখি কীটেরাও মন্দভাবে ডাকে যেন আর যাবই না আমি   বেতের জঙ্গলখানি সাফ করে দিয়ে  পেছনের ঘুরপথও দশমুখে ডাকে খরাজীর্ণ প্রত্নমেলা সামনে নিয়ে  যাব না ফিরব তার কিছুই…

  • স্বীকারোক্তি

    নগর-টোলের ছাত্র, আজ বসে আছি লু-নিবিড় অন্ধকারে একা – যেন চার প্রহরের এই রাত উদ্যাপন করতে যাচ্ছি অজপাড়াগাঁয়, যেন জোনাকবাতির নিচে পুথি পড়া যাবে সারারাত। আমি তো এসেছি ফিরে, তবু, নাগরিক পাঁজি হেন সিরিফ নাদান শিশু; ভয় লাগে হরফের ভিড় … বলো কে বলবে পই, ছিলক, ডিঠান? তবু তাতে নাগরিক চতুরালি থাকে; জারিতে ভরে না…

  • লেখকের চোখে দেখাঃসেলিনা হোসেন

    লেখকের চোখে দেখাঃসেলিনা হোসেন

    সৃজনশীল লেখক প্রবন্ধ না লিখলে নিজের মানসকে পাঠকের সামনে খুলে দিতে পারেন না

  • সূর্য অস্ত যায় না কখনো

    মোস্তাক আহমাদ দীন  এই শতকের দ্বিতীয় দশকে এসে গত শতকের পঞ্চাশের দশকের কবিদের মেজাজমর্জি ও বিশিষ্টতার চিহ্নগুলো কারো কাছে আর অস্পষ্ট নয়, নানা বিচার-বিবেচনা শেষে সেই দশকের কবি বলতেও এখন হাতেগোনা – এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় দিলওয়ারকে গণ্য করা যায় কি-না, আজ, এ-প্রশ্ন তুললে পাঠক-সমালোচকদের মধ্যে নানামুখী তর্ক শুরু হতে পারে। সব মুখ্য/ গৌণ কবিরই কিছু-না-কিছু         …

  • তিনটি কবিতা

    মোস্তাক আহমাদ দীন   নৈরাজ্য   শিঙের বিকার দেখে বালক বিস্মিত আর, আড়ালে, মাথা নত হয়েছে আমার বনবালিকারা দেখে-বুঝে নেয় চর্যা ছাড়াই আমি কোন ধর্মে বনপালয়িতা কারো পোড়া ঠোঁটে আর কোনোদিন বাজবে না বাঁশি হরিণের পাল ধায় – কেন ধায়? – সেই বাঘ-পথরেখা ধরে শিঙের তাৎপর্যে আজ পাতা-ঢাকা, লতা-ঢাকা, বর্ম-ঢাকা হয়েছে হৃদয়   বিলগাছ  …