রহিমা আখতার কল্পনা

  • ধানের বয়ান

    গরিবের বাসস্থানে গোলাঘর খুব বেমানান সেই গোলাঘরে ফসল দেখলে সন্দিহান হয় পড়শীরা দৃষ্টি বাঁকা হয়ে আসে সহসা তাদের গরিবের গোলাভরা ধানকে সবাই চিটা ভাবে চিটা ভেবে আনন্দিত হয়। তুমি গো দয়াল, সোনার বরণ হৃষ্টপুষ্ট ধান আদর করিয়া দান করিয়াছো – এই অভাজনে। আরেকটু অধিক সহায় হও, স্বপ্নময় ফসলের সাথে ছিটেফোঁটা মান মাগিতেছি। গরিবের দেউড়িতে কাঁটাঝোপ…

  • কোজাগরি

    রহিমা আখতার কল্পনা   চোখ তো কাঁদে না আর, চোখে নিদারুণ মরু চোখের তারায় জল টলোমলো আয়না আকাশে বাড়ায় বাহু মনোবাসনার তরু ফিরে আসে হাত, নীলাকাশ ছুঁতে পায় না। চোখ তো কাঁদে না আর, চোখে নিদারুণ মরু চোখের তারায় জল টলোমলো আয়না।   কখনো আমার কিছু আপনজনেরা ছিল তখন আমার মাটিতে শিশির, মমতা উড়ে গেলে…

  • অগ্নিঝড়

    রহিমা আখতার কল্পনা   চিলতে খানিক মুক্ত আকাশ মাথার ওপর চাইছি তাই দাম শুধেছি আয়ুর দামে – ঋণের ভারে ডুবতে বসা জীবনতরি বাইছি তাই।   বীজ ফোটাবার রোদ মেলে তো ভুঁই মেলে না – পুড়ছে বন খুঁড়ছি হৃদয় জলভারাতুর বীজ বুনেছি সময়-মাটির ওমের আশায় – উড়ছে মন।   কাল-যমুনায় সাধের ডিঙা সহজগতি চলার নয় ঝড়…

  • আমি কার কাছে

    রহিমা আখতার কল্পনা   আমি কার কাছে আগুন শিখতে যাবো! আমার আগুনে ঝাঁপ দিয়ে খোলা চোখে পুড়ে পুড়ে নিভে গেছে লেলিহান অনেক দোজখ।   আমি কার কাছে শিখি বলো অনন্ত শূন্যতা! অনিত্য আমিই নৈরামণি চলিষ্ণু চর্যায় আমার শূন্যতা থেকে জন্ম ঘটে অযুত প্রাণের।   কার কাছ থেকে আমি পাঠ নেবো ঘাট-আঘাটার! আমিই তো পদপিষ্ট মায়াকাড়াঘাট-…

  • পেছনে ডেকো না

    রহিমা আখতার কল্পনা   হারিয়ে যেয়ো না মিঠা জল, প্রিয়পাতা সবুজ সুহৃদ হারিয়ে যেয়ো না মুখচম্পা, কৈশোরিক চাঁদছোঁয়া নিদ হারিয়ে যেয়ো না প্রিয়পদ্ম, বর্ষালক্ষ্মী – শৈশবের মুখ হারিয়ে যেয়ো না জোনাকিরা, রাত ভালোবেসে খোঁজো সুখ।   আড়ালে থেকো না প্রিয়কুঁড়ি, ফুটে ওঠো রোদের সোহাগে আড়ালে থেকো না কাশবন, ঢেউ তোলো – ধু-ধু চর জাগে আড়লে…