শংকর চক্রবর্তী

  • নীরবতা

    শংকর চক্রবর্তী   অনেক নীরবতা সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম তখনও হেমন্ত তেমনভাবে ঝাঁপিয়ে আসেনি বাস থেকে নামার সময় এক সহৃদয় কন্ডাক্টর টিকিটের বদলে আমার হাতে গুঁজে দিয়েছিল নতুন আকাশের খ’সে-পড়া অনেকখানি একাকিত্ব বাড়ির সামনে এসে থমকে দাঁড়াই কিছুক্ষণ আমার পায়ের কাছে কুলকুল করছে চাঁদের আলো আমি ঝুঁকে সামান্য ছুঁয়ে দেখলাম স্মৃতিহীনতার জ্বরে আমার শরীর পুড়ে…

  • কথামালা

    শংকর চক্রবর্তী   কতদিন উড়িয়েছি পুরনো দিনের কথামালা নিজেরই একান্তে ছিল সবকিছু গোপন আলোয় সন্ধে নেমে এলে শান্ত হয় যেন গিরিতরঙ্গিনী আকাশে উড়া, ভাবি, এবার আকাশে উড়ি বেশ খোলামেলা কতদূর মনে নেই, দেখি দু-পা এক-পা খেলায় বৃক্ষ-সমারোহে শুধু হাসির ঝিলিক উড়তে উড়তে ডানা গেল ভেঙে রক্ত-লাগা ছেঁড়া পালকের ওড়াওড়ি আমি হালকা হয়ে দ্রুত নেমে আসি…

  • ফিরে যাওয়া

    শংকর চক্রবর্তী যেভাবে এসেছি সেটা মূল্যহীন মনে হয় আজ বরং সাতসকালে ময়ূখমালীর আলো গায়ে মেখে একা টমেটো, ঢেঁড়স, পুঁই কত কাশফুল দেখে নিই শুয়ে শুয়ে – কেন যে এসেছি নগ্ন পায়ে মনে নেই সেখানে ছায়ার সঙ্গে সম্পর্ক মিশিয়ে শুধু হাহাকার দেখি এই ধুধু মাঠ, দূরে সবজিক্ষেত, কাকতাড়–য়ার খিলখিল মনে হয় মরে গেছি কবে বুকের ভেতর…